Saturday, March 22, 2014


আল্লাহ পাকের হুকুমে জাহান্নামের আযাবদানকারী ফেরেশতা নবী হযরত লুত (আ) তার উম্মতদের জঘন্য অপরাধের শাস্তি স্বরূপ তাদের ধ্বংস করে দেয়া পয়গাম শুনালে নবী খুব ভেঙ্গে পড়েন। নবীকে সান্ত্বনা দিয়ে ফেরেশতারা বলেন যে " আল্লাহপাক আপনার পরিবারকে হেফাজত করবেন, শুধু আপনার স্ত্রী ছাড়া , কারনে সে অবিশ্বাসীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত "। এতে হযরত লুত (আ) আরও বিষণ্ণ হয়ে পড়লে , ফেরেশতারা বলেন যদি আপনার স্ত্রী এই এলাকা ছেড়ে যাবার সময় পিছনে না তাকায় তাহলে সে আল্লাহর গজবে পতিত হবে না,। সুদুম এলাকা থেকে রাতে আসার সময় নবী তার পরিবারের সকল সদস্যদেরকে পিছনে তাকাতে না বললেন। নবীর নির্দেশ সবাই শুনলেও তার অবাধ্য স্ত্রী শুনে নি।ফলে পিছনে ফিরে তাকানোর সাথে সাথেই আল্লাহর আজাবের ফেরেশতা তাকে পাথরের মূর্তিতে পরিনত করে দেন এবং সমগ্র সুদুম এলাকা উল্টে সমুদ্রে পরিনত করে দেন।

বর্তমানে যে পাথরের স্তম্ভ দেখতে পাচ্ছেন তা নবী লুতের স্ত্রীর জীবন্ত মূর্তি । যা আজও আল্লাহর কুদরতে ধ্বংস হয় নি।ইহা বর্তমানে জর্ডানের মৃত সাগর এলাকায় অবস্থিত।

Tuesday, March 18, 2014

কাদেরিয়া তরীকার খাস তালিম

পবিত্র কালেমা শরীফ "লা ইলাহা ইল্লালাহ" এ বার হরফের তালিম কাদেরিয়া তরীকার খাস তালিম। হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এ তালিম হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে প্রদান করেন। তাঁর মাদ্দমে এ তালিম হযরত হাসান বসরির (রাহমাতুল্লাহি আলায়হি) নিকট আসে। পরবর্তীতে এই তালিম সিনা থেকে সিনায় গুপ্ত ভাবে জারি ছিল। কিন্ত হযরত গাউসুল আযম বড়পীর শায়খ আবদুল কাঁদের জিলানী  রাহমাতুল্লাহি আলায়হি এই তালিমকে সুশৃঙ্খলিত ও সুনিয়ন্ত্রিত করেন এবং গুপ্ত ভাবে লিপিবদ্দ করে খাস মুরিদদিগকে প্রদান করেন। "লা ইলাহা ইল্লালাহ"এই বার হরফের মদ্দে দুনিয়ার সমস্ত রহস্য লুকায়িত। এই হরফই বিশ্বজগতের মূল কারন ও উৎস। তাওহীদের প্রকৃত রূপ এই পবিত্র কালেমা। এই বার হরফের মদ্য কোন নোকতা নেই। নোকতা শূন্য হরফের সাহায্যে কালেমার সৃষ্টি কেন হল ? তা গভীর রহস্য ঢাকা। এই কালেমাকে জানলে; চিনলে ও সঠিক ভাবে তাহকিক করে পড়লে, তাঁর কাছে সকল রহস্যর দ্বার উন্মোচিত হয়ে যাবে। যিনি এই কালেমার রহস্য জানেন, তিনিই আরিফন রব্বানি ও অলিয়ে কামিল এর মর্যাদায় আসীন হন। এইরূপ মানুষের জন্য পবিত্র হাদিস শরীফে বলা হয়েছে, যে তাহকিক করে জীবনে একটি বারের জন্য কালেমা পাঠ করেছে, তাঁর জন্য দোজখের আগুন হারাম।
এ ছাড়া কালেমার মদ্দে অংশ রয়েছে। কালেমার এই পাঁচ অংশ যাবতীয় মৌলিক পদার্থের সাথে মিশ্রিত। কালেমার এই পাঁচটি অংশেই সমস্ত বিশ্বজগত, দৃশ্য অদৃশ্য, জানা-অজানা, অতিত-ভবিষ্যৎ-বর্তমান এবং সমস্ত রহস্যর মূল ও নূর ই মহাম্মদির মূল উৎস। এই তালিম না পাওয়া পর্যন্ত কেউ সুফি সাধক হওয়ার উপযুক্ত হন না। বিস্তারিত এখানে-

Tuesday, March 11, 2014

সুন্দর একটি কারামত,সম্পূর্ণ পড়ুন কষ্ট করে।ভাল লাগলে লাইক এবং শেয়ার না করে এড়িয়ে যাবেন না....



হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়াসাল্লাম এর যিয়ারতের উদ্দেশ্য মদিনা মুনাওয়ারা সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন।অনেক ভক্ত-মুরীদও তাঁর সফর সঙ্গী হলেন।সফরের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের বোঝা তিনি উটের পিটের ওপর রাখলেন।বোঝার আকার একটু বড় দেখে কিছু লোক বলে উঠলেন এতবড় বোঝা প্রাণীর উপর রাখা বুযুর্গুদের শানের খেলাপ।যেহেতু এর দ্বারা তাদের কষ্ট হয়।এটা শুনে তিনি বললেন,বোঝা আমি উটের পিটের উপর রাখছি কিনা ভাল করে দেখুন।সবাই মনোযোগ দিয়ে দেখল যে,ঠিকই বোঝা উটের পিটের উপর নয় বরং উটের পিট হতে সামান্য উপরে ঝুলন্ত অবস্থায়।সবাই আশ্চর্য হয়ে ভুল বুঝতে পেরে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।তিনি ক্ষমা করে দিয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন আমি এইসব কিছু গোপন রাখতে চাই।কিন্তু সমস্যা হল অনেক সময় কিছু মানুষ না বুঝে সমালোচনা শরু করে দেয়।ফলে তারা গুনাহের ভাগী হয়ে যায়।সে সময় আমাকে বাধ্য হয়ে তাদেরকে গুনাহ্ থেকে বাঁচানোর জন্য আসল রহস্য প্রকাশ করতে হয়।আবার প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক সমস্যা দেখা দেয়।কারামতসমূহ দেখে মানুশ এমনভাবে হতবম্ব হয়ে যায় যে,তাদের হুঁশ আকল পর্যন্ত চলে যায়।
[Source:হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) ও তাঁর দরগাহ শরীফ,পৃষ্ঠা-১৪৮
by সৈয়দ মুহাম্মদ আজিজুর রহমান]