Saturday, May 16, 2020

আব্দুল ওহাব নজদির পরিচয়

ওহাবী নজদী ফেতনা পৃথিবীতে সবচেয়ে মারাত্মক ফেতনা
-----------------------------------------------------------------------
বর্তমান যুগে প্রত্যেক দলের লোকেরাই বলে আমরা সত্যের উপর রয়েছি এবং ওহাবী নজদী সম্প্রদায়ের লোকেরা নিজেদের লোক ছাড়া অন্য লোককে তারা মুমিন মনে করে না।
তাদের কাজ হচ্ছে প্রতিটি কদমে কুফর,শিরক,বিদআত প্রত্যেক কথা কাজে ফতোয়াবাজী করা তাদের স্বভাব।নবী-গাউছ ওলী-আব্দাল পীর-মাশায়েখ ও মাজার সম্পর্কে সমালোচনা করা তাদের অভ্যাস। পৃথিবীর মধ্যে যতো ফেতনা রয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ফেতনার মধ্যে ওয়াহাবী নজদী ফিতনা সর্বাধিক বিপদজনক।
এ ব্যাপারে আমাদের নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রথম থেকেই ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন।
"মিশকাত শরীফ" ২য় খণ্ডের ইয়ামন ও শামের বর্ণনা অধ্যায়ে বুখারী শরীফের বরাত দিয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)থেকে বর্ণিত- একদিন দয়ার সাগর হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাত তুলে দোয়া করেছিলেন-
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺑﺎﺭﻙ ﻟﻨﺎ ﻓﻰ ﺷﺎﻣﻨﺎ
হে আল্লাহ আমাদের শাম প্রদেশে বরকত দাও।
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺑﺎﺭﻙ ﻟﻨﺎ ﻓﻰ ﻳﻤﻨﻨﺎ
হে আল্লাহ আমাদের ইয়ামন দেশে বরকত দাও।
উপস্থিত শ্রোতাদের মধ্যে একজন সাহাবী আরজ করলেন! ইয়া রাসূলাল্লাহ! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)আমাদের নজদের জন্য দোয়া করুন।পুনরায় হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দোয়া করলেন, শাম ও ইয়ামনের নাম উল্লেখ করলেন কিন্তু নজদের নাম নিলেন না।পুনরায় দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক নজদের জন্য দোয়া করার অনুরোধ করার পরেও হুজুর শাম ও ইয়ামনের জন্য উপর্যুপরি তিনবার দোয়া করলেন কিন্তু বারবার নজদের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও নজদের জন্য দোয়া করলেন না।বরং শেষে বললেন-
ﻫﻨﺎﻙ ﺍﻟﺰﻻﺯﻝ ﻭﺍﻟﻔﺘﻦ ﻭﺑﻬﺎ ﻳﻄﻠﻊ ﻗﺮﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﻦ
যে অঞ্চল সৃষ্টির আদিকালেই আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত সে ভূখণ্ডের জন্য দোয়া কিভাবে করি?
এখানেই ইসলামের ভিতকে নাড়াদানকারী ভূমিকম্প ও ফেতনা আরম্ভ হবে এখানেই শয়তানের দলের আবির্ভাব ঘটবে’ এ থেকে বুঝা গেলো হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পবিত্র দৃষ্টিতে (পথ ভ্রষ্ট ও ঈমান নষ্ট করার দিক থেকে) দাজ্জালের ফেতনার পরে ছিলো নজদের ফেতনার স্থান,যার সম্পর্কে এভাবে ভবিষ্যৎবাণী করে গেলেন।
অনুরূপ "মিশকাত শরীফ" ১ম খণ্ডের কিসাস শীর্ষক আলোচনায় ‘মুরতাদদের’ (ধর্মদ্রোহীদের) হত্যা’ অধ্যায়ে নাসায়ী শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে হযরত আবু বরযা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত যে, একবার হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিছু গণিমতের মাল বণ্টন করছিলেন,তখন পিছন থেকে একজন লোক বললেন- হে মুহাম্মদ! আপনি ন্যায়সঙ্গতভাবে বণ্টন করেননি।হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাগান্বিত হয়ে বললেন- আমার পরে আমার থেকে বেশি কোন ইনসাফকারী ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি পাওয়া যাবে না।তারপর বললেন- শেষ যামানায় এর বংশ থেকে একটি গোত্রের উদ্ভব হবে।যারা কুরআন পাঠ করবে বটে,কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালীর নীচে পৌঁছবে না।কিন্তু তারা ইসলাম থেকে এমনিভাবে দূরে সরে যাবে,যেমনিভাবে তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায়-
ﺳﻴﻤﺎ ﻫﻢ ﺍﻟﺘﺤﻠﻴﻖ ﻻﻳﺰﻟﻮﻥ ﻳﺨﺮﺟﻮﻥ ﺣﺘﻰ ﻳﺨﺮﺝ ﺍﺧﺮﻫﻢ ﻣﻊ ﺍﻟﺪﺟﺎﻝ ﻓﺎﺫﺍ ﻟﻘﻴﺘﻤﻮﻫﻮ ﻫﻢ ﺷﺮ ﺍﻟﺨﻠﻖ ﻭﺍﻟﺘﺨﻠﻴﻘﺔ
(মাথা মুণ্ডনো হলো এদের বিশেষ চিন্হ এদের একের পর এক বের হতেই থাকবে।শেষ পর্যন্ত এদের শেষ দলটি দাজ্জালের সঙ্গে মিলিত হবে। যদি তোমরা তাদের সাক্ষাত পাও, জেনে রেখো,তারা হলো সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস।)
এ হাদিসের মধ্যে এদের পরিচয় বর্ণনা করা হয়েছে।মাথা মুণ্ডানো ছাড়া এখনও কোন ওহাবীকে পাওয়া মুশকিল।
অন্য জায়গায় তিনি আরো বলেন- তারা মুর্তি পূজারীদেরকে ছেড়ে দেবে, কিন্তু মুসলমানদেরকে হত্যা করবে। (বুখারী শরীফ ১ম খণ্ড কিতাবুল আম্বিয়া ইয়াজুজ মাজুজের কাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত বর্ণনা,মুসলিম শরীফ ও মিশকাত শরীফে আল মু’জিজাত অধ্যায়ে প্রথম পরিচ্ছেদ দেখুন উক্ত জায়গায় মিশকাত শরীফে আরো উল্লেখিত আছে-
ﻟﺌﻦ ﺍﺩﺭﻛﺘﻢ ﻻﻗﺘﻠﻨﻬﻢ ﻗﺘﻞ ﻋﺎﺩ
যদি আমি তাদেরকে পেতাম,আদ গোত্রের মত হত্যা করতাম।
এখনও দেখা যায় যে,দেওবন্দীরা সাধরণভাবে হিন্দুদের সাথে বেশি সংশ্রব রাখে মুসলমানদেরকে ঘৃণার চোখে দেখে।তারা সবসময় মুসলমানদের উপর বিশেষ করে হেরামাইন শরীফাইনের অধিবাসীদের ইজ্জত আবরুর উপর প্রচণ্ড আঘাত হেনেছেন।সাইফুল জব্বার ও ‘বোয়ারেফে মুহাম্মদীয়া আলা ইরগামাতিন নজদিয়া’ ইত্যাদি ইতিহাসের বই দেখুন।
আব্দুল ওহাব নজদীর জন্ম,পরিচয় ও ভ্রান্ত মতবাদ উপরোক্ত মহান ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী ১১১১ হিজরী মোতাবেক ১৭০৫ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব নজদী, নজদ দেশে জন্মগ্রহণ করেন।জীবনের শুরুতে মদিনা মনোয়ারা লেখাপড়া করেছিলো।মদিনা মনোয়ারা ও মক্কা মুকাররমার মধ্যে আসা যাওয়া করতো।তার গোড়াছিলো তামীম গোত্রের সাথে গাথাঁ।মদিনা মনোয়ারার অনেক আলেমের কাছে বিদ্যার্জন করতো।এই শিক্ষকদের মধ্যে শায়খ মোহাম্মদ ইবনে সুলাইমান কারভী শাফেয়ী ও শায়খ মুহাম্মদ হায়াত সিন্ধী হানাফী অন্যতম।এ দুজন শিক্ষক এবং অন্যান্য শায়খগণ তার মধ্যে ধর্মদ্রোহীতার ও পথভ্রষ্টতার বিভিন্ন আলামত লক্ষ্য করতেন আর বলতেন-
ﺳﻴﻀﻞ ﻫﺬﺍ ﻭﻳﻀﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻪ ﻣﻦ ﺑﻌﺪﻩ ﻭﺍﺷﻘﺎﻩ ﻓﻜﺎﻥ ﺍﻻﻣﺮ ﻛﺬﺍﻟﻚ ﻭﻣﺎ ﺍﺧﻄﺄﺕ ﻓﺮﺍﺳﺘﻬﻢ ﻓﻴﻪ
অর্থাৎ অনতিবিলম্ভে সে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।আল্লাহতা’য়ালা তার মাধ্যমে পররবর্তী আগমনকারী হতভাগ্য লোকদেরকেও বিভ্রান্ত করবেন।
সুতরাং তেমনই ঘটেছে।
তার শ্রদ্বেয় পিতাও তার মধ্যে ধর্মদ্রোহিতার নিদর্শন দেখতে পান এবং প্রায় সময়ই তার সমালোচনা করতেন।মন্দ দিকগুলো তুলে ধরতেন।লোকজনকে বাঁচানোর জন্য তাকিদ সহকারে সাবধান করে দিতেন।এভাবে তার ভাই আল্লামা সোলাইমান ইবনে আব্দুল ওয়াহহাবও তার বিদআতগুলো (নব আবিস্কৃত অবৈধ আকিদা ও কাজকর্ম, ভ্রান্তি এবং বাতিল আকিদাসমূহ) প্রত্যাখ্যান ও সেগুলো খণ্ডন করতেন।এমনই তার খণ্ডনে "আস সাওয়াইকুল ইলাহিয়া ফির রদ্দে আলাল ওয়াহহাবিয়া" নামে একটি কিতাব প্রণয়ন করেন।
আল্লামা মুহাম্মদ আব্দুর রহমান সিলহেটী (আলাইহির রহমত) নজদী সম্পর্কে লিখেছেন-
দ্বিতীয় সুলতান মাহমুদ খানের শাসনামলে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব নামের এক ব্যক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটল।ইবনে তাইমিয়া মরে যাওয়ার পর সে তার বিলুপ্ত ভ্রান্ত আকিদাগুলোকে পুনরায় প্রকাশ করলো-
ﻭﺍﺑﺘﺪﻉ ﺷﻴﻌﺔ ﻣﺨﺎﻟﻔﺎ ﻋﻦ ﻣﺬﻫﺐ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﻛﺎﻥ ﻳﻄﻮﻑ ﻣﻦ ﺍﻟﻌﺮﺏ ﺍﻟﻰ ﺍﻣﻜﻨﺔ ﻭﺷﺎﻡ ﻭﺍﻟﺒﻐﺪﺍﺩ ﻭﺍﻟﺒﺼﺮﺓ ﻭﻣﻦ ﻫﻨﺎﻙ ﺭﺟﻊ ﺍﻟﻰ ﺑﻼﺩ ﺍﻟﻌﺮﺏ ﻭﺑﺎﺗﺴﻌﺎﻑ ﺍﻻﻣﺮﺑﻦ ﺍﻟﺴﻌﻮﺩ - ﺍﻟﺬﻯ ﻛﺎﻥ ﺩﺧﻞ ﻓﻰ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﺜﻴﻌﺔ ﺟﺬﺏ ﺍﻟﻴﻪ ﺟﻤﻬﻮﺭ ﻣﻦ ﺍﻫﻞ ﺍﻟﺒﻼﺩ ﻭﺳﻤﻮﺍ ﻟﻮﻫﺎﺑﻴﺔ ﺑﺎﺳﻢ ﻛﺒﻴﺮﻫﻢ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻮﻫﺎﺏ
অর্থাৎ সে নতুন শরীয়ত প্রকাশ করলো।আহলে সুন্নাতের বিপক্ষে সে একটি দল গঠন করে নিলো।ফোরাত (ইউফ্রেটিস) থেকে সিরিয়া,বাগদাদ শরীফ ও বসরা পর্যন্ত শহরগুলোতে ঘুরে চষে বেড়িয়েছিলো।আর সেখান থেকে আরবে ফিরে এলো- আমির ইবনে সাউদের সহায়তা পাবার কারণে সে উক্ত দলে যোগ দিয়েছিলো।শহরের বড় বড় লোকদেরকেও নিজের দিকে টেনে নিলো।এ কারণে তাদেরকে তাদের দলনেতা মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাবের নামানুসারে "ওহাবী" বলা হয়।
উক্ত ওহাবী সম্প্রদায়ের প্রশংসিত মৌলভী ওবায়দুল্লাহ সিন্ধী লিখেছেন- প্রকৃত ঘটনা হলো।আলোচ্য লোকটি এমন কোন শিক্ষক থেকে জ্ঞনার্জন করেনি,যিনি তাকে সঠিক হিদায়তের পথে পরিচালিত করতেন উপকারী জ্ঞানের দিকে পথপ্রদর্শন করতেন এবং দ্বীনের বিষয়াবলীর ব্যাপারে তার মধ্যে বুঝ-সমঝের উম্মেষ ঘটাতেন।জ্ঞানার্জনের ধারাবাহিকতায় লোকটি শুধু এতটুকু করেছে যে শায়খ ইবনে তাইমিয়া এবং তার শিষ্য ইবনে কাইয়েমের কয়েকটি কিতাব পড়ে নিয়েছে আর তার তাকলিদ (অনুসরণ) করেছে।
শায়খ সাইয়্যেদ আমিন,যিনি ইবনে আবেদীন নামে খ্যাত রাদ্দুল মুহতার এবং এর মধ্যে বিদ্রোহীদের আলোচনা অধ্যায়ে লিখেছেন যে, তাদের উপমা হচ্ছে তেমনি যেমন আমাদের যুগের মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাবের অনুসারীগণ।
কিছুদিন হলো এসব লোক নজদ থেকে বের হয়েছে।আর দুই হেরামশরীফের উপর ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছে।এরা নিজেদেরকে হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী বলে দাবি করে।কিন্তু তাদের অবস্থা এমন যে, নিজেদেরকে ছাড়া বাকী সকল মুসলমানদের যারা তাদের আকিদার পরিপন্থী হয় কাফির মনে করে এবং তাদের রক্তপাত ঘটানোকে জায়েয মনে করে।
সুতরাং,তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ও তাদের আলিমকে হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করেনি।
মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব নজদি যখন নিজেদের বাতিল আকিদা এবং ভ্রান্ত চিন্তাধারা প্রকাশ করার ইচ্ছা করলো, তখন সে মদিনা মনোয়ারা থেকে পূর্ব দিকে চলে গেলে।আর লোকজনকে তার সাজানো মনগড়া কথাগুলো শুনালো।আর বুঝালো যে, তারা (জন সাধারণ) যে সব আকিদাপোষণ করে সব শিরক ও ভ্রান্ত।আর তার ভ্রান্ত আকিদাকে ধীরে ধীরে প্রকাশ করতে লাগলো।যখন সাধারণ জঙ্গলি লোকেরা তার আকিদাগুলো গ্রহণ করে নিলো ১১৫০ হিজরিতে বিভিন্ন জেলায় তার এসব কথা ছড়িয়ে পড়লো এবং দরইয়াহ এলাকায় শাসক মুহাম্মদ ইবনে সাউদ তার সাহায্যকারী হয়ে গেলো এবং শায়খই নজদীকে তার দেশ সম্প্রসারণের মাধ্যমে করে নিলো এবং দরইয়াহবাসীদেরকে সে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাবের অনুসরণের প্রতি উদ্বুদ্ধ করল।
১২০০ (বারো শত) বৎসর পরে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব নামায কালেমার তাবলীগ চালিয়ে সুন্নি মুসলমানদেরকে ফাঁকি দিয়ে নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও সাহাবায়ে কেরামের আকায়েদের বিপরীত আকিদা শিক্ষা দিয়ে জামাতভূক্ত করে একটা বেইমান শয়তানের গোমরাহী দল গঠন করেছে।এই দলের নামই ওহাবী দল।
মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব নজদী ওহাবি গোমরাহি ধর্মের একটা ছোট কিতাব লিখেছে যাহার নাম ‘কিতাবুত তাওহীদ’।
উক্ত কিতাবুত তাওহীদ দ্বারা আরবদেশে ওহাবী ধর্ম জারি হতে থাকে।ওহাবী গোমরাহী দলের পরিচয় পূর্বে আলোচনা করেছি।যখন ওহাবীরা মাজারগুলি ধ্বংশ করা শুরু করে দেয় ঠিক সে সময় মিশরের হাকিম ও ইসলামী সৈন্যগণ তাদের সঙ্গে জিহাদ করে পবিত্র মক্কা ও মদিনা শরীফ হতে ওহাবীদেরকে বিতাড়িত করে পূর্ণ দখল করে নেয়। ১২৩৩ হিজরিতে এই ঘটনা হয়।
আল্লামা শামী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর জগবিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব রাদ্দুল মুহতার কিতাবে প্রমাণ করে দিয়েছে ওহাবী দল প্রকৃতপক্ষে খারেজী দল, ইসলাম ধর্মের চার মাযহাব অমান্যকারী লা- মাযহাবী গোমরাহী দল।তারা তাদের গোমরাহী ওহাবী মতবাদকে বিশ্বে ছড়াবার জন্য অমানবিক হত্যা কাণ্ডের প্রতিযোগিতা চালায় কিন্তু আল্লাহপাক তাদের দর্পকে চূর্ণ করে দিলেন।ইসলামী সৈন্য দ্বারা তাদের উপর জয়ী করে পবিত্র মক্কা ও মদিনাশরীফকে মুক্ত করেন।
#NMH9