Friday, June 29, 2018

গোলামের বাচ্চা গোলাম

যারা_নবীজির_গোলাম_বললে_লজ্জা_পান_তাদের_জন্য_এই_পোস্ট।
হযরত আব্দুল্লা বিন উমর (রাঃ)এর
ছেলে,আর হযরত আলী (রাঃ)ছেলে মাঠে
খেলাধুলা করছে, এক পর্যায় খেলার মধ্যে ঝগড়
লেগে গেলো, আলির ছেলে এক পর্যায়
উমরের ছেলেকে বললো গোলামের
ছেলে গোলাম।এই কথা শুনা মাত্রই উমরের
ছেলে বেত বেতাইয়া কাঁন্না শুরু করলো।
বাড়িতে গিয়ে কেঁদে কেঁদে বাবার কাছে বিচার
দিল,বাবা আলির ছেলে আমাকে গোলাম বাচ্চা
গোলাম বলেছে।এই কথা শুনা মাত্রই, জিনি ধুনিয়ায়
থাকা অবস্তায় জান্নাতের টিকেট পাওয়া সাহাবি,হযরত
উমর( রাঃ)কাঁদতে শুরু করলেন,ছেলে বলে বাবা
আমি দুঃখ পাইয়া কাঁদতেছি আপনি কেন কাদতেছেন।
উমর বলেন আমি কান্দি আনন্দ পাইয়া, আর তুই কান্দস
দুঃখ পাইয়া।বাবা আনন্দের কান্নাতো কোনদিন
শুনিনাই,আপনি এখন যান আলির কাছে বিচার দিন।বাবা
বলেন বিচার দিবো ঠিকই আগে একটু কান্দিঁয়া লই।
এই কথাটা অন্য সাহাবিদের কাছে পৌছে গেলো।
যে উমর আলীর কাছে বিচার দিবে,বাকি সব সাহাবিরা
উমরকে বলেন আপনি বিচার দিবেন্না এতে করে
মা ফাতেমা(রাঃ)আনহার বদনাম হবে।নবীজি
বলেছেন যে হাসান ও হোসাইনকে কস্ট দিবে
সে জেন আমাকে কষ্ট দিলো,কোন অবস্তায়
সাড়া দিলেন্না উমর, আর বললেন আপনারা আলির
কাছথেকে বিচারের তারিখ আনেন। তারিখ হল
ঈদের দিন, খুতবার সময় সবার সামনে বিচার হবে
উমরের ছেলেকে গালি দিলো গোলামের
ছেলে গোলাম,এই কথা কাগজে লিখে দিতে
পরলে মেনে নিবো, আলি হোসাইনকে ডাক
দিলেন তুমি কি গালি দিয়েছিলে গোলামের বাচ্চা
গোলাম, হা দিয়েছিতো। তা কি তুমি কাগজে লিখে
দিতে পারবা? হা পারবো,হোসাইন কাগজ হাতে
নিয়ে লেখলেন উমর আমার নানা জানের
গোলাম, এই কাগজ খানা হাজার হাজার সাহাবিদের মাজে
দিলেন উমরের কাছে, উমর কাগজটা পেয়ে
একবার বুকে লাগায় আবার চুমা খায়, একবার বুকে লাগান
একবার চুমা খান,আর বলেন জীবন ধন্য আমার যিনি
বেহেস্তের সরদার হোসাইন আমাকে লিখে
দিলেন আমি নবীজির গোলাম আমার আর কোন
চিন্তা নাই।আমার মরনের পরে কাগজটা কবরে
দিবেন । নবীজির গোলাম, গোলাম হওয়াটা
নসিবের ব্যাপার। আল্লাহ আমাদের সবাই কে, নবীজির গোলাম হওয়ার তৌফিক দান করক, আমিন, আমিন, আমিন

Thursday, June 28, 2018

সাপ এবং মুয়ুর কে বেহেস্ত থেকে কেন বের করে দেওয়া হল।

অতঃপর বলা হল- হে আদম! তুমি ইবলিসের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকবে, কেননা সে তো তোমার পরম শুত্রু। এ সম্পর্কে কালামে পাকে ইরশাদ হচ্ছে -

ফাকুলনা-ইয়া-আ-দামু ইন্না হা-জা - আদুও উল্লাকা অলিজাও জিকা ফালা- ইউখরি জান্নাকুমা- মিনাল জান্নাতি।

অর্থ ঃ অতঃপর আমি বললাম -- হে আদম এ (শয়তান) তোমার ও তোমার স্ত্রীর দুশমন। সুতরাং সে যেন তোমাদেরকে বেহেশ থেকে বের করে না দেয়।
আদম ( আ )  বেহেস্তের সব দরজাই উত্তমরূপে বন্দ দেখতে পেয়ে তার দৃঢ় আস্তা হল, ইবলিশ পৃথিবীতে আর আমি বেহেস্তে অবস্থান করছি, কাজেই তার সঙ্গে আমার কি সম্পর্ক যে, সে আমাকে নিশিদ্দ ফল ভক্ষণ করিয়ে পাপি করবে। আমি তার প্রতারণা থেকে আশঙ্কা মুক্ত। অতঃপর একদিন অভিশপ্ত ইবলিশ বেহেস্তে হযরত আদম ( আ ) এর কাছে যাওয়ার সংকল্প করল। আল্লাহ তালার তিনটি ইসমে আজম তার জানা ছিল। তা পড়ে সে সাত তবক আসমান অতিক্রম করে বেহেস্তের দরজায় পৌঁছুল। দরজা বন্ধ দেখে বেহেস্তে প্রবেশ করার উপায় চিন্তা ভাবনা করতে লাগল। ঘটনাচক্রে একটি মুয়ুর বেহেস্তের দেয়ালে বসা ছিল। শয়তান দেয়ালের বাহিরে বসে ইসমে আযম পড়তে থাকে। ইসমে আযম পড়তে দেখে ময়ূর ইবলিশের পরিচয় জানতে চাইল। ইবলিশ বলল, আমি আল্লাহর এক ফেরেশতা। মুয়ুর বলল, তুমি এখানে বসে কি করছ??  শয়তান উত্তর দিল, আমি বেহেস্তে প্রবেশ করতে চাচ্ছি। ইবলিশ মুয়ুরকে অনুরোধ করল, তাকে বেহেস্তে নিয়ে যেতে। মুয়ুর বলল আদম ( আ ) বেহেস্তে যতক্ষণ আছে ততক্ষণ কাউকে নেওয়ার কোন আদেশ আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার নাই। শয়তান বলল, তুমি আমাকে বেহেস্তে নিয়ে যাও, আমি তোমাকে এমন তিনটি দোয়া শিখাব- যে তিনটি দোয়া শিখে আমল করলে তুমি তিনটি বিষয় লাভ করতে পারবে।  (১) কখনো তুমি বৃদ্ধ হবে না, (২) মৃত্যু বরন করবে না, (৩) সর্বদা বেহেস্তে অবস্তান করতে পারবে।  ইবলিশ কথিত দোয়া পড়ল এবং মুয়ুর বেহেস্তের দেয়াল থেকে নেমে এসে ইবলিশ কে নিয়ে উভয়ে বেহেস্তের দরজায় গিয়ে দাঁড়াল। মুয়ুর সাপের নিকট এ ঘটনা ফাঁস করে দিল। সাপ এই কথা সুনতেই বেহেস্তের দরজা বন্ধ করে নিজের মাথা বের করে ইবলিশের পরিচয় এবং আগমনের উদ্দেশ্য জানতে চাইল। ইবলিশ বলল আমি আল্লাহর এক ফেরেশতা, সাপ বলল তুমি আমাকে তোমার পাঠকৃত দোয়া শিখাও। ইবলিশ বলল এক সর্তে তোমাকে আমি এ দোয়া শিখাতে পারি, তা হল তুমি আমাকে বেহেস্তে নিয়ে যাবে। সাপ বলল- হযরত  আদম (আ)  বেহেস্তে যতক্ষণ আছে ততক্ষণ কাউকে নেওয়ার কোন আদেশ আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার নেই। ইবলিশ বলল আমি বেহেস্তে পা রাখব না, বরং তোমার মুখের ভিতরেই অবস্তান করব। বাইরে বের হব না। শয়তানের কথা বিশ্বাস করে সাপ মুখ প্রসারিত করে দিল। ইবলিশ তার মুখে ঢুকে পড়লে সাপ তাকে বেহেস্তে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।

সাপের মুখাভ্যন্তরে লুকিয়ে বেহেস্তে প্রবেশের পর সাপকে বলল তুমি আমাকে আল্লাহ তাআলা হযরত আদম (আ) কে যে বৃক্ষের ফল খেতে নিষেধ করেছেন, সে বৃক্ষের নিকট নিয়ে চল। সাপ ইবলিশ কে নিশিদ্দ বৃক্ষের নিকট নিয়ে গেলে, সে সাপের মুখাভ্যন্তর থেকেই প্রতারণামূলক ভাবে কান্নাকাটি শুরু করে দিল। এ জগতে যে সর্ব প্রথম মুনাফেকির কান্না কেঁদেছিল, সে হচ্ছে অভিশপ্ত ইবলিশ।
তার কান্না শুনে বেহেস্তের গেলমান অকলে সমবেত হয়ে বলাবলি করতে লাগল আমরা তো কখনো সাপের মুখ থেকে এমন শব্দ শুনতে পাইনি।
হযরত হাওয়া (আ) সাপকে কাঁদার কারন জিজ্ঞেস করলে ইবলিশ সাপের মুখ থেকে বলল, আমি এই জন্য কাঁদছি যে, তোমাদেরকে বেহেস্ত থেকে বের করে দেওয়া হবে। কেননা আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে যে বৃক্ষের ফল খেতে নিষেধ করেছেন, সে বৃক্ষের ফল ভক্ষণকারীকে কখনো  জান্নাত থেকে বের করা হবে না। আল্লাহ তাআলা এ ঘটনা সম্পর্কে বলেন-

কালা-ইয়া-আ-দামু হাল আদুল্লুকা আলা-শাজারাতিল খুলদি ওয়া মুল্কিল  লা-ইয়াবলা...।

অর্থ  ঃ ইবলিশ বলল, হে আদম, আমি তোমাকে আমি এমন বৃক্ষের সন্ধান দিব, যা থেকে তোমার চিরন্তন জীবন লাভ হবে। এবং তোমার রাজত্ব পুরানো হবে না।

ইবলিশ আল্লাহর নামে কসম করে বলল- হে আদম, আমি তোমাকে মিথ্যা কিছু বলছিনা, তোমার অমঙ্গল ও আমার কাম্য নয়, বরং তোমাকে সদুপদেশ প্রদান করছি, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

        ওয়া কা-সামাহুমা-ইন্নী লাকুমা-লামিনান না-ছিহীনা ফাদাল্লা-হুমা বিগুরুরিন।

অর্থ ঃ ইবলিশ তাদের নিকট কসম খেয়ে বলেছিল, আমি তোমাদের মঙ্গলকামী, অতঃপর তাদেরকে প্রতারণা দিয়ে আকৃষ্ট করে।

   এ দুনিয়ায় সর্বপ্রথম মিথ্যা কসমকারীও অভিশপ্ত ইবলিশ। হযরত হাওয়া (আ)  ইবলিশের মিথ্যা কসমে ধোকায় পড়ে নিশিদ্দ বৃক্ষের অর্থাৎ গন্দমের তিনটি ফল নিয়ে একটি নিজে খেয়ে দুটি হযরত আদম (আ) এর জন্য নিয়ে যায়।