Thursday, November 27, 2014

ইসলাম বনাম জঙ্গিবাদ

ইসলাম আর জঙ্গিবাদ পাশাপাশি চলতে পারে না। ইসলাম শান্তি প্রতিষ্ঠায় পরীক্ষিত উপায়। আর জঙ্গিবাদ হল ভয়াবহ সন্ত্রাস, চরম অশান্তির কারণ। ইসলামে জবরদস্তি এবং বাড়াবাড়ি কঠিনভাবে নিশিদ্দ অথচ জবরদস্তির অপর নামই জঙ্গিবাদ। বিশেষত এই উপমহাদেশে যারা ইসলামের শান্তির বাণী সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন সেই সব স্মরণীয়-বরণীয় সূফী-দরবেশ পীর-ফকিরদের ব্যক্তিগত জীবনাচার, এমনকি শাসন পদ্দতির কোথাও কোন জবরদস্তির আলামত খুজে পাওয়া যাবে না। কারণ তারা ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী এবং প্রচারকারী ছিলেন। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী রহমাতুল্লাহি আলায়হি এর বিজয়ের পর হতে প্রায় সাতশো বছর মুসলিমদের হাতেই ভারত শাসিত হয়েছিল অথচ আজো সেই ভারত, দিল্লি - আজমির সবখানেই হিন্দুরা সংখ্যা গরিষ্ঠ আর মুসলিমরা সংখ্যালগু।স্পেনেও মুসলিমরা শাসন করেছে প্রায় সাতশো বছর। সেখানেও সংখ্যালগু থেকে গেছে মুসলিমরা আর সংখ্যাগুরু খ্রিস্টানরা। অর্থাৎ জবরদস্তি মুসলিম বানানোর কোন অনুশীলন যে কখনো ওখানে হয়নি, তাই ইতিহাস আজ পরিস্কার করে জানান দিচ্ছে এ বিশ্বাসীকে। এর পরও ইসলামের নামে জবরদস্তিকে বেছে নিয়েছে এবং সন্ত্রাসকে জেহাদ হিসেবে চালানোর চেষ্টা করছে কিছু জঙ্গি গোষ্ঠী। অথচ ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই। ( সূরা বাকারা, আয়াত-২৫৬ )

বলা হয়েছে সুতারাং যার ঈমান গ্রহন করুক এবং যার ইচ্ছা কুফরি করুক ( সূরা কাহাফ-২৯ ) 

আরও বলা হয়েছে, মুশরিকদের মদ্য কেউ তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করলে তুমি তাকে আশ্রয় দাও,
যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পায়। অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছিয়ে দাও। কারণ তারা অজ্ঞ সম্প্রদায়। ( সূরা তওবা- ৬ )
স্বয়ং আল্লাহ পাকের উক্ত কয়েকটি ঘোষণা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইসলাম প্রতিপক্ষের ব্যপারে কতটুকু উদার এবং উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারকারী আল্লাহর অলি মূলত সে আদর্শেরই অনুসারী এবং প্রতিষ্ঠাকারী ছিলেন। পক্ষান্তরে এসব জঙ্গি কখনো কখনো আত্নঘাতি বোমা হামলার মাদ্যমে শত শত মানুষকে প্রাণ সংহার করে ভয়াবহ আতংকের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। এবং নিজেদের গাজী, শহীদ মনে করছে। অথচ ইসলামের বক্তব্য একদম পরিষ্কার, আর তা হল আত্নহত্যা মহাপাপ। যেখানে কেউ নিজেকে  হত্যার অধিকার সংরক্ষণ করেনা, সেখানে অপরকে হত্যার অধিকার প্রশ্নই ওঠেনা।বরং কোন নিরহ মানুষের হত্যাকে সমগ্র মানব জাতির হত্যার সাথে তুলনা করা হয়েছে কোরআন করিমের সূরা মায়েদা ৩২ নম্বর আয়াতে। 

Monday, November 3, 2014

নাম ধারী মুসলিম

নামদারী মুসলমান যারা তারা ইসলাম কে অনেক
ক্ষতি করতে চেয়েছিল। সেজন্য তারা রাসূলে পাক (দঃ) প্রান-
প্রিয় সাহাবায় কেরাম, আওলাদে রাসূল ইমাম হাসান ও
হোসাইন (রাঃ) শহীদ করছেন।
হযরতে ওমর ফারুক (রাঃ) কে শহীদ করেছে কারা। কোন
বিধর্মীরা তাকে শহীদ করে নাই। তাকে শহীদ
করেছে নামদারী মুনাফিক মুসলমানরা।
হযরতে ওসমান (রাঃ) কে শহীদ করেছেন এই নামদারী মুনাফেক
মুসলমানরা।ওসমান (রাঃ) বাড়ীর সামনে এই মুনাফিক
মুসলমানরা ৪০দিন আযান দিয়ে জামাত সহকারে নামায আদায়
করছে।
এরপর এই মুনাফেক মুসলমান অাব্দুর রহমান ইবনে মুলজিম
মাওলায়ে আলী (রাঃ) কে শহীদ করেছেন। এই আব্দুর রহমান
ইবনে মুলজিম এর আমল দেখে সাহাবায় কেরাম লজ্জা পেত,
তার চেহারায় দিয়ে নুর জ্বলকাতো,
সে ঘুমাইলে জিহ্বা জিকির করতো। এই খবিস মুলজিম
বলে আলীর চাইতে বড় কাফের আর কেউ না। (নাউজুবিল্লাহ)।
কাফির মুলজিম আরো বলে রাসূলুল্লাহর চাইতে জিব্রাইলের
মর্যাদা অনেক বেশি।(নাউজুবিল্লাহ)
এবার আসেন হযরতে ইমাম হোসাইন (রাঃ) কে শহীদ করেছেন
যারা তারা হলো এই নামদারী মুনাফেক মুসলমান এজিদ ।
তারা জুম্মার নামায আযান দিয়ে পড়েছেন। এবং হযরত
হোসাইন (রাঃ) কে শহীদ করার পর নিঃস্বপ্রান হযরত
হোসাইন (রাঃ) পাশে রেখে আযান দিয়ে আছরের নামায আদায়
করেন।
ইমাম হোসাইন (রাঃ) দেহ
মোবারকে ঘোড়া চালিয়ে দিয়ে দেহ মোবারকটা ক্ষত বিক্ষত
করে ফেলে। তারপর ও তাদের চোক্ষ
দিয়ে কারো পানি আসলো না।।
এরপর আরো আসেন এই নামদারী মুসলমানরা খোদার ঘর
কাবা শরীফ বায়তুল্লাহ ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিল।
বায়তুল্লাহর কাবা ঘরের পাথর ২২টুকরা হয়ে গেল আগুনের
তাপে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রাঃ) বের হলে তাকে তীর
দিয়ে তাকে শহীদ করা হলো।
তার মা হযরত আয়েশা (রাঃ) বোন কে ডাক
দিয়ে দেখানো হলো তোমার ছেলে কেমন অাছে দেখ।
জুবাইর (রাঃ) এর মা বললেন আমার ছেলে আগের তুলোনায়
এখন ভালো আছে।
ছেলে আমার শহীদ হবে এটাই আমি চেয়েছিলাম।আল্লাহ
তাকে ইমাম হোসাইন (রাঃ) রাস্তাই নিয়ে গেছেন।
তারপর আসেন নামদারী মুসলমানরা পৃথিবীর শ্রেষ্ট মসজিদ
মসজিদে নববীতে সাতদিন পর্যন্ত তারা গাধা,
ঘোড়া বেধে রাখলো। গাধা, ঘোড়া প্রেশাব,
পায়খানা করলো। আযান একামত বন্ধ করে দিল। এইকাজ
কিন্তু বিধর্মীরা করে নাই। এই কাজ করেছেন
নামদারী মুসলমানরা।
যার অন্তরে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
অালাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেম না তারা মুসলমান
হতে পারে না। যার অন্তরে রাসূলে পাক (দঃ) প্রেম আর
আওলাদে রাসূলের প্রেম থাকবে তারা হলো ইমানদার।
খালী নামায, রোজা, হজ্ব করলে জুব্বা,টুপি পড়লে মুসলমান
হওয়া যায় না। মুসলমান প্রথম শর্ত হলো ঈমান গ্রহন
করা। ঈমান না থাকলে নামায, রোজা, হজ্ব ও যাকাত
করলে কোন লাভ হবে না।
ইমান হলো মূল আর আমল হলো শাখা-প্রশাখা।
আসুন আমরা এয়াজিদ নামদারী কাফের মুসলমানদের
থেকে দুরে থাকি। আর ইমাম হোসাইন (রাঃ) পতাকার
নিচে থাকি।
ইমাম হোসাইন (রাঃ) গোলামী হয়ে মরতে পারি। আল্লাহ
পাকের দরবারে এই আরজি করি।