Thursday, December 28, 2017

শয়তানের যুক্তি

শয়তানে দেখাবে তোমায় কত রকম যুক্তি, এই যুক্তি দিয়ে পরকালে পাইবানারে মুক্তি। আউয়াল তুমি শয়তানের সাথে তর্ক এন্ড যুক্তি দিয়ে পারবে না। কারন শয়তান ৬ লাখ ৫০ হাযার বছর ইবাদত করছে আল্লাহর। সেই তুলনায় তুই আর আমি কি?? ওরা তুর ঈমান নিয়ে ছাড়বে, যেমন হয়েছিল শয়তানের। মাফ চাই শয়তানের কাছে আমি পারবোনা তোমাদের সাথে। কোন রকম যুক্তি প্রমান ছাড়া মিলাদ কিয়াম জায়েজ। তোমরা মানলে মান, না মানলে শয়তানের সাথে ইবাদত কর আমরা বাড়াবাড়ি করব না।

Wednesday, December 27, 2017

ফতুয়া দেওয়া খুব সহজ ।

একবার এক নারীর বিয়ে হলো। কিন্তু স্বামীর সাথে কোনো ধরনের শারীরিক সম্পর্ক হওয়ার আগেই স্বামীটি মারা গেলেন। আবার বিয়ের সময় মাহ্‌র (দেনমোহর)-ও নির্ধারণ করা হয়নি। এই মহিলার মাহ্‌রের কী হবে সেটা নিয়ে লোকজন বেশ ঝামেলায় পড়ে গেলেন।
তারা ‘আবদুল্লাহ ইব্‌ন্‌ মাস‘ঊদের কাছে এলেন ফাতওয়া নিতে। আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট থাকুক। উনি বললেন, “আল্লাহর রাসূলের ﷺ কাছ থেকে চলে আসার পর, আমাকে এর চেয়ে বেশি কঠিন আর কোনো প্রশ্ন করা হয়নি। অন্য কারও কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করো।”
একমাস লেগে থাকার পরও যখন সাহাবি ‘আবদুল্লাহ কোনো ফাতওয়া দিলেন না, লোকজন তখন বললেন, "আপনাকে জিজ্ঞেস না করে আমরা অন্য আর কাকে জিজ্ঞেস করব বলেন? এই অঞ্চলে আপনি ‎নবিজির ‎ﷺ সবচেয়ে প্রখ্যাত সাহাবিদের অন্যতম। আপনার মতো আর কেউ নেই এখানে।”
অগত্যা তিনি বললেন, "ঠিক আছে, আমি তোমাদেরকে তার (মহিলার) ব্যাপারে আমার সর্বোত্তম মতামত দেওয়ার চেষ্টা করব। যদি তা সঠিক হয়, তাহলে তা শুধুমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাঁর কোনো শরিক নেই। আর যদি তা ভুল হয়, তাহলে তা আমার ও শয়তানের পক্ষ থেকে। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) তা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত থাকবেন..." এরপর তিনি একটা ফাতওয়া দিলেন।
ইসলাম নিয়ে কিছু বলা, বিশেষ করে ফাতওয়া দেওয়া যদি ডালভাত কাজ হতো তাহলে 'আবদুল্লাহ ইব্‌ন্‌ মাস‘ঊদের মতো সাহাবি শুরুতেই দিয়ে দিতেন। উনার পিছে একমাস লেগে থাকতে হতো না। কুর'আন-সুন্নাহ, দীনের বুঝ উনার নিশ্চয় কম ছিল না। তবু কত সতর্কতা। ফাতওয়া না দিতে চাওয়ার কত আগ্রহ!
আবার লোকেরা কিন্তু চাইলেই অন্য কারও কাছ থেকে সমাধান নিয়ে নিতে পারতেন। নেননি। তারা একমাস তার পিছে লেগে থেকে ফাতওয়া আদায় করে ছেড়েছেন। বিষয়টাকে যে তারা হালকাভাবে নেননি এতে তারই প্রমাণ পাই।
উপরের হাদীসটি থেকে আমি নিজেকে তো ভবিষ্যতে সামান্যতম ফাতওয়া থেকে ১০০ হাত দূরে রাখবই, আমার দীনি ভাইদেরও বলছি, ফাতওয়া দেওয়ার মতো কাজ থেকে নিজে ১০০ হাত দূরে থাকুন। ভার্সিটির স্টুডেন্ট আর সেলিব্রিটিদের কাছ থেকেও "ফিক্‌হ" শেখা থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। ‘আলিমদের খুঁজে বের করুন। তাদের পিছে লেগে থাকুন। বিদ্যুতহীন যুগে লোকেরা যদি একমাস লেগে থাকার মতো কষ্ট করতে পারে, অত্যাধুনিক যুগে ইমেল, ফোনের মাধ্যমে কয়েক মাস লেগে থাকতে পারবেন না?
————————————————
হাদীস-সূত্র: আবু দাউদ ও আন নাসা‘ঈসহ অন্যান্যরা সংকলন করেছেন। আল-আলবানি হাদীসটিকে স়াহ়ীহ় বলে মত দিয়েছেন (ইরওয়া আল-গালীল, হাদীস নং ১৯৩৯)