Monday, December 16, 2013

** জামায়েতে ইসলামীর আসল চেহারা **


=> সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা করা যাবে, কিন্তু তাদের নেতা কর্মীরা দোষ করেলও তাদের সমালোচনা করা যাবেনা !!

=> জামায়াতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মওদূদী সাহেব তার কৃত 'তরজুমানুল কুরআন' এর ৩৫তম সংখ্যার ৩২৭ পৃষ্ঠায় লিখেছেন-
"সাহাবায়ে কেরাম সমালোচনার বাইরে নন । তাদের দোষ ত্রুটি বর্ণনা করা যায় । সাহাবীদের সম্মাণ করার জন্য যদি জরুরী মনে করা হয় যে, কোনোভাবেই তাদের দোষ বর্ণনা করা যাবেনা তবে আমার (মওদূদী) দৃষ্টিতে এটা সম্মাণ নয় বরং মূর্তি পূজাই, যার মূলোত্‍পাটনের লক্ষে জামায়েতে ইসলামীর জন্ম ।"

# এখানে মওদূদী অকপটে বলে দিলেন যে সাহাবীদের দোষ ত্রুটি বর্ণনা করা যাবে । এতে কোনো দোষ হবেনা , কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যায় জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতা কর্মী দোষ করলেও তাদেরকে দোষী বলা যাবেনা, বরং তাদেরকে ফুলের মতো পবিত্র বলতে হবে । মানুষ হত্যার দায়ে ফাঁসি হলে তাদেরকে 'শহীদ' বলতে হবে ।যদি তাদের দোষ ত্রুটি বর্ণনা করেন তাহলে আপনি নির্ঘাত নাস্তিক, মুরতাদ উপাধী পেয়ে যাবেন । শুধু তাই নয় আপনার জানের মায়াও হয়তো ত্যাগ করতে হবে ।

Saturday, December 14, 2013

=> বর্তমানে হেফাজতী, ওহাবী, জামাতী, ত-ব লীগীরা জাহেলী যুগের মক্কার কাফেরদের চাইতেও নিকৃষ্ট !

=> আইয়্যামে জাহেলী যুগে যখন সাহাবাকেরামগণ রাসূলে পাকের শানে কোনো প্রশংসা করে কারো কাছে কিছু বর্ণনা করতেন, তখন মক্কার কাফেররা দলীল খুঁজত, রেফারেন্স চাইত, ঐ প্রসংশাবাণীর প্রমাণ চাইত, তখন সাহাবগণ প্রমান, রেফারেন্স দিলে তাতে মক্কার কাফেররা বিশ্বাস করতেন এবং রাসূলে পাকের প্রতি ঈমাণ আনতেন ।

** কিন্ত আজ বড়ই পরিতাপের বিষয়, কেউ যদি এখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর শানে কোনো প্রশংসা করে, তাহলে দেখা যায় হেফাজতী, ওহাবী, জামাতী, ত-বলীগীরা তখনকার যুগের মক্কার কাফেরদের মতো দলীল খুঁজতে থাকে, রেফারেন্স চাইতে থাকে । তখনকার মক্কার কাফেররাতো দলীল, রেফারেন্স দেখার পর তা বিশ্বাস করত কিন্তু বর্তমানে মুসলমান নামধারী ঐসব জামাতী, ওহাবী, হেফাজতীদেরকে দলীল কিংবা রেফারেন্স দিলেও তারা তা বিশ্বাস করেনা বরং এই রেফারেন্সগুলোকে জাল হাদিস, দুর্বল হাদিস, মিথ্যা, বানোয়াট ইত্যাদি বলে মানুষের ঈমাণ হরণে ব্যস্ত থাকে ।

# আল্লাহপাক আমাদের প্রত্যেককে সমস্ত বাতিল ফের্কা থেকে হেফাজত করুক । আমিন

Tuesday, November 12, 2013

জনতার কাছে প্রশ্ন, বিবেক কি নাড়া দেবে?

ইসলাম শান্তির ধর্ম। উদারতা এবং সহনশীলতার ধর্ম। প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মদিনার সনদ, হুদায়বিয়ার সন্ধি এবং বিদায় হজের ভাষণ_ এর জ্বলন্ত প্রমাণ। ইসলামের এই তিন গুরুত্বপূর্ণ দলিল আমাদের উদারতা এবং সহনশীলতার শিক্ষা দেয়। মহানবীর এই তিন প্রামাণ্য আমাদের জানান দেয়, কীভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি স্থাপন করা যায়। মানুষে মানুষে বন্ধন সৃষ্টি ও বৈষম্য দূর করা যায়।

সম্প্রতি ভ্রান্ত চিন্তা-চেতনার অধিকারী জামায়াতে ইসলামী ও মওদুদিবাদীরা রাজনৈতিক স্বার্থে, ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে আলেমদের ব্যবহার করছেন। দেশ, স্বাধীনতা ও ইসলামের চিরশত্রু জামায়াতে ইসলামী আলেমদের মৌলিক কাজ থেকে সরিয়ে এনে রাজনীতির হীন স্বার্থে ব্যবহার করছে। আলেমদের মাঝে মতানৈক্য ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি, সামাজিকভাবে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে এই জামায়াতিরা। অথচ আলেমদের জানা উচিত, আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত মওদুদিপন্থি জামায়াত-বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলেই তাদের প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায়। বিএনপি জোট সরকারের আমলে (১৭-০৮-২০০৫) একযোগে ৫০০ স্থানে বোমা হামলায় বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বাংলাভাই, শেখ আবদুর রহমান সৃষ্টি করে সুন্নতি লেবাসের অপমান করেছিল। শান্তিপ্রিয় আলেমদের গায়ে কলঙ্ক এঁকে দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বমিডিয়ায় জামায়াতিরা প্রচার দিয়েছিল, বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো জঙ্গির কারখানা। পথে-ঘাটে আলেমদের জঙ্গি বানানোর অপচেষ্টা করেছে।  রক্ত আর লাশের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। জনতার বিবেকের কাছে প্রশ্ন! কোরআনের ভাষ্যে (সূরা বাকারা আয়াত-২১৭) বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হত্যা অপেক্ষাও জঘন্য অপরাধ! দেশে জামায়াতিরা কেন জ্বালাও-পোড়াও হত্যা-নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে? কোরআনের ভাষ্য আর জামায়াতিদের কর্মে কী কোনো মিল আছে? জনতার কাছে প্রশ্ন, বিবেক কি নাড়া দেবে?

মসজিদ আল্লাহর পবিত্র ঘর। এই পবিত্র ঘরে কীভাবে জামায়াত ও তার দোসররা আগুন নিয়ে রাজনৈতিক খেলা খেলে; নামাজের পরিবেশ নষ্ট করল? কোরআনের ভাষ্যে (আয়াত-১৯১, সূরা বাকারা) তাদেরকে জালিম ও কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। মসজিদে আগুন নিয়ে রাজনৈতিক খেলা কি কোরআন-হাদিসসম্মত? কীভাবে পবিত্র কোরআনে আগুন দিল এই জামায়াতিরা? জনতার কাছে প্রশ্ন, বিবেক কি নাড়া দেবে? গত রবিবার উচ্চ আদালত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেছেন। অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক মূলমন্ত্রে তৈরি জামায়াতের গঠনতন্ত্র পরিপ্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন উচ্চ আদালত। জঙ্গিমূর্তি এই দলটি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, চোরাগোপ্তা হামলা, পুলিশের মাথা থেঁতলে দেওয়া ও রগকাটার রাজনীতি বন্ধ ছিল সময়ের দাবি। রাষ্ট্রীয়ভাবে জামায়াত অবৈধ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিকভাবেও এই জামায়াতিতের বয়কট করা দরকার। বিভ্রান্ত এই দলের বিরুদ্ধে আলেমরাও সোচ্চার ভূমিকা রাখবেন বলে আশা রাখি। মৌলিকভাবে জামায়াতে ইসলামী মদিনার ইসলাম লালন করে না। তারা নবী-রাসূল ও সাহাবাদের সমালোচক। যারা শিক্ষা-সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্যে ও ব্যবসায় নারীদের উন্নতি-অগ্রগতি চায় না, তাদের কাছে প্রশ্ন_ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিবি খাদিজা (রা.) কীভাবে ব্যবসা করলেন? আম্মাজান হজরত আয়েশা কি অশিক্ষিত? না পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম হাদিস বর্ণনাকারী? জনতার কাছে প্রশ্ন, বিবেক কি নাড়া দেবে?

স্বীকৃতির পক্ষে বা বিপক্ষে সাগর সাগর রক্ত, লাখ লাখ লাশ আর গৃহযুদ্ধের হুমকি হক্কানি আলেমদের মুখে বেমানান। এই হুঙ্কারে প্রশ্ন উঠবে, এত ক্ষমতাধর আলেমরা ১৯৭১ সালে নীরব ছিলেন কেন?  যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে দেশের পবিত্র পতাকা উড়িয়ে পতাকার অপমান করেছে।বিবেকের কাছে প্রশ্ন, এগুলো ইসলামসম্মত? জনতার কাছে প্রশ্ন, বিবেক কি নাড়া দেবে?

Thursday, October 10, 2013

আশ্রাফ আলী থানবীকে ইংরেজদের পক্ষ থেকে ৬০০ টাকা মাসোহারা (মাসিক ভাতা) দেওয়া হতো

কথায় কথায় দেওবন্দী হেফাজতীরা বলে সুন্নিরা নাকি ইংরেজদের দালালী করে । যখন প্রমান দিতে বলী তখন চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আলা হযরতের উপর মিথ্যা অপবাদ দেয় যা ভিত্তিহীন । এবার দেখে যান ইংরেজদের আসল দালালী কারা করত । ওহাবীদের হাকিমুল উম্মত মৌং আশ্রাফ আলী থানবী ইংরেজদের থেকে মাসোহারা (মাসিক ভাতা) পেতো ৬০০ টাকা । দেওবন্দীদের মৌলভী শব্বীর আহমদ ওসমানী খোদ সে কথার উল্লেখ এভাবে করেছেন- "হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব আমাদের ও আপনাদের বরেণ্য বুযুর্গ ও গুরজন ছিলেন । তাঁর সম্পর্কে কাউকে কাউকে একথা বলতে শোনা গেছে যে, তাকে মাসিক ৬০০ টাকা ভাতা ইংরেজ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হতো ।
[সূত্রঃ মুকালামাতুস সদরাঈন, ৯ পৃষ্ঠা]
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা দেখলেন তো । দেওবন্দী, হেফাজতীরা যাকে হাকীমুল উম্মত দাবী করে সে কাদের টাকায় নবী-ওলীর শানে বেয়াদবী করত । আল্লাহ আমাদের সত্য জানার ও বোঝার তৌফিক দিক । আমিন

Tuesday, October 8, 2013

দারুল উলূম দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে ফতওয়া জারি- ডাঃ জাকির নায়েক পথভ্রষ্টঃ

=> আহলে সুন্নাতের ওলামায়ে কেরাম ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীরা প্রথম থেকেই ডাঃ জাকির নায়েকের পথভ্রষ্টতা সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করেছিল । কিন্তু হেফাজতীরা তো ডাঃ জাকিরের এমন অন্ধ ভক্ত যে, তারা মাযহাবের ইমামদের না মানলেও জাকিরের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করে ।মজার বিষয় হল, হেফাজতীদের কারখানা দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে দুই বছর আগেই ডাঃ জাকিরের বিরুদ্বে ফতোয়া জারি করে তাকে পথভ্রষ্ট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ।
** ফতোয়ায় উল্লেখ আছে-
'এই ব্যক্তি নিজে পথভ্রষ্ট এবং অপরকে পথভ্রষ্ট কারী ।লেকচার পদ্ধতিতে আধুনিক প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে তিনি যা করছেন তার সারাংশ হলোঃ
ক) গোটা উম্মতকে হযরত আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন ও ইসলামের প্রসিদ্ব চার ইমাম রহঃ গণের অনুসরন থেকে বের করে এনে লামাযহাবী বানানো ।
খ) দ্বীনের বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামের প্রতি সাধারণ মুসলমানের যে আস্থা আছে তা উঠিয়ে দেয়া এবং আস্থা ও নির্ভরতা কে কলঙ্কিত করতে যত রকমের অপকৌশল ও অস্ত্র আছে তা ব্যবহার করা ।
গ) ফাসিক বে দ্বীণদের চাল চলন ও বেশ ভূষার প্রতি সাধারণ মুসলমানদের অন্তরে যে ঘৃণা রয়েছে, তা উপড়ে ফেলা ।
ঘ) ইসলামী শরীয়তের আহকাম, আকায়িদ, ইবাদত, আমল করার ব্যাপারে সাধারণ মুসলমানগণ যে বিজ্ঞ আলেমগণের সাথে জুড়ে আছেন, তাদের সেই সম্পর্ককে আলেমদের থেকে ছিন্ন করে ডাঃ জাকির নায়েক ও তার কম্পাউন্ডের স্কলারদের সাথে জুড়ে দেয়া, ইত্যাদি ।
[ ফতওয়া বিভাগ, দারুল উলূম দেওবন্দ ফতোয়া নং-৩১৩৯২, ফতোয়া প্রদানের তারিখঃ ১০ই এপ্রিল-২০১১ইং ]
# বিঃ দ্রঃ এই লেখাটি "মাসিক আদর্শ নারী" ১৭শ বর্ষ, ৬ষ্ঠ সংখ্যা, রজব ১৪৩২ হিজরী, আষাঢ় ১৪১৮ বাংলা, জুন ২০১১ ঈসায়ী সংখ্যার ৬ ও ৭ পৃষ্ঠা থেকে হুবুহু তুলে ধরা হয়েছে।

Sunday, October 6, 2013

আউলাদে রাসুলের প্রতি আলা হজরতের সম্মান প্রদর্শনঃ

ইমাম আহমদ রেযা রহঃ ভারতের বেরেলী শহরে অনুষ্ঠিতব্য কোনো এক মাহফিলে যোগদানের উদ্দেশ্যে পালকিতে চড়ে যাচ্ছিলেন। কিছুদূর অতক্রম করার পর আলা হযরত পালকি বহনকারীদের থামতে বললেন। পালকি থামানো হল। যারা কাদে নিয়েছিল আলা হযরত তাদের উদ্দেশ্য করে বললেন নিশ্চই আপনাদের মাঝে কেউ রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বংশের লোক আছেন। আমি আল্লাহর শপথ দিচ্ছি যেই হউন না কেন আপনার পরিচয় দিন। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠলেন আমি হচ্ছি সৈয়দ বংশের লোক। আলা হযরত তখন বললেন আপনি কেন এই কাজ করছেন? লোকটি বললেন সৈয়দ বংশের লোকদের ভিক্ষা করা ও যাকাত নেওয়া জায়েজ নেই তাই এই কাজ করছি। আলা হযরত বিচলিত হয়ে বললেন আপনি পালকিতে উঠুন, আপনি আমাকে যতটুকু পথ চড়িয়েছেন এর বিনিময়ে আমি আপনাকে সারা বেরেলী শহর কাধে করে চড়াব। কারণ হাশরের মাঠে যখন রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শত কোটি মানুষের সামনে বলবেন, হে আহমদ রেযা! তুমি আমার
আওলাদের কাঁধে উঠেছিলে কেন? তখন আমি কি করে প্রিয় নবীকে মুখ দেখাব? জগৎবিখ্যাত আলেম ও আধ্যাত্মিক শক্তির
অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও ইমাম আহমদ রেযা রহঃ নবী বংশের প্রতি যে সম্মান প্রদর্শন করেছেন তার তুলনা নেই।

Thursday, October 3, 2013

আবুল কাসেম নুরি

উনি কুরআন হাদিস থেকে দলিল দিয়ে বয়ান করেন। তাই ওহাবী, জামাতী আর আহলে হাদিস শয়তানদের গা জালা করে। যখন তাঁর কোন দলিল খণ্ডন করতে পারে না তখন বলে মাজার মুজারি, কবর পুজারি এইসব। শয়তানরা জানে না মাজার জিয়ারত করা আর পুজা করা একজিনিস নয়। আল্লাহ তাদের অন্তরকে সীল মেরে দিয়েছেন আর চক্ষুকে করে দিয়েছেন অন্ধ। তারা দেখবে শুনবে কিন্তু কিছুই অনুধাবন করবে না। আলাহ্র হিদায়াত অদের জন্যে হারাম হয়ে গেছে।

Monday, September 30, 2013



*~* সরল-মনা নবী প্রেমিকদের নিষেধ করে নূর নবীর পবিত্র রওজায় না যেতে, তারা বলে ওখানে কিছু নেই, নবীজি মাটির সাথে মিশে গেছে ! (নাউযুবিল্লাহ) শুধু তাই না এই সৌদী সরকার রাওজার সামনে পুলিশ পাহারা দিয়ে রেখেছে কেউ যাতে নবীজির রাওজার দিকে ফিরে দু'হাত তুলে মুনাজাত করতে না পারে (শিরিক নাকি) আরো অনেক কিছু। তাহলে সৌদী বাদশাহ কি করে নবীর দরবারে ??? দুনিয়ার বাদশাহ ও আমার নবীর দরবারে ফকিরের মত দু'হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। যারা হজ্জ করতে যাবেন তারা আমার দয়াল নবীকে সালাম দিয়ে আসবেন। কেননা আমার কামলিওয়ালা নবীর পবিত্র রওজা যিয়ারাত করা মানে নবীর সাথে সরাসরি সাক্ষৎ করা।

ණ ණ দলিল দেখুন :

ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻬﻰ ﺗﻌﻠﻰ ﻋﻨﻪ ﻣﺮﻓﻮﻋﺎ ﻣﻦ
ﺣﺞ ﻓﺰﺍﺭ ﻗﺒﺮﻯ ﺑﻌﺪ ﻣﻮﺗﻰ ﻛﺎﻥ ﻛﻤﻦ ﺯﺍﺭﻧﻰ ﻓﻰ
ﺣﻴﺎﺗﻰ - )ﺭﻭﺍﻩ ﺑﻴﺤﻘﻰ(

>=>> হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু
থেকে বণিত, মারফু সূত্রে বর্ননা করেন, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম
নবুওয়াতি জবান মোবারকে এরশাদ ফরামান,
যে ব্যক্তি আমার ইন্তেকালের পর
হজ্ব করল এবং আমার কবরে এসে জিয়ারত করল। সে যেন আমি জীবিত থাকাকালীন আমার জিয়ারত )(সাক্ষাত)( করল।

{{ বায়হাক্বী শরীফ, মিশকাতুল
মাসাবীহ - ২৪২পৃষ্ঠা।}}

♥সকল ঈদের ঈদ হল ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দঃ)♥♥


>>অনেকে মনে করে থাকেন বছরে দুই ঈদ
ছাড়া অন্য কোনো ঈদ নেই।সুতারাং ঈদ মিলাদুন্নবী বলতে কোনো ঈদ
ইসলামে নেই।তাদের এ ধারণাটা সম্পূর্ণ ভূল।
ইবনে মাজা শরীফে রয়েছে হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ হতে বর্ণিত হুযুর আকরাম
সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ
"জুমার দিন ঈদের দিন যা আল্লাহপাক মুসলিম
মিল্লাতের জন্য দান করেছেন।
সুতারাং যে ব্যক্তি জুমার
নামাযে আসবে সে যেন
গোসল করে নেয় এবং যার
কাছে সুগন্ধি দ্রব্য থাকলে যেন লাগিয়ে নেয় এবং তোমরা মিসওয়াক অবশ্যই করে নাও।"
{সূত্র ইবনে মাজাহ,হাদীস নং১০৯৮, তাবরানী হাদীস নং৭৩৫৫}
>>জুমার দিনকে শ্রেষ্ঠ দিন
করা হয়েছে এ জন্য
যে,এই দিনে হযরত আদম (আঃ)
কে পয়দা করা হয়েছিল।এবং এই দিনেই ওনার ইনতিকাল হয়।এখন হযরত আদম (আঃ) এর
আগমনে যদি জুমার দিন এর এত গুরুত্ব হয়,তাহলে আমাদের নবীর দুনিয়ায় শুভাগমনের দিন
এবং ঐ তারিখের এর গুরুত্ব কতটুকু হবে একবার মন
দিয়ে চিন্তা করলেই বুঝা যাবে। আর এই তারিখে খুশি উদযাপন অর্থাত্ ঈদ পালন করলে স্বয়ং আল্লাহপাক খুশি হবেন।
এতে কোনো শিরক, বিদআত হবেনা।

দেখুন মোল্লাদের আসল কারবার

দেখুন মোল্লাদের আসল কারবার , যারা বলে এই দেশে ইসলাম কায়েম করবে। যারা শিখাই নারী নেতৃত্ব হারাম। তারাই দেখুন নারীর দালালি করছে। যারা বলে পর্দা ছাডা নারী দেখা যায় না। তারাই দেখুন নারীর ওপর জনসম্মুখে হাত রাখছে। নিচের ছবি তে এর প্রমান দেখুন।

√ হাদিসের মুলনীতি নিয়ে মওদুদির ভ্রান্ত উক্তি √

√ হাদিসের মুলনীতি নিয়ে মওদুদির ভ্রান্ত উক্তি √

মওদুদি বলে, '' হাদিসের বর্ণনার মুলনীতি বাদ দেন। আধুনিক এ যুগে প্রাচীন কালের আজেবাজে কথা কে শুনে'' (তর্জমানুল কুরআন, পৃষ্ঠা-১১১, খন্ড-১৪, সংখ্যা-২)
send by কোহিনুর

হযরত আবূ হোরায়রা

>>> হযরত আবূ হোরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে বসে কথা বার্তা বলতেন। তিনি যখন দাঁড়াতেন আমরাও দাঁড়িয়ে যেতাম, যতহ্মণ পর্যন্ত না তাঁকে নিজের কোন স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করতে দেখতাম, ততহ্মন পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতাম।

)(মেশকাত- ৪৪৯৮)(

### সাহাবায়ে কেরামগন যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যেতে পারে তাহলে আপনার আর আমার দাঁড়াতে সমস্যা কোথায় ? আমরা তো কেউ সাহাবায়ে কেরামগনের মত মর্যাদাবান নয়। কিন্ত আমাদের দেশে এমন কিছু মানুষ আছে যারা হেফাযতের নাম দিয়ে ইসলাম ধর্মকে নষ্ট করতে চাই তারা কেন এই কথা বুঝার চেষ্টা করে না ? আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে যেন হেদায়াত করে এবং বুঝার তওফীক দান করে।

Monday, August 26, 2013

আওলিয়া কেরামের পথ ছাড়া যেমন সত্য ও মুক্তির কোন উপায় নেই

আওলিয়া কেরামের পথ ছাড়া যেমন সত্য ও মুক্তির কোন উপায় নেই, তেমনি আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথ আজ দুর্লভ হয়ে গেছে। তাঁদের পথের নামে অনেক বিকৃতি মূর্খতা ভণ্ডামী ব্যবসা প্রতারণা চলছে। আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথ খুজে পাওয়া জীবনের অতিজরুরী গুরুত্ত্বপূর্ণ অর্জন, যা আমাদের অবশ্যই পেতে হবে এবং এর বিপরীত বিকৃতি প্রতারণা সম্পর্কেও সজাগ হতে হবে, মুক্ত থাকতে হবে। কারন হীন স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধোকা দিয়ে আওলিয়া কেরামের পবিত্র নামের অনেক অপব্যবহার হচ্ছে।

সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগে আওলিয়া কেরামের পবিত্র নামে তাঁদের তরিকতের নামেও আজ তাঁদের দিকদর্শনের বিপরীতে ভূল পথে পরিচালনা করা হচ্ছে। ভূল পথে অনন্তকাল চলেও কখনও কোন লক্ষ্য অর্জন করা যায় না। ভূয়া পথে থাকার মধ্যে সাময়িক কোন হীন স্বার্থসিদ্ধি হলেও জীবনের কোন প্রকৃত লাভ নেই। যে কোন ভ্রান্ত পথ জীবনের জন্য প্রকৃত পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর, কলংকজনক ও আখেরাতে চরম আফসোস ও দুঃখের কারন হবে। আওলিয়া কেরামের নামে তাঁদের ছদ্মবেশে ভূলপথে পরিচালিত করা আজ আমাদের মিল্লাতের ধ্বংসাত্মক বিপর্যয়ের অন্যতম কারন। যা থেকে আমাদের আজ তাঁদের পথের সঠিক দিকদর্শনে উদ্ধার হতেই হবে।

আওলিয়া কেরামের পবিত্র নাম নেয়া হচ্ছে, তাঁদের নামে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হচ্ছে, কিন্তু তাঁদের শিক্ষা ও পথ আড়াল করা হচ্ছে, বিকৃত বিলুপ্ত করা হচ্ছে। ভেজাল ও মিথ্যাকে প্রশ্রয় ও পথ করে দেয়া হচ্ছে, সত্য ও মুক্তির পবিত্র পথকে বিভিন্ন কৌশলে অবজ্ঞা উৎখাত করা হচ্ছে। আত্মিকভাবে অন্তসারশূন্য ও বস্তুবাদী করে তোলা হচ্ছে ফলে রাজনৈতিকভাবেও কলেমার বিপরীতে অপশক্তির দাস দোসর করে জীবন বিকিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং পরিণতিতে আওলিয়া কেরামের আসল পথ তথা প্রকৃত ইসলাম হারিয়ে গেছে, মিল্লাত পরাজিত হয়ে গেছে।

আওলিয়া কেরাম সত্যের ধারক সত্যের দিকদর্শন। যেখানে সত্য নেই সেখানে আওলিয়া কেরাম নেই। যেখানে মিথ্যা সেখানে আওলিয়া কেরাম নেই। সত্যের বিপরীত পথে থেকে, মিথ্যা ও জুলুমের সহযোগী হয়ে আওলিয়া কেরামের অনুসারী দাবী করা শুধু প্রতারণা নয়, তাঁদের সাধনা ও আদর্শের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করা। তরিকত, মাজার ওরশ যা কিছু আমাদের দ্বীনী রূহানী জীবনের অবিচ্ছেদ্য বিষয় সেসব পবিত্র নামেও চলছে অনেক বিকৃতি ও প্রহসন। অনেক স্থানেই হক বাতেলের কোন প্রশ্ন নেই, সত্যের দিশাও নেই, মিথ্যার বিরূদ্ধেও সচেতনতা নেই, আছে শুধু প্রদর্শনী, ফলে মুক্তিও নেই।

-" ইমাম হায়াত আলাইহে রাহমা "

Monday, August 12, 2013

মহাবীর আলেকজান্ডার

মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজান্ডার তার
সেনাপতিদের ডেকে বলেছিলেন,'আমার
মৃত্যুর
পর
আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে।
আমার প্রথম অভিপ্রায় হচ্ছে,শুধু আমার
চিকিতসকরাই
আমার কফিন বহন করবেন।
আমার ২য় অভিপ্রায় হচ্ছে, আমার কফিন
যে পথ
দিয়ে গোরস্থানে যাবে সেই পথে আমার
অর্জিত
সোনা ও রুপা ছড়িয়ে থাকবে |
আর শেষ অভিপ্রায় হচ্ছে, কফিন বহনের
সময়
আমার
দুইহাত কফিনের বাইরে ঝুলিয়েথাকবে।'
তার সেনাপতি তখন তাঁকে এই বিচিত্র
অভিপ্রায় কেন
করছেন প্রশ্ন করলেন। দীর্ঘ শ্বাস
গ্রহণকরে আলেকজান্ডার বললেন,
'আমি দুনিয়ার
সামনে তিনটি শিক্ষা রেখেযেতে চাই।
*আমার চিকিত্সকদের কফিন বহন
করতেএই
কারনে বলেছি যে যাতে লোকে অনুধাবন
করতে পারে যে চিকিত্সকেরা কোন
মানুষকে সারিয়ে তুলতে পারে না।
তারা ক্ষমতাহীন
আরমৃত্যুর
থাবা থেকে রক্ষা করতে অক্ষম।'
*'গোরস্হানের পথে সোনা-
দানা ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা ব
দানার একটা কণাও আমার
সঙ্গে যাবে না।এগুলো পাওয়ার
জন্যসারাটা জীবন
ব্যয় করেছি কিন্তু নিজের সঙ্গে কিছুই
নিয়ে যেতে পারছি না।মানুষ বুঝুক
এসবেরপেছনে ছোটা সময়ের অপচয়।'
* 'কফিনের বাইরে আমার হাত
ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা জানাতে
খালি হাতেই
পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছি।

Saturday, August 10, 2013

বেলালের নবি প্রেম

"হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর ইন্তেকালে বেলাল (রাঃ) প্রায়... পাগলের মতো হয়ে গেলেন। তিনি ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাচ্ছেন । সাহাবীরা তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন :- "যে দেশে মহানবী (সঃ) নেই,আমি সেখানে থাকবো না"।
এরপর তিনি মদীনা ছেড়ে দামস্কে চলে যান । কিছুদিন পরে বেলাল (রাঃ) সপ্নে দেখলেন যে মহানবী (সঃ)তাকে বলছেন, "হে বেলাল (রাঃ) তুমি আমাকে দেখতে আসো না কেন ''?
এ সপ্ন দেখে তিনি মহানবী (সঃ) এর রওজা মুবারক দেখতে মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা হন । বেলাল (রাঃ) এর আগমনের খবরে মদীনাবাসী আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় । বেলাল (রাঃ) হলেন মহানবী (সঃ) এর নিযুক্ত মুয়াজ্জিন । মহানবী (সঃ) এর ইন্তেকালের পর বেলাল (রাঃ) আর আযান দেননি ।তার কন্ঠে আযান শুনতে সাহাবীরা ব্যাকুল হয়ে আছেন । তারা তাকে আযান দিতে বললে তিনি বলেন যে, তিনি পারবেন না । অনেক জোর করে তাকে বললে তিনি উত্তরে বলেন, "আমাকে আযান দিতে বলো না । কারণ এটা আমিপারবো না । আমি যখন আযান দিই তখন আল্লাহু আকবর' বলার সময় আমি ঠিক থাকি ,'আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলার সময়ও ঠিক থাকি। 'আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' বলার সময় মসজিদের মিম্বারের দিকে তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ) বসে আছেন । কিন্তু যখন মিম্বারে তাকিয়ে তাকে দেখব তখন সহ্য করতে পারবো না।"
কিন্তু তবুও সাহাবীরা জোর করলো । অবশেষে হাসান ও হোসাইন (রাঃ) এসে তাকে জোর করলে তিনি রাজী হন । তার আযান শুনে সকল সাহাবীর চোখে পানি এসে যায় । কিন্তু আযানের মাঝেই বেলাল (রাঃ) বেহুশ হয়ে পরে যান । তাকে সকলেই ধরে নিয়ে যান ।
পরে জ্ঞান ফিরার পর তিনি সকলকে বলেন, "আমি যখন আযান দিচ্ছিলাম তখন 'আল্লাহু আকবর' বলার সময় আমি ঠিক ছিলাম । 'আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলার সময়ওঠিক ছিলাম । কিন্তু 'আশহাদু অন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' বলার সময় মসজিদের মিম্বারের দিকে তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ) আজ সেখান বসে নেই । এ দৃশ্য আমি সহ্য করতে পারলাম না । তাই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলাম।"
সুবাহানাল্লাহ !! সাহাবিরা নবী করীম (সঃ) কে কতই না ভালবাসতেন....
হে আল্লাহ, তুমি আমাদেরকে নবী কে আরো বেশি ভাল তৌফিক দান কর ।।

Thursday, August 1, 2013

আল্লামা অধ্যক্ষ জালালুদ্দীন আল কাদেরী

চট্টগ্রাম:  আল্লামা অধ্যক্ষ জালালুদ্দীন আল কাদেরী। ১৯৭১ সালের ৭ জুন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮০ সাল থেকে এ মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। ১৯৮৬ সালে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব হিসেবে যোগদান করে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। দায়িত্ব পালনকালে খ্যাতি পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। এ পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জামেয়া মাদ্রাসা তিনবার দেশের শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর জালালুদ্দীন আল কাদেরী শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের সদস্য ও শীর্ষ স্থানীয় এ আলেমসহ চট্টগ্রামের ১০ আলেমকে হত্যার পরিকল্পনা করে জামায়াত শিবির। ইসলামের নামে জামায়াতে ইসলামীর সহিংস রাজনীতি, মানুষ হত্যা, দেশের সম্পদ নষ্ট নিয়ে কোরান-হাদিসের আলোকে ইসলামের মূল বাণী কী তা নিয়ে জালালুদ্দীন আল কাদেরী কথা বলেছেন বাংলানিউজের সঙ্গে।

দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী তথাকথিত ‘তাফসিরুল কোরান’ মাহফিলের নামে শুরু থেকেই কোরান হাদিসের অপব্যাখ্যা করায় চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এই জালালুদ্দীন আল কাদেরীসহ চট্টগ্রামের চারজন শীর্ষ আলেম।

তারা সাঈদীকে কোরান-হাদিসের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে ‍অভিযোগ করে আলোচনায় বসার জন্য লিখিতভাবে জানালেও বৈঠকে বসেননি তিনি। বরং উল্টো বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদকারী এসব আলেমদের উপর হামলা করেছে জামায়াত-শিবির।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, “দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী বিভিন্ন মাহফিলে(ধর্মীয় সভা) ইসলামের অপব্যাখ্যা করায় কোরান হাদিস নিয়ে বৈঠকে বসার জন্য ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলাম। আলোচনায় বসার জন্য চট্টগ্রামের শীর্ষ চারজন আলেম স্বাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদনও তার কাছে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত তিনি কোন জবাব দেননি।” 

মাওলানা কাদেরী জানান, ‘তাফসিরুল কোরান” মাহফিল নাম দিয়ে সেখানে কোরান হাদিসের অপব্যাখ্যা করায় ১৯৮১ সালের দিকে (যখন সাঈদী ওয়াজ শুরু করেছেন) এই চ্যালেঞ্জ করেছিলাম আমরা।

চ্যালেঞ্জ করা চারজন আলেমদের মধ্যে সম্প্রতি হত্যার জন্য বাসায় রেকি করতে যাওয়া মুফতি ওবায়দুল হক নঈমীও ছিলেন।

জালালুদ্দীন বলেন, “সাঈদী কোরান হাদিসের ব্যাখ্যার নামে ভুল ব্যাখ্যা করে সমাজে বিশৃঙ্খলা ‍সৃষ্টি করে আসছেন। ধর্মের নামে মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াতেন উত্তেজনামূলক রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে।”

কোরান-হাদিসের আলোকে জামায়াত শিবির নেতারা সুন্নি আলেমদের সঙ্গে আলোচনায় বসার সাহস না থাকায় তাদের হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে হত্যা পরিকল্পনা:
চট্টগ্রামের শীর্ষ দশজন আলেমকে হত্যার মাধ্যমে জামায়াত-শিবির রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চেয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন জালালুদ্দীন।

তিনি বলেন, “হিটলিস্টভুক্ত ১০জন আলেমকে হত্যা করা হলে দেশের মানুষের মধ্যে বড় ধরণের প্রভাব পড়তো। ফলে সরকার পড়তেন বেকায়দায়। আর এ সুবিধা নিতেন পরিকল্পনাকারীরা।”

তিনি বলেন, “আমরা কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই। তবে সব সময় সরকারকে সহযোগিতা করে আসছি। যারা আল্লাহ এবং তার নবীকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয় তাদের বিরোধীতা করি।”

এ ঘটনার পর থেকে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা পাওয়াতে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ধর্মের নামে অধর্ম প্রচারে জামায়াত:
জামায়াতে ইসলাম ধর্মের নামে অধর্ম প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন জালালুদ্দীন আল কাদেরী। তিনি বলেন, ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। তারা যদি ইসলামের কথাই বলে তাহলে মানুষ হত্যার কথা নয়।

তিনি জানান, জামায়াতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদি নবী এবং সাহাবায়ে কেরাম নিয়েও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত সব সময় তার বিরোধীতা করে আসছে।

তিনি বলেন, “যে দলের প্রতিষ্ঠাতা নবীর শানে বেয়াদবী করেছে তার মতাদর্শের দল নবীর মর্যাদার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মানুষ মারছে, হত্যার পরিকল্পনা করছে, বিরোধীদের মতাদর্শের লোকজনকে হত্যা করছে।”

“তারাতো মূলত ধর্মের নামে অধর্মই প্রচার করছে,” যোগ করেন তিনি।

সংখ্যা লঘু রাষ্ট্রের আমানত:

ইসলামী রাষ্ট্রেও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী থাকলে তাদের হত্যা, নির্যাতন বা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কোন বিধান ইসলামে নেই বলে জানান অধ্যক্ষ আল্লামা জালালুদ্দীন আল কাদেরী।

তিনি বলেন, “রাষ্ট্রে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সমান। আর তাই রাষ্ট্রে সংখ্যা লঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। কারণ সংখ্যা লঘু সম্প্রদায় হলো রাষ্ট্রের আমানত।”

তিনি মহানবী (সা.) বিদায় হজ্বের ভাষণের উদৃতি দিয়ে বলেন, “মহানবী (সা.) বিদায় হজ্বের ভাষণে কারো উপর নির্যাতনকে হারাম করেছেন।”

“ভিন্ন মত পোষণ করলেও কারো উপর জুলম-অত্যাচার- নির্যাতন করা যাবে না।”

ইসলামে হত্যার বিধান নেই:
ইসলাম ধর্মে হত্যার কোন বিধান নেই বলে জানিয়ে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদের খতিব জালালুদ্দীন বলেন, “শুধু মানুষ নয় ইসলাম ধর্মে কোন পশু পাখি হত্যারও বিধান নেই।”

যারা ইসলাম ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে, মানুষের জান মালের ক্ষতি করে, দেশের সম্পদ নষ্ট করে তারা ইসলাম বুঝে না। বরং ইসলামের নামে রাজনীতি করে ইসলামকে কলঙ্কিত করছে।

ইসলাম শান্তির ধর্ম আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “আমরা সুফিবাদে বিশ্বাসী। আমরা সেই ইসলামের চর্চা করি যেখানে মারামারি, হানাহানি নেই। যারা এর বিরোধীতা করে তাদের সঙ্গে কোরান হাসিদের আলোকে কথা বলি।”

জামায়াত ইসলাম বিরোধী আকিদা (বিশ্বাস) পোষণ করে বলেই আমরা প্রতিবাদ করেছি। তাই আমাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, বলেন জালালুদ্দিন।

ইসলামে গুজব হারাম:
চাঁদে সাঈদীর ছবি দেখার বিষয়ে তিনি বলেন, “চাঁদ এবং সূর্য হলো আল্লার কুদরতের নিদর্শন। সেখানে কারো ছবি দেখা যাওয়ার ঘটনা নিতান্তই গুজব ছাড়া আর কিছু নয়। আর গুজব ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ণ হারাম।”

তিনি বলেন, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বিভিন্ন ‍গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে। যা ইসলামের বিধানে সম্পূর্ণভাবে হারাম বা অবৈধ।

যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের আইনে যদি কারো অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে রাষ্ট্র আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেখানে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। ইসলামেও তাই বলা হয়েছে।

ছুন্নী আন্দোলন,বাংলাদেশ।

কোরআনে পাকে যেখানে রাসূলের প্রতি স্বয়ং আল্লাহতায়ালা ফেরেশতামন্ডলীসহ সালাতু সালাম পেশ করছেন এবং মুমিনদেরকেও অত্যন্ত তাজিম সহকারে সালাতু সালাম পেশ করার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন (সূরা আহযাব, আয়াত-৫৬), সেখানে যারা সালাতু সালাম, মিলাদ মাহফিল ও কেয়ামের বিরোধিতা করে তারা পথভ্রষ্ট, মিথ্যা ও জাহান্নামী।

-" ইমাম হায়াত আলাইহে রাহমা "

Friday, July 12, 2013

Abu Musa প্রোফাইল থেকে সংগ্রহ

Abu Musa প্রোফাইল থেকে সংগ্রহ
গতকাল আমাদের মসজিদে হাফেজ সাহেব যখন ২য় পারা ২য় পৃষ্টায় বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম "ওয়ালা তা'ক্বুলু লিমায়য়ূকতালু ফি ছাবিলিল্লাহি আমওয়াত বাল আহইয়ায়ূও ওয়ালা কিল্লা তাসয়ূরূন" অর্থ - আল্লাহর রাস্তায় যারা শহীদ হয় তাদের তোমরা মৃত বলো না, বরং তারা জীবিত এবং আল্লাহ তাদের রিজ্বিক দান করেন !
এই আয়াটি পড়ার পর আমার মনে হঠাৎ আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) এর কথা স্বরন আসলো ! নামাজের মধ্য চিন্তা আসলো, বাতেলরা রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিভাবে মৃত বলে যেখানে আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা শহীদদের মৃত বলতে নিষেধ করেছেন !
শুধু কি তাই ওয়াহাবীদের নেতা ইসমাঈল দেহলভী তার তাকভিয়াতুল ঈমান গ্রন্থে বলেন - নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মরে পঁচে গলে মাটির সাথে মিশে গেছে, নাউযুবিল্লাহ (তাকভিয়াতুল ঈমান - পৃষ্টা - ৬০) !
অথচ আমার আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) যে হায়াতুন্নবী এইটার পক্ষে শুধু উক্ত আয়াতে কারীমা নয় বরং অনেক দলিল রয়েছে ! উক্ত আয়াতের আলোকে তাহকিক করে বলা যায় আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা পবিত্র কোরআনে প্রিয় ব্যক্তিদের যে চার স্থরের কথা বলেছেন সেগুলো হলো - ১ম স্থরের হলো - নবী/রাসুল, ২য় স্থরের হলো সিদ্দীকিন অর্থাৎ সাহাবায়ে কিরাম, ৩য় স্থরের হলো শহীদরা, ৪র্থ স্থরের হলো ছোয়ালেহীন বা আল্লাহর আউলিয়ারা !
দেখুন প্রিয়ভাজনদের কথা বলতে গিয়ে আল্লাহপাক শহীদদের কথা বলেছেন ৩য় স্থরে ! এবং আল্লাহপাক বলছেন তারা মৃত নয়, তাহলে আমার আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) কিভাবে মৃত হবে যেখানে শুধু শহীদ নয় সকল নবী থেকে আরাম্ভ করে পৃথীবির শেষ পর্যন্ত সকল মানুষের আমল এক পাল্লায় দিলে আমার আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) এর জ্বররা পরিমান আমলের সমান হবে না !

আচ্ছা আরো একটা মাসয়ালা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া প্রয়োজন ! নামাজের মধ্য আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) এর কথা স্বরন আসায় আমার নামাজ শুদ্ধ কিনা ? [কবুল কিনা তা আল্লাহ ও রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানেন)]

বুখারী শরীফের হাদিস - রাসুল আকরম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ইন্তকালের দিন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) এর ইমামতিতে ফজরের নামাজ চলছিল এমতাবস্থায় হুজরা পাক থেকে আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) পর্দা একটু ফাক করে সাহাবাদের নামাজ পড়া দেখছিলেন !
সঙ্গে সঙ্গে ঈমাম সহ সকল সাহাবী নামাজ অবস্থায় রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হুজরার দিকে ফিরে গেল ! আর আমার রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের ইশারা দিল তোমরা ফিরে যাও এবং নামাজ সম্পূর্ন করো !
"দেখুন সাহাবাদের রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি ভালোবাসা"
তারা নামাজ অবস্থায় থাকলেও মূলত তাদের মন ছিল রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দিকে !
আর ওয়াহাবীরা তাদের কিতাব সিরাতে মোস্তাকিমে লিখেন - নামাজে নবীর খেয়াল আসা যিনার সমতূল্য ! নাউযুবিল্লাহ

Saturday, July 6, 2013

মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী

একদিন শাহ শামসুস তীবরিজ নামের এক ফকির এসে মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমীর সামনে দাঁড়ালেন। মাওলানা রুমী তখন ইসলামী ফিকাহ শাস্ত্র পড়াশোনা করছিলেন। তখন ফকির শামসুস তীবরিজ জিজ্ঞাসা করলেন ই চিস্ত? (এটা কি পড়ছো?)
মাওলানা রুমী বললেন ইয়া ইলম মাসকে তু না দানা ( এটি এমন জ্ঞান যা তুমি বুঝবেনা)

একথা শুনে ফকির তীবরিজ মাওলানার সমস্ত বই পাশের নদীতে ফেলে দিলেন। তারপর নদীর মাঝখানে পানির উপর দাঁড়িয়ে সব বই গুলোকে পানি ঝেরে ওঠাতে লাগলেন আর বললেন মাওলানা দেখো কোন বই আবার ভিজে গেলোনা তো?

এবার মাওলানা রুমী শামসুস তীবরিজ কে জিজ্ঞাসা করলেন ই চিস্ত? (এটা কিভাবে করলে ?)
উত্তরে শাহ শামসুস তীবরিজ বললেন ইয়া ইলম মাসকে তু না দানা ( এটি এমন জ্ঞান যা তুমি বুঝবেনা)

মাওলানা রুমি তখনই শামসুর তীবরিজ এর কদম জড়িয়ে ধরলেন আর কান্না ভেজা গলা নিয়ে বললেন , ও মুরশিদ তোমার জানা মা'রিফাতের শিক্ষায় আমাকে সিক্ত করো। তার পরের ইতিহাস সবার জানা মাওলানা রুমী এতোদিন শুধু কিতাব পড়ে মাওলানা হতে পেরেছেন কিন্তু যখনই তিনি শামসুস তিবরীজ এর কাছে আসলেন তিনি হয়ে গেলেন মাওলায়ে রুম।

আজকে সমাজে যারা ইলমুল মারেফাত কে বাদ দিয়ে শুধু কিতাবী ইলমকেই আসল মনে করেন তাদেরকে এই ইতিহাসটি আবার স্মরন করিয়ে দিলাম।

জামায়াতি, ওয়াহাবী থেকে সাবদান

কাকে শরিয়্যা দলিল দিব ? যে বা যারা (জামায়াতি, ওয়াহাবীরা) কোরআন পড়ে অথচ তার মর্মার্থ বুঝে না, হাদিস পড়ে অথচ উসুলে হাদিস বুঝে না, ফেকাহ পড়ে অথচ উসুলে ফেকাহ বুঝে না !

তাই তারা মাজার জিয়ারতকে মাজার পূজা মনে করে, ফাতেহাকে ভাত পূজা মনে করে, ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপনকে জম্মাষ্টমী পূজা মনে করে, শবে বরাতকে লহ্মী পূজা মনে করে (নাউযুবিল্লাহ) !
তাদের শরিয়্যা দলিল দিয়ে লাভ নেই ! কারন বেয়াদবকে যতই দলিল দেন না কেন, তারা এগুলোর ভূল ব্যাখ্যা করবেই ! তাদের কাছে শরিয়্যা দলিল জ্বয়ফ, দূর্বল, বা অপব্যাখ্যা মনে হয় কারন তারা হলো মোনাফেক সর্দার যুল খোয়াইসারার যোগ্য প্রতিনিধি, যে মোনাফেক যুল খোয়াইসারা রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে গনিমতের মাল বন্টন করার সময় ইনসাফ তথা ন্যায় বিচার করতে বলেছিল অথচ আমার রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকেও পৃথিবীর শ্রেষ্ট ন্যায় বিচারক আর কেউ নেই !

মাজার জিয়ারতে আমরা কবরকে সামনে নিয়ে কোরআন তেলাওয়াত, তাছবীহ-তাহলীল, জিকির আযকার করি এতে মৃত ও জীবিত ব্যক্তি দুইজনেরই উপকার হয় (যা বাতেলরাও স্বীকার করে), ফাতেহাতে আমরা কোন খাবারকে সামনে নিয়ে বরকতের উদ্দেশ্য কোরআন তেলাওয়াত ও দরূদ শরীফ পড়ে গরীব মিছকিন ও সবাই মিলে আহার করি ! ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপন এ আমরা রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর দরূদ পড়ে পড়ে আনন্দ মিছিল করি ও এই ধরাতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর শুভাগমনে শুকরিয়া আদায়ার্থে আল্লাহর নামে গরু জবেহ করে গরীব মিছকিন ও সমাজের সকলের কাছে বিতরন করি, শবে বরাতের রাতে রাতভর ইবাদত করি ও পরদিন রোজা রাখি !

সচেতন পাঠক সমাজ, উপরোক্ত আলোচনাতে একটা কাজ দেখান তো যেটা শরিয়তের খেলাফ হয়েছে ! বরং উপরোক্ত কাজগুলোর দ্বারা সমাজের গরীব মিছকিনদের উপকার হয়েছে, আল্লাহর শুকরিয়া আদায় হয়েছে, আউলিয়াদের সম্মান জানানো হয়েছে, সর্বোপরি মহান আল্লাহর ইবাদত হয়েছে !

আর এই ইবাদতকে তারা পূজা মনে করে ! আসলে তারা তো করবেই ! আল্লাহর কাছে ইবলিশের একটা চাওয়া, তা হলো ইবলিশ সবসময় যেন আল্লাহর বান্দাদেরকে ইবাদত বিমূখ করে রাখতে পারে ! এই বাতেলরাতো মোনাফেক সর্দার যুল খোয়াইসারার যোগ্য প্রতিনিধি এবং ইবলিশেরই প্রেতার্থ ! তাই সাধারন ঈমানদার সুন্নি মুসলমান এদের থেকে বেঁচে থাকার জন্য সর্বদা মহান আল্লাহর দরবারে পানাহ চান

ইসলাম বনাম হেফাজতে ইসলাম



ইসলাম আরবি শব্দ। এর অর্থ সান্তি। এ জন্য ইসলামকে বলা হয় শান্তির ধর্ম। হেফাজতে ইসলাম অর্থ শান্তির ধর্মের রক্ষাকারী। এই ধর্মের সকল দিক নির্দেশনা সম্মলিত আসমানি গ্রন্থ হচ্ছে আল- করান। পবিত্র কোরআন সম্পর্কে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, একে রক্ষার মালিক তিনিই। অর্থাৎ পৃথিবীর কোন মানুষ বা সংগতনের হাতে কোরআন রক্ষার দায়িত্ব অর্পিত হয়নি। আর কোরআন রক্ষা মানে ইসলাম রক্ষা। অতয়েব ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব কারো উপর নেই। যারা নিজেদের হেফাজতে ইসলাম বা ইসলামের রক্ষাকারি বলছেন তারা প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর ক্ষমতার সাতে নিজেদের সম্পৃক্ত করছেন অর্থাৎ নিজেদের অংশীদার করচেন। এই অংশীদার কি শিরক নয়? অতয়েব যারা আল্লাহর অংশীদারি সৃষ্টি করে তারা কখনই মুসলমান হতে পারে না।

ভারতের ইমামের উক্তি

যখন কলকাতার হাইকোর্টে কোরআন ব্যান করে দেওয়ার জন্য মামলা হয়েছিল এভাবেই বক্তৃতা রাখছিলেন ভারতের দিল্লী শাহী মসজিদের ইমাম আব্দুল্লাহ বুখারি::::
"এ ভারতকে আমরা মুসলমানরা সাজিয়েছি । এ ভারতের কুতুব মিনার, তাজমহল, শিষমহল যা কিছু সুন্দর আমরাই বানিয়েছি। সেই মুসলমানদের কলিজা কোরআন ব্যান করার মত রায় যদি ভারতের কোন বিচারক দেয় আমি শুধু দিল্লি জুমা মসজিদের ইমাম নই আমি ভারতবর্ষের ২০কোটি মুসলমানের ইমাম
বলছি,
সে বিচারককে আমি পায়ের নিচে পাড়ায় ধরে বামহাত
দিয়ে তার জিহবাটা টেনে ছিড়ে ফেলে দিব।"
এই মহান নেতার মত নেতা ই আজ আমাদের সমাজের জন্ন্য দরকার!