ইসলাম আর জঙ্গিবাদ পাশাপাশি চলতে পারে না। ইসলাম শান্তি প্রতিষ্ঠায় পরীক্ষিত উপায়। আর জঙ্গিবাদ হল ভয়াবহ সন্ত্রাস, চরম অশান্তির কারণ। ইসলামে জবরদস্তি এবং বাড়াবাড়ি কঠিনভাবে নিশিদ্দ অথচ জবরদস্তির অপর নামই জঙ্গিবাদ। বিশেষত এই উপমহাদেশে যারা ইসলামের শান্তির বাণী সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন সেই সব স্মরণীয়-বরণীয় সূফী-দরবেশ পীর-ফকিরদের ব্যক্তিগত জীবনাচার, এমনকি শাসন পদ্দতির কোথাও কোন জবরদস্তির আলামত খুজে পাওয়া যাবে না। কারণ তারা ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী এবং প্রচারকারী ছিলেন। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী রহমাতুল্লাহি আলায়হি এর বিজয়ের পর হতে প্রায় সাতশো বছর মুসলিমদের হাতেই ভারত শাসিত হয়েছিল অথচ আজো সেই ভারত, দিল্লি - আজমির সবখানেই হিন্দুরা সংখ্যা গরিষ্ঠ আর মুসলিমরা সংখ্যালগু।স্পেনেও মুসলিমরা শাসন করেছে প্রায় সাতশো বছর। সেখানেও সংখ্যালগু থেকে গেছে মুসলিমরা আর সংখ্যাগুরু খ্রিস্টানরা। অর্থাৎ জবরদস্তি মুসলিম বানানোর কোন অনুশীলন যে কখনো ওখানে হয়নি, তাই ইতিহাস আজ পরিস্কার করে জানান দিচ্ছে এ বিশ্বাসীকে। এর পরও ইসলামের নামে জবরদস্তিকে বেছে নিয়েছে এবং সন্ত্রাসকে জেহাদ হিসেবে চালানোর চেষ্টা করছে কিছু জঙ্গি গোষ্ঠী। অথচ ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই। ( সূরা বাকারা, আয়াত-২৫৬ )
বলা হয়েছে সুতারাং যার ঈমান গ্রহন করুক এবং যার ইচ্ছা কুফরি করুক ( সূরা কাহাফ-২৯ )
আরও বলা হয়েছে, মুশরিকদের মদ্য কেউ তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করলে তুমি তাকে আশ্রয় দাও,
যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পায়। অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছিয়ে দাও। কারণ তারা অজ্ঞ সম্প্রদায়। ( সূরা তওবা- ৬ )
স্বয়ং আল্লাহ পাকের উক্ত কয়েকটি ঘোষণা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইসলাম প্রতিপক্ষের ব্যপারে কতটুকু উদার এবং উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারকারী আল্লাহর অলি মূলত সে আদর্শেরই অনুসারী এবং প্রতিষ্ঠাকারী ছিলেন। পক্ষান্তরে এসব জঙ্গি কখনো কখনো আত্নঘাতি বোমা হামলার মাদ্যমে শত শত মানুষকে প্রাণ সংহার করে ভয়াবহ আতংকের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। এবং নিজেদের গাজী, শহীদ মনে করছে। অথচ ইসলামের বক্তব্য একদম পরিষ্কার, আর তা হল আত্নহত্যা মহাপাপ। যেখানে কেউ নিজেকে হত্যার অধিকার সংরক্ষণ করেনা, সেখানে অপরকে হত্যার অধিকার প্রশ্নই ওঠেনা।বরং কোন নিরহ মানুষের হত্যাকে সমগ্র মানব জাতির হত্যার সাথে তুলনা করা হয়েছে কোরআন করিমের সূরা মায়েদা ৩২ নম্বর আয়াতে।
বলা হয়েছে সুতারাং যার ঈমান গ্রহন করুক এবং যার ইচ্ছা কুফরি করুক ( সূরা কাহাফ-২৯ )
আরও বলা হয়েছে, মুশরিকদের মদ্য কেউ তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করলে তুমি তাকে আশ্রয় দাও,
যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পায়। অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছিয়ে দাও। কারণ তারা অজ্ঞ সম্প্রদায়। ( সূরা তওবা- ৬ )
স্বয়ং আল্লাহ পাকের উক্ত কয়েকটি ঘোষণা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইসলাম প্রতিপক্ষের ব্যপারে কতটুকু উদার এবং উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারকারী আল্লাহর অলি মূলত সে আদর্শেরই অনুসারী এবং প্রতিষ্ঠাকারী ছিলেন। পক্ষান্তরে এসব জঙ্গি কখনো কখনো আত্নঘাতি বোমা হামলার মাদ্যমে শত শত মানুষকে প্রাণ সংহার করে ভয়াবহ আতংকের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। এবং নিজেদের গাজী, শহীদ মনে করছে। অথচ ইসলামের বক্তব্য একদম পরিষ্কার, আর তা হল আত্নহত্যা মহাপাপ। যেখানে কেউ নিজেকে হত্যার অধিকার সংরক্ষণ করেনা, সেখানে অপরকে হত্যার অধিকার প্রশ্নই ওঠেনা।বরং কোন নিরহ মানুষের হত্যাকে সমগ্র মানব জাতির হত্যার সাথে তুলনা করা হয়েছে কোরআন করিমের সূরা মায়েদা ৩২ নম্বর আয়াতে।