Saturday, October 20, 2018

সর্ব প্রথম আল্লাহ কি সৃষ্টি করেছেন??

তাখলিকে নূরে মোহাম্মাদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কিত হাদিসটি তাসনীফ করেছেন হাফিজুল কবির,মুহাদ্দিস মশহুর,
ইমাম আবদুর রাজ্জাক বিন হুম্মাম বিন নাফে আল সানআনি (রহঃ).যিনি ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহঃ) এর উস্তাদ ,, ইমাম বুখারীর (রহঃ) উস্তাদের উস্তাদ..তাঁহার এই মুসান্নাফ 
১১০০ আগে লেখা হয়েছে.সুবহানাল্লাহ ..
নবীজির নূর হওয়ার হাদিস নং-১৮
প্রকাশনা- বৈরুত ,লেবানন..
হাদিসে নূর এর সনদ পর্যালোচনা::
উক্ত সহীহ হাদিসের সনদের রাবীগণ বিশ্বস্ত এবং সিহা সিত্তার কিতাবে তাঁহাদের বর্ণিত অনেক হাদিস রয়েছে..বিশেষ করে জলিল কদর তাবেয়ী হজরত মোহাম্মদ ইবনে মোনকাদির (রহঃ) তাঁহার উস্তাদ সাহাবী হজরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাদি.) থেকে এই হাদিস বর্ণনা করেন.. তাবে তাবেয়ী হজরত আবু উরওয়া মুয়াম্মার বিন রাশিদ (রহঃ) বিশ্বস্ত..তিনি তাঁহার উস্তাদ হজরত ইবনে মোনকাদির (রহঃ) থেকে এবং মুহাদ্দিস ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ) তাঁহার উস্তাদ হজরত মুয়াম্মার (রাদি.) এই সহীহ হাদিস বর্ণনা করেন..
বিখ্যাত ছাহাবী হজরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত..
হাদীস শরীফ –
ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺭﺻﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﻠﺖ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺑﺎﺑﻲ ﺍﻧﺖ ﻭ ﺍﻣﻲ ﺍﺧﺒﺮﻧﻲ ﻋﻦ ﺍﻭﻝ ﺷﻴﻲﺀ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻗﺎﻝ ﻳﺎ ﺟﺎﺑﺮ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﻓﺠﻌﻞ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﻳﺪﻭﺭ ﺑﺎﻟﻘﺪﺭﺓ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻓﻲ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻮﻗﺖ ﻟﻮﺡ ﻭﻻ ﻗﻠﻢ ﻭﻻ ﺟﺘﺔ ﻭﻻ ﻧﺎﺭ ﻭﻻ ﻣﻠﻚ ﻭﻻ ﺳﻤﺎﺀ ﻭﻻ ﺍﺭﺽ ﻭﻻ ﺷﻤﺲ ﻭﻻ ﻗﻤﺮ ﻭﻻ ﺟﻨﻲ ﻭﻻ ﺍﻧﺴﻲ …. ﺍﻟﻲ ﺍﺧﺮ
অর্থ: হযরত জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবানি হোক,
আপনি আমাকে জানিয়ে দিন যে, আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন? তিনি বলেন, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম সব কিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর সেই নূর মুবারক আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছা অনুযায়ী কুদরতের মাঝে ঘুরছিলো।আর সে সময় লওহো, ক্বলম, জান্নাত, জাহান্নাম,
ফেরেশতা, আসমান, জমিন, চন্দ্র, সূর্য,
মানুষ ও জ্বিন কিছুই ছিলো না। (“সংক্ষেপিত)
এই হাদীসটি অনেক বড় তাই সংক্ষেপ করা হয়েছে.
এই হাদীসটি সহ নবীজির নূর হওয়ার অন্যান্য রেওয়ায়েত এসেছে.
# 1.দালায়েলুন নবুওয়ত/মুহাদ্দিস কবির, ইমাম হাফেজ আবু বকর বায়হাকী শাফেয়ী (রহঃ)
# 2.মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক (রহঃ)
# 3.মিরকাত শরহে মিশকাত কৃত মোল্লা আলী কারী হানাফী (রহঃ)
# 4.দাকাইকুল আখবার কৃত মুজাদ্দিদে দ্বীন,হুজ্জাতুল ইসলাম , ইমাম আবু হামিদ গাজ্জালী শাফেয়ী (রহঃ)
# 5.শরহে শামায়েলে তিরমিযী কৃত শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী শাফেয়ী (রহঃ)
# 6.ফতহুল বারী শরহে সহীহ বুখারী কৃত শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী শাফেয়ী (রহঃ)
# 7.দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩
# 8 মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া,,ইমাম কুস্তুলানী (রহঃ) ১/৯
# 9 মাদারেজুন নবুওয়াত ২/২
# 10. যুরকানী শরীফ ১/৪৬
# 11.তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫
# 12.সীরাতে হালবীয়া ১/৩০
# 13. নি’ মাতুল কুবরা,,ইমাম ইবনে হাজার হায়তামী মক্কী (রহঃ)
# 14.হাদ্বীকায়ে নাদীয়া আল্লামা আব্দুল গনি নাবলুসি (রহঃ) ২/৩৭৫
# 15. দাইলামী শরীফ ২/১৯১
# 16.মকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ নং মকতুব
# 17.মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ
# 18 রুহুল বয়ান শরীফ সহ প্রভৃতি নির্ভরযোগ্য দ্বীনি কিতাবাদীতে

Wednesday, October 3, 2018

মে'রাজ শরীফ ও আত্তাহিয়াতুর রহস্য

মে'রাজ শরীফ আমাদের প্রিয়নবী  হুজুর পোরনুর রহমতে আলম নুরে মুজাচ্ছম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লামের অগণিত মুজেজা সমূহের মধ্য শ্রেষ্ঠতম আজিমুহসান ও আশর্যজনক  মুজেজা। এহেন মর্যদা ও সম্মান একমাত্র আমাদের প্রিয়নবী সাইয়োদুল মুরসালীন খাতামুন্নাবীঈন আলাইহিস সালাতু অয়াস সালামের জন্মোই নির্ধারিত ছিল। অন্ন্য কোন নবী রাসুলের ভাগ্য তা ঘটে নাই। বোখারি শরীফ, মুসলিম শরীফ এবং খাসায়েসে কুবরা, মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া, মাদারেজুন্নবুয়ত, অন্যান্য হাদিসের কিতাব সমূহে মে'রাজ শরীফের বর্ননা বিস্তারিত ও বিশদভাবে বর্ণিত আছে।

নবুয়তের দ্বাদশ বর্ষে রজব মাসের ২৭ রজনীতে হুযুরে আক্রাম-নুরে মুজাচ্ছাম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লামের এহেন আজিমুশান অনুপম মর্যদা ও সম্মান মে'রাজ শরীফের  মাধ্যমে হাসিল হয়। অপরিসীম রহমত ও বরকতপূর্ন ঐ রজনীতে হুযুর সৈয়দে  আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  হযরত উম্মে হানী বিনতে আবু তালেবের গৃহে আরাম করছিলেন। এমনি সময়  হঠাত জিবরাঈল  আলাইহিসালাম ৭০ হাজার ফেরেশতাসহ বেহেস্তি বাহন বোরাক নিয়ে হাজির হলেন। মাহবুবে খোদা মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিদ্রায় আরাম করছেন। হযরত জিবরাঈলের সঙ্গে হযরত মিকাঈল ও হযরত ইসরাফিল আলাইহিমুস সালাম ও আগমন করছেন। এবং প্রত্যেকের সঙ্গে ৭০ হাজার ফেরেশতা ছিল। হযরত জিবরাঈল আমীন অতিশয় আদবের সাতে মাহবুবে খোদা আলাইহিস সালামের কদম মোবারকে চুম্বন করলেন। এবং উনাকে জাগ্রত করলেন, আল্লাহর দাওয়াত পৌচালেন। অতপর জিবরাঈল আমিন অত্তান্ত দ্রুতগামী এক বেহেস্তি বাহন বোরাক হাজির করলেন।  এই বোরাক বেহেশতে হুজুর  পোরনুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম এর মহব্বতে কাঁদতে ছিল। জিবরাঈল আমিন ৭০ হাজার বোরাক দেখেছেন, প্রত্যেকটি হুজুর পাকের ইশক ও মহব্বতে ভিবর ছিল। হযরত জিবরাঈল আমিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলো যে বোরাকটি উহা মাথা নিচু করে ক্রন্দন করছিল। জিবরাঈল আমিন জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি ক্রন্দন করছ কেন? বোরাক উত্তরে বলল অন্তরে এত টুকু আশা ও ভরসা নাই যে আল্লাহ পাকের প্রিয় হাবিব আমার পৃষ্ঠে আরোহন  করবেন। বোরাকের ক্রন্দন ও বিনম্র আবেদন আল্লাহ পাকের পছন্দ হল, এবং একে পছন্দ করে নেওয়ার জন্য জিবরাঈল আমিন এর প্রতি হুকুম হল।

যা হোক, বোরাকের পৃষ্ঠে হুজুর পোরনুর সাহেবে লাওলাক আলাইহিস সালাম যখন আরোহন করলেন, বোরাক তখন চঞ্চলতার সাথে লাফাতে ছিলেন। জিবরাঈল আমিন বোরাক কে সান্ত হতে আদেশ দিলেন, এবং বললেন তুমি কি অবগত আছ , তোমার পৃষ্ঠে কে আরোহন করছেন???? তিনি আল্লাহর হাবিব সাইয়োদুল মুরসালিন, এ কথা শ্রবন করে বোরাক শান্ত হয়। তার সর্বাং হতে ঘাম নির্গত হয়।  বোরাক উত্তরে বলে - আজ আমার সৌভাগ্যর জন্য আমি আনন্দে বিমোহিত।

অতঃপর হুজুর সারোয়ারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বোরাকে আরোহন করলেন, জিবরাঈল আমিন লাগাম ধরলেন, মিকাঈল ও লাগাম ধরলেন, ইসরাফিল জমিন কে শান্তনা দিলেন। হাজার হাজার ফেরেশতার সালাত ও সালামের ধ্বনিতে জমিন ও আসমান মুখরিত। মেরাজের রজনীতে যিনি আহবান করেছেন তিনি স্বয়ং নূর, যিনি আজিমুশান মেহমান, যিনি বোরাকে আরোহণকারী তিনিও নূর, বাহন-বোরাক নূর, ডাইনে ও বামে রেকাব ধারণকারী জিবরাঈল আমিন ও মিকাঈল নূর, এবং পিচু পিচু ইসরাফিল আলাইহিস সালাম সহ হাজার হাজার ফেরেশতা নূর। মোটকথা দুলহাও নূর, বরযাত্রীও নূর, শবে আসরা নুরে নুরানী হয়েছে।

অতঃপর, হুজুর সারোয়ারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতিশয় সান-শওকতের সাথে মক্কা মোয়াজ্জামা বাইতুল্লাহ শরীফ হইতে বাইতুল মোকাদ্দাসের দিকে রওনা হলেন। হুযুরে আনোয়ার যে রাস্তা দিয়ে গমন করেন তা এবং চতুর্দিকে অপূর্ব নুরানী জ্যোতিতে জ্যোতির্ময় হয়ে রইল। হুযুরে আনোয়ার অল্প সময়ে তুর পর্বতে যেথায় হযরত মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহপাক জাল্লা শানুহুর সঙ্গে কালাম বিনিময় করেছিলেন, তথায় এবং বাইতুলহাম যেথায় হযরত ঈষা আলাইহিস সালাম জন্ম গ্রহন করেছিলেন তথায় আগমন করলেন। এ সমস্থ পবিত্রস্থানে হযরত জিবরাইল আমিনের আবেদনক্রমে  হুযুরে পাক সাহেবে লাওলাক আলাইহিস সালাম দুই দুই রাকাত করে নামাজ আদায় করলেন এবং এরূপে বাইতুল মোকাদ্দাস পৌঁছলেন।

বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদে আঁকসায় পর্ব হতে হুজুর সাইয়োদুল মুরসালিন ইমামুল আম্বিয়া সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের আগমন প্রতীক্ষায় তাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য হযরত আদম আলাইহিস সালাম হতে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম পর্যন্ত সমস্ত আম্বিয়া ও মুরসালিনগন সারিবদ্দ অবস্থায় অবস্থান করছেন। সামনে ইমামের জায়নামাজ খালি রয়েছে। প্রিয়নবী হযরত মাহবুবে খোদা  মোহাম্মদ মোস্থফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বোরাক হতে অবতরণ করে সবার সাথে মোলাকাত করলেন। জিবরাঈল আমিন পুর্ববর্তি সমস্ত আম্বিয়া ও মোরসালিনগনের সাথে সাইয়োদুল মুরসালিন এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।

এ আজান শ্রবন পুর্বক সমস্ত ফেরেশতাগন মসজিদ পুর্ণ করে জমিন ও আকাশ পর্যন্ত সারিবদ্দ হয়ে দাড়িয়ে গেল। জিবরাঈল আমিন আলাইহিস সালাম তাকবীর পাঠ করলেন, সকলে কাতার সোজা করে দাঁড়িয়ে গেলেন। প্রথমে নবীগনের কাতার, তারপর ফেরেশতাদের কাতার এবং সকলের ইমাম হলেন আম্বিয়া ও মুরসালিনগনের বাদশা সাইয়োদুল মুরসালিন ইমামুল মুরসালিন হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। দু রাকাত নামাজ আদায় করলেন (সুবাহানাল্লাহ)। যে নামাজের মোয়াজ্জিন ফেরেশতাগনের সর্দার, ইমাম হলেন আম্বিয়া ও মুরসালীন গনের সর্দার, আর মুক্তাদী হলেন তামাম আম্বিয়া ও মুরসালীনগন ও সমস্ত আসমান ও জমিনের ফেরেশতাগন। অতএব  ঐ নামাজের ইসরার মর্যদা ও মরতবা সম্পর্কে ধারণা করার সাধ্য কার আছে????


বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদে আঁকসা হতে অবসর হওয়ার পর জিবরাইল আমীন আরজ করলেন ইয়া রাসুলল্লাহ, আসমানবাসি ফেরেস্তাগন আপনার অপেক্ষায় রয়েছেন। এখন আপনি উর্ধ জগতের দিকে তসরিপ নিয়ে চলুন। হুজুরে আনোয়ার আলাইহিস সালাম পুনরায় বোরাকে আরোহন করে উর্ধ জগতের সফর শুরু করলেন। এ সফরও আশর্যজনক ও রহস্যপুর্ন ছিল।ফেরেস্তাগনের সাথে আম্বিয়া আলাইহিস সালামগনও সালাত ও সালামে মুখরিত ছিলেন। হুজুর পোরনুর সারোয়ারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিদ্যুৎ গতি সম্পন্ন বোরাক উর্ধগামি হতেছিল। তারপর প্রথম আকাশে পৌছিলে জিবরাইল আমীন আকাশের দরজায় আঘাত করলেন। দারোয়ান প্রশ্ন করল কে?? উত্তর হল আমি জিবরাইল। দারোয়ান জানতে চাইল তোমার সঙ্গে কে ??  উত্তরে জিবরাইল আমীন বললেন আমার সঙ্গে আল্লাহর মাহবুব মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম। দারোয়ান মারহাবা মারহাবা বলে দরজা খুলে দিল। তখন হুযুরে আনোয়ার প্রথম আকাশে মানব জাতির আদি পিতা হযরত আদম আলাইহিস সালাম এর সাথে মোলাকাত করলেন। আদি পিতা হযরত আদম আলাইহিস সালাম হুজুর পোরনুর আলাইহিস সালামকে সালাত ও সালাম সহ মারহাবা মারহাবা বলে স্বাগত জানালেন। তারপর হুযুরে পাক সাহেবে লাওলাক দ্বিতীয় আসমানে পৌছলেন। তথায় হুযুরে আনোয়ার আলাইহিস সালামকে হযরত ইয়াহহিয়া আলাইহিস সালাম ও হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উভয়ে সালাত ও সালাম সহকারে মোবারকবাদ জানালেন।



আত্তাহিয়াতু আসলে,আল্লাহর সাথে আমাদের মহানবী (সঃ) কথোপকথন একটা অংশ। যা আমাদের মহানবী (সঃ) ইসরাইল মিরাজ যাত্রার সময় হয়েছে মহান আল্লাহর সাথে! মহানবী (সঃ) যখন আল্লাহর সাথে কথোপকথন শুরু করে তখন আল্লাহকে আসসালামু আলাইকুম বলেননি!

তাহলে কি বলেছিল...?

কারন,আমরা মহান আল্লাহকে বলতে পারব না,আল্লাহ আপনার উপর শান্তি নাজিল হউক! কারন,আল্লাহ নিজেই একমাত্র পৃথিবীর সকল শান্তির এবং রহমতের উৎপত্তিস্থল!

মহানবী (সঃ) আল্লাহকে উদেশ্য করে বলেছিলেন:-

▪আত্তাহিইয়া-তু লিল্লা-হি ওয়াছ ছালাওয়া - তু ওয়াত্ ত্বাইয়িবা -তু

অর্থঃ- যাবতীয় সম্মান,যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য।

উওরে মহান আল্লাহ বলেন:-

▪আসসালা-মু'আলায়কা আইয়ুহান্নাবিয়ু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া-বারাকাতুহু।

অর্থঃ- হে নবী,আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি সমূহ নাযিল হউক।

এতে মহানবী (সঃ) বলেন:-

▪আসসালা-মু-আলায়না ওয়া আলা ইবাদিল্লা-হিছছালেহীন।

অর্থ:- আল্লাহর সমৃদ্ধি শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপরে।

মহান আল্লাহ এবং মহানবী (সঃ) এই কথোপকথন শুনে ফেরেস্তারা বলেন:-

▪আশহাদু আল লা-ইলাহা ইলল্লালাহু ওয়া আশহাদুআন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু।

অর্থ:- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,মুহাম্মাদ (সঃ) তার বান্দা ও রাসূল।
"সুবহানাল্লাহ