Friday, July 12, 2013

Abu Musa প্রোফাইল থেকে সংগ্রহ

Abu Musa প্রোফাইল থেকে সংগ্রহ
গতকাল আমাদের মসজিদে হাফেজ সাহেব যখন ২য় পারা ২য় পৃষ্টায় বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম "ওয়ালা তা'ক্বুলু লিমায়য়ূকতালু ফি ছাবিলিল্লাহি আমওয়াত বাল আহইয়ায়ূও ওয়ালা কিল্লা তাসয়ূরূন" অর্থ - আল্লাহর রাস্তায় যারা শহীদ হয় তাদের তোমরা মৃত বলো না, বরং তারা জীবিত এবং আল্লাহ তাদের রিজ্বিক দান করেন !
এই আয়াটি পড়ার পর আমার মনে হঠাৎ আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) এর কথা স্বরন আসলো ! নামাজের মধ্য চিন্তা আসলো, বাতেলরা রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিভাবে মৃত বলে যেখানে আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা শহীদদের মৃত বলতে নিষেধ করেছেন !
শুধু কি তাই ওয়াহাবীদের নেতা ইসমাঈল দেহলভী তার তাকভিয়াতুল ঈমান গ্রন্থে বলেন - নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মরে পঁচে গলে মাটির সাথে মিশে গেছে, নাউযুবিল্লাহ (তাকভিয়াতুল ঈমান - পৃষ্টা - ৬০) !
অথচ আমার আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) যে হায়াতুন্নবী এইটার পক্ষে শুধু উক্ত আয়াতে কারীমা নয় বরং অনেক দলিল রয়েছে ! উক্ত আয়াতের আলোকে তাহকিক করে বলা যায় আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা পবিত্র কোরআনে প্রিয় ব্যক্তিদের যে চার স্থরের কথা বলেছেন সেগুলো হলো - ১ম স্থরের হলো - নবী/রাসুল, ২য় স্থরের হলো সিদ্দীকিন অর্থাৎ সাহাবায়ে কিরাম, ৩য় স্থরের হলো শহীদরা, ৪র্থ স্থরের হলো ছোয়ালেহীন বা আল্লাহর আউলিয়ারা !
দেখুন প্রিয়ভাজনদের কথা বলতে গিয়ে আল্লাহপাক শহীদদের কথা বলেছেন ৩য় স্থরে ! এবং আল্লাহপাক বলছেন তারা মৃত নয়, তাহলে আমার আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) কিভাবে মৃত হবে যেখানে শুধু শহীদ নয় সকল নবী থেকে আরাম্ভ করে পৃথীবির শেষ পর্যন্ত সকল মানুষের আমল এক পাল্লায় দিলে আমার আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) এর জ্বররা পরিমান আমলের সমান হবে না !

আচ্ছা আরো একটা মাসয়ালা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া প্রয়োজন ! নামাজের মধ্য আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) এর কথা স্বরন আসায় আমার নামাজ শুদ্ধ কিনা ? [কবুল কিনা তা আল্লাহ ও রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানেন)]

বুখারী শরীফের হাদিস - রাসুল আকরম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ইন্তকালের দিন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) এর ইমামতিতে ফজরের নামাজ চলছিল এমতাবস্থায় হুজরা পাক থেকে আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) পর্দা একটু ফাক করে সাহাবাদের নামাজ পড়া দেখছিলেন !
সঙ্গে সঙ্গে ঈমাম সহ সকল সাহাবী নামাজ অবস্থায় রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হুজরার দিকে ফিরে গেল ! আর আমার রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের ইশারা দিল তোমরা ফিরে যাও এবং নামাজ সম্পূর্ন করো !
"দেখুন সাহাবাদের রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি ভালোবাসা"
তারা নামাজ অবস্থায় থাকলেও মূলত তাদের মন ছিল রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দিকে !
আর ওয়াহাবীরা তাদের কিতাব সিরাতে মোস্তাকিমে লিখেন - নামাজে নবীর খেয়াল আসা যিনার সমতূল্য ! নাউযুবিল্লাহ

Saturday, July 6, 2013

মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী

একদিন শাহ শামসুস তীবরিজ নামের এক ফকির এসে মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমীর সামনে দাঁড়ালেন। মাওলানা রুমী তখন ইসলামী ফিকাহ শাস্ত্র পড়াশোনা করছিলেন। তখন ফকির শামসুস তীবরিজ জিজ্ঞাসা করলেন ই চিস্ত? (এটা কি পড়ছো?)
মাওলানা রুমী বললেন ইয়া ইলম মাসকে তু না দানা ( এটি এমন জ্ঞান যা তুমি বুঝবেনা)

একথা শুনে ফকির তীবরিজ মাওলানার সমস্ত বই পাশের নদীতে ফেলে দিলেন। তারপর নদীর মাঝখানে পানির উপর দাঁড়িয়ে সব বই গুলোকে পানি ঝেরে ওঠাতে লাগলেন আর বললেন মাওলানা দেখো কোন বই আবার ভিজে গেলোনা তো?

এবার মাওলানা রুমী শামসুস তীবরিজ কে জিজ্ঞাসা করলেন ই চিস্ত? (এটা কিভাবে করলে ?)
উত্তরে শাহ শামসুস তীবরিজ বললেন ইয়া ইলম মাসকে তু না দানা ( এটি এমন জ্ঞান যা তুমি বুঝবেনা)

মাওলানা রুমি তখনই শামসুর তীবরিজ এর কদম জড়িয়ে ধরলেন আর কান্না ভেজা গলা নিয়ে বললেন , ও মুরশিদ তোমার জানা মা'রিফাতের শিক্ষায় আমাকে সিক্ত করো। তার পরের ইতিহাস সবার জানা মাওলানা রুমী এতোদিন শুধু কিতাব পড়ে মাওলানা হতে পেরেছেন কিন্তু যখনই তিনি শামসুস তিবরীজ এর কাছে আসলেন তিনি হয়ে গেলেন মাওলায়ে রুম।

আজকে সমাজে যারা ইলমুল মারেফাত কে বাদ দিয়ে শুধু কিতাবী ইলমকেই আসল মনে করেন তাদেরকে এই ইতিহাসটি আবার স্মরন করিয়ে দিলাম।

জামায়াতি, ওয়াহাবী থেকে সাবদান

কাকে শরিয়্যা দলিল দিব ? যে বা যারা (জামায়াতি, ওয়াহাবীরা) কোরআন পড়ে অথচ তার মর্মার্থ বুঝে না, হাদিস পড়ে অথচ উসুলে হাদিস বুঝে না, ফেকাহ পড়ে অথচ উসুলে ফেকাহ বুঝে না !

তাই তারা মাজার জিয়ারতকে মাজার পূজা মনে করে, ফাতেহাকে ভাত পূজা মনে করে, ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপনকে জম্মাষ্টমী পূজা মনে করে, শবে বরাতকে লহ্মী পূজা মনে করে (নাউযুবিল্লাহ) !
তাদের শরিয়্যা দলিল দিয়ে লাভ নেই ! কারন বেয়াদবকে যতই দলিল দেন না কেন, তারা এগুলোর ভূল ব্যাখ্যা করবেই ! তাদের কাছে শরিয়্যা দলিল জ্বয়ফ, দূর্বল, বা অপব্যাখ্যা মনে হয় কারন তারা হলো মোনাফেক সর্দার যুল খোয়াইসারার যোগ্য প্রতিনিধি, যে মোনাফেক যুল খোয়াইসারা রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে গনিমতের মাল বন্টন করার সময় ইনসাফ তথা ন্যায় বিচার করতে বলেছিল অথচ আমার রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকেও পৃথিবীর শ্রেষ্ট ন্যায় বিচারক আর কেউ নেই !

মাজার জিয়ারতে আমরা কবরকে সামনে নিয়ে কোরআন তেলাওয়াত, তাছবীহ-তাহলীল, জিকির আযকার করি এতে মৃত ও জীবিত ব্যক্তি দুইজনেরই উপকার হয় (যা বাতেলরাও স্বীকার করে), ফাতেহাতে আমরা কোন খাবারকে সামনে নিয়ে বরকতের উদ্দেশ্য কোরআন তেলাওয়াত ও দরূদ শরীফ পড়ে গরীব মিছকিন ও সবাই মিলে আহার করি ! ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপন এ আমরা রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর দরূদ পড়ে পড়ে আনন্দ মিছিল করি ও এই ধরাতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর শুভাগমনে শুকরিয়া আদায়ার্থে আল্লাহর নামে গরু জবেহ করে গরীব মিছকিন ও সমাজের সকলের কাছে বিতরন করি, শবে বরাতের রাতে রাতভর ইবাদত করি ও পরদিন রোজা রাখি !

সচেতন পাঠক সমাজ, উপরোক্ত আলোচনাতে একটা কাজ দেখান তো যেটা শরিয়তের খেলাফ হয়েছে ! বরং উপরোক্ত কাজগুলোর দ্বারা সমাজের গরীব মিছকিনদের উপকার হয়েছে, আল্লাহর শুকরিয়া আদায় হয়েছে, আউলিয়াদের সম্মান জানানো হয়েছে, সর্বোপরি মহান আল্লাহর ইবাদত হয়েছে !

আর এই ইবাদতকে তারা পূজা মনে করে ! আসলে তারা তো করবেই ! আল্লাহর কাছে ইবলিশের একটা চাওয়া, তা হলো ইবলিশ সবসময় যেন আল্লাহর বান্দাদেরকে ইবাদত বিমূখ করে রাখতে পারে ! এই বাতেলরাতো মোনাফেক সর্দার যুল খোয়াইসারার যোগ্য প্রতিনিধি এবং ইবলিশেরই প্রেতার্থ ! তাই সাধারন ঈমানদার সুন্নি মুসলমান এদের থেকে বেঁচে থাকার জন্য সর্বদা মহান আল্লাহর দরবারে পানাহ চান

ইসলাম বনাম হেফাজতে ইসলাম



ইসলাম আরবি শব্দ। এর অর্থ সান্তি। এ জন্য ইসলামকে বলা হয় শান্তির ধর্ম। হেফাজতে ইসলাম অর্থ শান্তির ধর্মের রক্ষাকারী। এই ধর্মের সকল দিক নির্দেশনা সম্মলিত আসমানি গ্রন্থ হচ্ছে আল- করান। পবিত্র কোরআন সম্পর্কে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, একে রক্ষার মালিক তিনিই। অর্থাৎ পৃথিবীর কোন মানুষ বা সংগতনের হাতে কোরআন রক্ষার দায়িত্ব অর্পিত হয়নি। আর কোরআন রক্ষা মানে ইসলাম রক্ষা। অতয়েব ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব কারো উপর নেই। যারা নিজেদের হেফাজতে ইসলাম বা ইসলামের রক্ষাকারি বলছেন তারা প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর ক্ষমতার সাতে নিজেদের সম্পৃক্ত করছেন অর্থাৎ নিজেদের অংশীদার করচেন। এই অংশীদার কি শিরক নয়? অতয়েব যারা আল্লাহর অংশীদারি সৃষ্টি করে তারা কখনই মুসলমান হতে পারে না।

ভারতের ইমামের উক্তি

যখন কলকাতার হাইকোর্টে কোরআন ব্যান করে দেওয়ার জন্য মামলা হয়েছিল এভাবেই বক্তৃতা রাখছিলেন ভারতের দিল্লী শাহী মসজিদের ইমাম আব্দুল্লাহ বুখারি::::
"এ ভারতকে আমরা মুসলমানরা সাজিয়েছি । এ ভারতের কুতুব মিনার, তাজমহল, শিষমহল যা কিছু সুন্দর আমরাই বানিয়েছি। সেই মুসলমানদের কলিজা কোরআন ব্যান করার মত রায় যদি ভারতের কোন বিচারক দেয় আমি শুধু দিল্লি জুমা মসজিদের ইমাম নই আমি ভারতবর্ষের ২০কোটি মুসলমানের ইমাম
বলছি,
সে বিচারককে আমি পায়ের নিচে পাড়ায় ধরে বামহাত
দিয়ে তার জিহবাটা টেনে ছিড়ে ফেলে দিব।"
এই মহান নেতার মত নেতা ই আজ আমাদের সমাজের জন্ন্য দরকার!