Thursday, February 20, 2014

কিছুদিন আগে নখ কাটছিলাম।
নখগুলো টেবিলের
উপর ছিল। নখ কাটা শেষ
হতে না হতেই
দেখি তিন-
চারটা পিঁপড়া এসে একটা নখ
নিয়ে যাবার জন্য
টানা হেঁচড়া করছে। তখন হঠাত
করে মনে এ ভাবনার উদয় হলো-
যতক্ষন এ
নখগুলো আমার দেহের
সাথে সংযুক্ত ছিল তখন কোন
পিঁপড়ে এসে তা নিয়ে যাওয়ার
জন্য
চেষ্টা করেনি, কিন্তু যেই
না তা আমার দেহ
থেকে বিচ্ছিন্ন হলো তখনি তা পিঁপড়ের
খাবারে পরিণত হলো। ঠিক তেমনি যখন
আমার দেহ
থেকে আমার প্রাণ
বের হয়ে যাবে, আমার শত
যত্নে গড়া এ সাঁধের
দেহ মাটির
ঘরে রেখে আসা হবে তখন এ দেহের
কোন দাম থাকবে না, হোক
না তা যতই সুন্দর
কিংবা কুৎসিত,
সাদা কিংবা কালো, চিকন
কিংবা মোটা, ঢিলে-ঢালা শরীর
কিংবা ব্যায়ামের
মাধ্যমে গড়া পেটা শরীর;
অবশেষে তা হবে পোকা-মাকড়
আর পিঁপড়ের
খাবার,পরিণত হবে তাদের বসত
বাড়ীতে। মাটির দেহ অবশেষে মাটির
সাথেই
মিশে যাবে শুধু
বেঁচে থাকবে আমার আমল আর
আমার কর্ম।
হে আল্লাহ্!
আমি তো মাটি দিয়ে গড়া এক আদম
সন্তান, যার দেহ পঁচে যাবে আর
পরিণত
হবে পোকা-মাকড়ের খাবারে;
তবুও এই
অস্থায়ী দেহ দ্বারা তোমার যে ইবাদত
করা হয়
তুমি তা কবুল করে নাও
আরো বেশী আমল করার
তাওফীক দান করো, আমার
আত্মাকে তুমি সংশোধন
করে তোমার আপন করে নাও। যদি তুমি কবুল
না কর
তাহলে কীভাবে পাব
সে দেহ, যার কোন লয় হবে না,
ক্ষয় হবে না,
যে দেহ দেখে দর্শকের চোখের
পাতা নড়বে না, যে দেহ থেকে বের
হবে মেশকের
ঘ্রাণ, যে দেহের
সৌন্দর্য হবে চির অম্লান।
হে মহা সৌন্দর্যের আধার!
তুমি আমাদের কবুল কর।
আমীন।


Tuesday, February 18, 2014

আমার নূর নবী গায়েবের খবর জানেন-

আমাদের আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের আকিদা নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পুর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গায়েবের খবর জানেন | আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উনার হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গায়েবের সকল খবর জানিয়ে দিয়েছেন | আর নবী হওয়ার প্রধান শর্তই হচ্ছে ইলমে গায়েব জানা | ইলমে গায়েব না জানলে কেউ নবীই হতে পারবেনা | কিন্তু আমাদের মাঝে কিছু মুসলমান নামধারী রাসুল বিদ্বেষী মুনাফেক আছে যারা নবীজির শান মানকে সহ্য করতে পারেনা , নবীজির নাম শুনলেই গায়ে চুলকানি উঠে যায় | আর নূর নবীজির ইলমে গায়েবের কথা শুনলেতো এক্কেবারে গন্ডমুর্খ থেকে শুরু করে লেবাসধারী আলেম উলামা পর্যন্ত শিরক কুফরীর পাইকারী ফতুয়াবাজি করে | এইগুলান জীবনেও কোরআন হাদিস তাফসীরের কিতাবগুলো খুলে দেখেনি , আর তারা কিনা আসে ফতুয়াবাজি করতে | তাদের শিরক কুফরী ফতুয়ার সাথে আরেকটা বোনাস ফতুয়া দেয় যে নবীজির ইলমে গায়েবের কথা কোরআন হাদিসে নেই | তাই এই মিথ্যাবাদী মুনাফেক মূর্খদের দাতভাঙ্গা জবাব দিতে কোরআন হাদিস ও বিশুদ্ধ তাফসির গন্থগুলো থেকে নূর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইলমে গায়েবের উপর সম্পূর্ণ তাত্ত্বিক ও দলিল ভিত্তিক আলোচনা পরবর্তী পোস্টগুলোতে করবো ইন শাহ আল্লাহ | মহান রাব্বুল আলামিন যেন আমাকে সেই তৌফিক দান করেন |

Thursday, February 13, 2014

ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস প্রসঙ্গে কিছু কথা :



আগামী কাল ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, সারা পৃথিবী মাতবে বেহায়াপনা এবং অশ্লীলতায়। তারা এ দিনটিকে ভালোবাসা দিবস হিসাবে পালন করবে। বেগানা পুরুষ মহিলা বেলেল্লেপনার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিবে।
নাউযুবিল্লাহ !!
পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, সারা পৃথিবীর অসংখ্য মুসলমান নামধারী কিছু পাবলিক বিধর্মীদের এই অশ্লীল হুজুগেও গা ভাসিয়ে দিবে। অনেকে হারাবে তার সতীত্ব, পরিশেষে সবাই হারাবে ঈমান।

এই ভ্যালেন্টাইন ডে কি মুসলমানদের কোন ঐতিহ্য ??
এই ভ্যালেন্টাইন ডে বা তথাকথিত ভালোবাসা দিবস আদৌ কোন ইসলামিক বিষয় নয়। কিন্তু হুজুগে মাতা বাঙ্গালী হুজুগে মেতে নিজেদের ঈমান আমল উভয়ই অকাতরে বিসর্জন দিচ্ছে।

আসুন আমরা ভ্যালেন্টাইন ডে সম্পর্কে ইতিহাসে কি আছে সেটা অবলোকন করি।

The new Encyclopedia Britannica এবং Encyclopedia Americana সহ আরো অনেক গ্রন্থে জানা যায়,-

" রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রী নাম সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। চিকিৎসা বিদ্যায় সে ছিল অভিজ্ঞ। খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ খ্রিষ্টাব্দে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসে আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। সে যখন বন্দী ছিল তখন তরুন-তরুনীরা তাকে ভালোবাসা জানিয়ে জেলখানার জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিত। বন্দী অবস্থাতেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন জেলারের অন্ধ মেয়ের চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার চিকিৎসা করে। এসময় মেয়েটির সাথে তার হৃদয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে সে লিখে- " from your Valentine"। অনেকের মতে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম অনুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে "সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে" হিসেবে ঘোষণা দেয়।

আরো একজন ভ্যালেন্টাইনের নাম পাওয়া যায় ইতিহাসে। রোমান সম্রাট ক্লাডিয়াস যুদ্ধের জন্য ভালো সৈন্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যুবকদের বিয়ে করতে নিষেধ করে। কিন্তু সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নিয়ম ভঙ্গ করে প্রেম করে, পরে আইন ভেঙ্গে বিয়ে করে। ফলে তাদের মৃত্যুদন্ড হয়।

মূলত এরও বহু আগে থেকে রোমানদের দুটি প্রথা বা অনুষ্ঠান চালু ছিলো।
১. প্রেম এবং বিয়ে।
২. পুরুষের পুরুষত্ব ও মেয়েদের মেয়েলীত্ব ক্ষমতা বিষয়ে উৎসব।

লুপারকালিয়া এসব উৎসবের অন্যতম। এই অনুষ্ঠান হতো ১৫ ই ফেব্রুয়ারি। এর আগের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি তরুন-তরুনীরা লটারীর মাধ্যমে নাচের পার্টনার নির্বাচন করতো। ৪০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দুই দিনের পরিবর্তে একদিন ১৪ ই ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। অনেকে মনে করতো, ১৪ ফেব্রুয়ারি পাখিরা তাদের সঙ্গী বেছে নেয়।

এদিনটা পালনের ক্ষেত্রে রোমানরা লটারী করে তাদের পছন্দনীয় পুরুষ এবং মহিলা নির্বাচন করতো। ১৭০০ সালের দিকে ইংরেজ রমনীরা কাগজে তাদের পরিচিত পুরুষদের নাম লিখে পানিতে ছুড়ে মারত কাদামাটি মিশিয়ে। যার নাম প্রথমে ভেসে উঠতো সেই হতো প্রকৃত প্রেমিক।
ষোড়শ শতাব্দীর থেকে কাগজের কার্ড বিনিময় শুরু হয়। ১৮০০ সাল থেকে তামার প্লেটে একই ডিজাইনের অনেক কার্ড ছাপা হয়। এভাবেই এ তথাকথিত ভালোবাসা দিবস ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে।

মূলত এ তথাকথিত ভালোবাসা দিবস আমাদের বাঙ্গালী কোন সাংস্কৃতি ন, এবং মুসলমানদের সাংস্কৃতিতো অবশ্যই না।
কিন্তু তারপরও এই অশ্লীল ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে আমাদের বাঙ্গালীদের মধ্যে খুব দ্রুত ছিড়িয়ে পরেছে। পশ্চিমাদের পা চাটা কুত্তা নাস্তিক এজেন্ট শফিক রেহমান পশ্চিমাদের কাছে আরো বেশি প্রিয় এবং এদেশের হুজুগে মাতা বাঙ্গালীদের কাছে একটি তথাকথিত সংস্কৃতির প্রবক্তা সাজার উদ্দেশ্যে এবং বাহবা কুড়ানোর আশায় ১৯৯৩ সালে তার সাপ্তাহিক "যায়যায় দিন" পত্রিকার মাধ্যমে তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের প্রবর্তন ঘটিয়েছে। শুধু শফিক রেহমানই নয়, এর পিছনে আরো অনেক ইসলাম বিদ্বেষী মহলের কার্যক্রম জড়িয়ে আছে।

সম্মানিত মুসলমান সমাজ !! এই হলো ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডের ইতিহাস এবং আমাদের দেশে এই অপসাংস্কিতি বিস্তারের পটভূমি।
এখন আপনারাই চিন্তা করে দেখুন, এই অশ্লীল বেহায়াপনার সাংস্কৃতি কি আমরা পালন করতে পারি ?
আমরা কি এই বিধর্মী দের বল্গাহীন জীবনের স্রোতে গাভাসিয়ে দিতে পারি ?

কখনোই না। কারন আমরা মুসলমান, আমরা ইসলাম বহির্ভূত কোন কাজ করতে পারি না।
আমরা বিধর্মী দের বেহায়াপনায় গাভাসিয়ে দিতে পারি না।
ইসলাম বিবাহ বহির্ভূত কোন প্রেম ভালবেসা সমর্থন করে না। এ ধরনের সকল প্রেম ভালোবাসা জিনার সামিল।

মূলত, বিধর্মীদের এসব কোন বাছবিচার নেই, তারা শত শত অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত। তারা অসংখ্য অবৈধ সন্তান প্রতিনিয়ত জন্ম দিচ্ছে। পরকীয়া প্রেম তাদের নিত্তনতুন ব্যাপার। তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন ভালবেসা নেই। ভালবাসার বন্ধন নেই, প্রতিমাসে তারা স্বামী বা স্ত্রী পরিবর্তন করে। তারা বিভিন্ন অশান্তিতে লিপ্ত..।
আর এসব থেকে উত্তরন লাভের জন্য বিধর্মীরা তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হয়।

অথচ, ইসলামের প্রতিটা দিনই হচ্ছে, স্বামী- স্ত্রীরা অগাধ ভালোবাসার দিন। হাদীস শরীফে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রেরন দিয়ে বর্নিত আছে, তোমাদের মধ্যে ঐ লোক উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।"
আবার স্বামীর প্রতি ভালোবাসার প্রেরন দিয়ে বলা হয়েছে- আল্লাহ পাক ছাড়া যদি কাউকে সিজদা করা জায়িয হতো, তবে আমি স্ত্রী দের বলতাম যেন স্বামীদের সিজদা করে। "

এরকম, স্ত্রীরা হাসিমুখে কথা বলা, হাসি মুখে তাকানো, স্ত্রীকে সাহায্য করা, অপর দিকে স্বামীর খেদমত, ভালোবাসা, সম্মান ইত্যাদি সম্পর্কে হাদীস শরীফে বিস্তারিত তাগিদ দেয়া হয়েছে ।

সূতরাং, পবিত্র ইসলামের সুন্দর বিধান বাদ দিয়ে বিধর্মী দের প্রবর্তিত ভ্যালেন্টাইন ডে জাতীর হারাম কুফরী দিবসে মুসলমানদের অংশগ্রহণ জায়িয নেই। কারন তথাকথিত ভালোবাসার দিবসের নামে বেপর্দা, বেহায়াপনা, নির্লজ্জ উৎসব হচ্ছে শয়তানের ধোঁকা এবং নফসের ওয়সওয়াসা। যা ভয়াবহ গুনাহ এবং ঈমান হারানোর কারন। ইসলামের বিধান বাদ দিয়ে এধরনের হারম কুফরী বিধান পালন করলে পরকালে কঠিন শাস্তি পেতে হবে এবং জাহান্নামী হতে হবে।
আল্লাহ পাক আমাদের এসকল হারাম নাজায়িয পথ থেকে হিফাযত করুন।
আমীন! আমীন ! আমীন !!

বিঃদ্রঃ ওহাবী/খারেজী/দেওবন্দী/সালাফী/জামাতি গং পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাসে এর বিরোধিতা করতে ঝাঁপিয়ে পরে অথচ এই নোংরা অশ্লীল ভ্যালেন্টাইন ডে অাসলে বোবা শয়তানের মত চুপ থাকে। মূলত এ অপসাংস্কৃতি বিস্তারের জন্য এই ধর্মব্যবসায়ী ভন্ড ওহাবীরা দায়ী।

নূর নবী শানে সাহাবীর অপূর্ব সুন্দর গজল-


হযরত খুরাইম ইবনে আউস ইবনে হারেসা ইবনে লাম রদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের দরবারে উপস্থিত ছিলাম । তখন হযরত আব্বাস ইবনে আবদিল মুত্তালেব রদিয়াল্লাহু আনহু এসে তাঁকে বললেন যে, হে আল্লাহর রসূল ! আমি আপনার প্রশংসায় গজল পড়তে চাই । হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ফরমালেন, নিন ! আমাকে শোনান ! আল্লাহ তাআলা আপনার দাঁত ঠিক নিরাপদ রাখুন ! (যাতে ভাল গজল পড়তে পারেন) । তখন হযরত আব্বাস রদিয়াল্লাহ গজল পড়তে শুরু করলেন:
" আপনার তশরীফ যবে হলো দুনিয়ায়, নূরানী আলোর আভা চৌদিকে ছড়ায় ।
সুপথের দিশা পাই তারই ছটায়, আপনার অবদান পেয়েছে সবাই ।
[১. তাবরানী, আল-মুজাম আল-কবীর, ৪খন্ড:২১৩ পৃঃ, হাদিসঃ ৪১৬৭ ।
২. হাকেম, আল-মুস্তাদরক, ৩:৩৬৯, হাদিস: ৫৪১৭ । - সুবহানাল্লাহ -

Thursday, February 6, 2014

হুদহুদ’ পাখির ঘটনা :



হযরত সুলায়মান (আঃ) আল্লাহর হুকুমে পক্ষীকুলের আনুগত্য লাভ করেন। একদিন তিনি পক্ষীকুলকে ডেকে একত্রিত করেন ও তাদের ভাল-মন্দ খোঁজ-খবর নেন। তখন দেখতে পেলেন যে, ‘হুদহুদ’ পাখিটা নেই। তিনি অনতিবিলম্বে তাকে ধরে আনার জন্য কড়া নির্দেশ জারি করলেন। সাথে তার অনুপস্থিতির উপযুক্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করলেন। উক্ত ঘটনা কুরআনের ভাষায় নিম্নরূপ:

‘সুলায়মান পক্ষীকুলের খোঁজ-খবর নিল। অতঃপর বলল, কি হ’ল হুদহুদকে দেখছি না যে? না-কি সে অনুপস্থিত’ (নমল ২০)। সে বলল, ‘আমি অবশ্যই তাকে কঠোর শাস্তি দেব কিংবা যবহ করব অথবা সে উপস্থিত করবে উপযুক্ত কারণ’ (২১)। ‘কিছুক্ষণ পরেই হুদহুদ এসে হাযির হয়ে বলল, (হে বাদশাহ!) আপনি যে বিষয়ে অবগত নন, আমি তা অবগত হয়েছি। আমি আপনার নিকটে ‘সাবা’ থেকে নিশ্চিত সংবাদ নিয়ে আগমন করেছি’ (নমল ২৭/২০-২২)।

উল্লেখ্য যে, ‘হুদহুদ’ এক জাতীয় ছোট্ট পাখির নাম। যা পক্ষীকুলের মধ্যে অতীব ক্ষুদ্র ও দুর্বল এবং যার সংখ্যাও দুনিয়াতে খুবই কম। বর্ণিত আছে যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) একদা নও মুসলিম ইহুদী পন্ডিত আব্দুল্লাহ বিন সালাম (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেন, এতসব পাখী থাকতে বিশেষভাবে ‘হুদহুদ’ পাখির খোঁজ নেওয়ার কারণ কি ছিল? জওয়াবে তিনি বলেন, সুলায়মান (আঃ) তাঁর বিশাল বাহিনীসহ ঐসময় এমন এক অঞ্চলে ছিলেন, যেখানে পানি ছিল না।

আল্লাহ তা‘আলা হুদহুদ পাখিকে এই বৈশিষ্ট্য দান করেছেন যে, সে ভূগর্ভের বস্ত্ত সমূহকে এবং ভূগর্ভে প্রবাহিত পানি উপর থেকে দেখতে পায়। হযরত সুলায়মান (আঃ) হুদহুদকে এজন্যেই বিশেষভাবে খোঁজ করছিলেন যে, এতদঞ্চলে কোথায় মরুগর্ভে পানি লুক্কায়িত আছে, সেটা জেনে নিয়ে সেখানে জিন দ্বারা খনন করে যাতে দ্রুত পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা করা যায়’।

একদা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) ‘হুদহুদ’ পাখি সম্পর্কে বর্ণনা করছিলেন। তখন নাফে‘ ইবনুল আযরক্ব তাঁকে বলেন,

قِفْ يا وَقَّافُ ! كيف يَرَى الهدهدُ باطنَ الأرضِ وهو لا يَرَى الْفَخَّ حِيْنَ يَقَعُ فيه-

‘জেনে নিন হে মহা জ্ঞানী! হুদহুদ পাখি মাটির গভীরে দেখতে পায়। কিন্তু (তাকে ধরার জন্য) মাটির উপরে বিস্তৃত জাল সে দেখতে পায় না। যখন সে তাতে পতিত হয়’।

জবাবে ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, إذا جاء القَدَرُ عَمِىَ البَصَرُ ‘যখন তাক্বদীর এসে যায়, চক্ষু অন্ধ হয়ে যায়’। চমৎকার এ জবাবে মুগ্ধ হয়ে ইবনুল ‘আরাবী বলেন, لايَقْدِرُ على هذا الجوابِ إلا عالِمُ القرانِ ‘এরূপ জওয়াব দিতে কেউ সক্ষম হয় না, কুরআনের আলেম ব্যতীত’।

[কুরতুবী, তাফসীর সূরা নমল ২০ আয়াত]

’না না করবেন না শিরক বিদআত’



আগে একটা ছোট সত্য ঘটনা শুনাব

১৯৬৫ সাল তখন এটা পাকিস্তানই ছিল (পূর্ব পাকিস্তান) । সে সময়ে ভারত- পাকিস্তান (পূর্ব+পশ্চিম) যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে ভারত নাস্তানাবুদ হয়ে পরাজিত হয়। যুদ্ধ শেষেই তারা পরিকল্পনা নেয় ফারাক্কা বাধঁ নির্মানের। তাদের ফারাক্কা বাধেঁর সবচেয়ে বড় বিপদের সম্মখীন হবে পূর্ব পাকিস্তান। সে সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের যারা শাসক ছিলেন আইউয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান ( আমাদের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যাক্তি) একেবারে প্রকাশ্যে ঘোষণ দেন

ফারাক্কা বাধঁ আমরা বোম মেরে তা উড়িয়ে দিব।

১৯৬৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্টের সপ্ন দেশের আপমর জনতা দেখে নি। পাক শাসক আইউয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান তারাও সে সময় অবধি কল্পনা করেন নি পূর্ব পাকিস্তান আলাদা হয়ে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র হবে।

ফারাক্কা বাধেঁর এই ঘটনা এইজন্য বললাম পাক শাসক আইউয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান তারা অদূর ভবিষ্যৎের কথা চিন্তা করে এই উক্তি করেছিলেন। তারা সে সময় ভারত বিদ্বেষের কারণে এই বাস্তবতা বুঝতে পেরেছিলেন ফারাক্কা বাধঁ পূর্ব পাকিস্তান মানে বাংলাদেশের কিরূপ ক্ষতি করবে।

পরে ১৯৭১ যুদ্ধের পর যখন পুরো দেশ এক যুদ্ধপরবর্তী সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল তখন ভারত বিনা বাধায় ফারাক্কা বাধঁ নির্মাণ করে। যার পরিণতি আমরা ২০১৪ এর দিকে দেখছি নদী গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে ।

আসলে কিছু জিনিস আছে Long term effect

আমাদের শিক্ষাজীবনে পড়ালেখার কষ্ট এর আসল গুরত্ব বুঝব নিজ বুড়ো বয়সে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখলে টিপাইমুখ বাঁধ বা সুন্দরবন সংক্রান্ত বিদ্যুৎ প্রকল্প যার পরিণাম ২০-২৫ বছর পর পাওয়া যাবে।

এখন আসা যাক কেন প্রথমে শিরক, বিদআত কথা বললাম। ব্যপারটা ঐই Long term effect

বর্তমান যুগে Internet based যত Islamic website আছে সেগুলো সিহংভাগই আহলে হাদীস, সালাফী, লা-মাযহাবীদের কুক্ষিগত। তাই এর মাধ্যমে অত্যন্ত সুকৌশলে তারা নিজ আকিদা ছড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের একজন খুব বড় আলেম Peace Tv নিয়মিত প্রোগাম করেন, You tube তার শতশত লেকচার আছে । তার এবং তার পৃষ্ঠপোষক সংস্থা যারা আছে তাদের সব লেকচার গুলোর সারমর্ম এই পেলাম
বাংলাদেশে যত মুসলমান আছে তার মধ্যে
• দেওবন্দীরা ভুল ও বিভ্রান্ত
• বেরেলভীরা ভুল ও বিভ্রান্ত
• সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও জামাতে ইসলামীরা ভুল ও বিভ্রান্ত
• চরমোনাই পীর ভুল ও বিভ্রান্ত
• ছরছীনা পীর ভুল ও বিভ্রান্ত
• তাবলীগ জামাত ভুল ও বিভ্রান্ত

এছাড়া যত খানকা আছে সবাই ভুল ও বিভ্রান্ত
So the bottom line is
বর্তমান বিশ্বে একমাত্র মুসলিম হচ্ছে তারা আহলে হাদীস, সালাফী, লা-মাযহাবীরা । যাদের সূচনা হয়েছে মুসলিম বিশ্বে ১৫০-২০০ বছর আগে তারাই দাবী করছে শুধু তারাই সহীহ বাকী সবই ভুল । বাহরে কান্ড

স্বীকার করছি উপরের প্রতিটি ফিরকা কিছু না কিছু ভুল হচ্ছে তার মানে এই নয় এরা সবাই কাফের।

আসলে এই কথা বলার উদ্দেশ্য কি বর্তমানে তারাই বিশ্বে মুসলিম যুবসমাজকে আকর্ষিত করছে তাদের আকর্ষণীয় বুলি দ্বারা। এবং এই সমস্ত চিহ্নিত আহলে হাদীস, সালাফীরা সবার মাথায় পোকার মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছে
এটা শিরক, ঐটা শিরক, ডানে শিরক, বামে শিরক সবই শিরক
আর শিরক না হলে তো বাকী সবই বিদআত।
আর আগেকার উলামায়ে কেরামরা যা বলেছেন সব যয়ীফ হাদীস দুর্বল হাদীস, মানতে হবে না।
যুবসমাজ কিছু না বুছেই তাদের সব বাণী সত্য মেনে চলছে।

শুনলে অবাক হবেন এদের সংগা মতে

মিলাদ, কিয়াম, শবে মেরাজ, শবে বরাত, সব শিরক

প্রিয়নবীর ওসীলা নিয়ে দুআ চাওয়া শিরক , মাযার যিয়ারাত শিরক (মাজার সিজদা অবশ্যই শিরক) , পীর মুরীদী সব শিরক বালাগাল উলা বিকামালিহী ৮০০ বছর পুরানো আরবী কবিতা, এটাও শিরক কাসীদায়ে বুরদা ৭০০ বছর পুরানো নবীপ্রেমের কবিতা এট্ওা শিরক।

শিরককে একটা মশকরা বানিয়ে ফেলেছে

ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় গুনাহ হচ্ছে শিরক যা দয়াময় আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না।

আল্লাহ এতই দয়াময় যে একজন খুনীও যদি খাঁটি তওবা করে, তাকেও মাফ করে দেন, এক যেনাকারী মহিলা কুকুরকে পানি খাওয়াল বিধায় তাকে মাফ করে দেন। অনেক এরকম সাহাবী আছেন যারা কাফির থাকাকালীন নিজ মেয়েকে জীবন্ত পুতে ফেলেন, নবীজীর সামনে অশ্রুসিক্ত হয়ে তারাও মাগফেরাত লাভ করেন।

সেখানে চিন্তা করুন শিরক কত বড় গুনাহ যা আল্লাহ কখনই মাফ করবেন না।
আর বর্তমানে আহলে হাদীস, সালাফীরা প্রিয়নবীর ওসীলা নিয়ে দুআ চাওয়া, মাযার বালাগাল উলা বিকামালিহী, ইয়া নবী সালামু আলাইকা সব গুলোকে এক বাক্যে শিরক বলছে ।
মানে কি দাড়াচ্ছে এগুলো খুন, যিনার চেয়েও বড় অপরাধ । আস্তাগফিরুল্লাহ

আর যা শিরক বলতে পারবে না তা সবই বিদআত
শবে মেরাজ, শবে বরাত বিদআত, হাত তুলে দুআ বিদআত

এক্কেরে মগের মুল্লুকের মত কান্ড।

তাহলেতো বর্তমানে আহলে হাদীস, সালাফীদের যুক্তি অনুযায়ী সবাই কেজি ধরে কাফির

বাহ কি তামাশা

বর্তমান যুব সমাজে এক শ্রেণী আছে যারা শাহবাগী মুসলিম, মানে শুধু নাম মুসলিম বাকী আর ইসলামের কোন কাজ নাই

আরেক শ্রেণী যারা সত্যিই ইসলাম জানতে চায়
তবে তাদের মধ্যে প্রায় সবাই শর্টকার্ট মেথডে ও সহজে শিখতে গিয়ে আহলে হাদীস, সালাফীদের আকীদা ওয়ালা হচ্ছে।
Internet based কিছু আর্টিকেল পড়ল, কিছু লেকচার শুনল নিজেকে খুব বড় আলেম ভাবা শুরু করে
আসলে হয়ে গেল
অল্প বিদ্য ভয়ংকর
বর্তমানে এদের সংখ্যই বেশী
আর খুবই সামান্য কিছু মানুষ আছে যারা কিতাব পড়ে হাক্কানী আলেমেদ্বীন এর সোহবতে থেকে হাতে কলমে প্রকৃত ইসলাম শিখতে চায়

কি প্রসঙ্গে এত বিরাট আলোচনা করলাম ???
৪ ফেব্রুয়ারী হিন্দু ধর্মালম্বীদের স্বরস্বতী পূজা গেল

অধিকাংশ স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে স্বরস্বতী পূজার প্রার্থনা হল
এছাড়াও খেয়াল করবেন বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে, বড়দিন উপলক্ষেও নানা অনুষ্ঠান হয়
হয়না শুধু মুসলমানদের কোন মাহফিল।

আরে হবেও কেমনে
এ সমস্ত শিরক বিদআত বুলি আওড়ানো তো বসে আছে কেজি দরে সবগুলোকে শিরক বিদআত বানানোর জন্য।

আশুরা বা ইমাম হুসেইনের শাহাদাতে করবেন, তারা বলবে আরে এতে শিয়াদের জিনিস আমরা কেন করব। আর কিছু তো আসে ঈয়াজিদপন্থী যারা বলে ঈয়াজিদ ঠিক ছিলেন কারবালার হত্যাকান্ডও জায়েজ ছিল ভুল তো ছিলেন ইমাম হুসেইন (নাউযুবিল্লাহ) ।

১২ই রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করবেন
আরে এগুলোতো শিরক, বিদআত, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীনদের কেউ করেননি আপনি করেন কেন।

কওমী মাদ্রাসারা সীরাতুন্নবী মাহফিল করত, তখন শিরক বিদআত বুলি আওড়ানো ব্যবসায়ীরা বলত এটা কি দরকার, রবিউল আউয়াল মাসে করার কি দরকার সব বন্ধ করেন।

শবে মেরাজ এর মাহফিল করবেন >>> বিদআত
শবে বরাত করবেন >>>> সবতো যয়ীফ হাদীস

তফসীর মাহফিল করবেন, শানে রেসালাত মাহফিল করবেন, কি দরকার এগুলো তো সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীনদের কেউ করেননি আপনি করেন কেন।

Totally Crazy

সবাই হিন্দু বৌদ্ধরা তাদের ধর্মীয় কাজ করলে কোন স্বধর্মীয়রা বাধা দেয় না ।

আর আমরা মুসলিমরা করতে গেলেই আহলে হাদীস, সালাফীদের আকীদা ওয়ালা শিরক বিদআত করতে করতে কান ঝালাপালা করে দিবে ।

আপনারা নিজে বাস্তব উদাহরণ দেখুন

আজ থেকে
৭/৮ বছর আগেও প্রচুর ওয়াজ মাহফিল হত

প্রায় সব স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বার্ষিক মিলাদ, দুআ হত
১২ই রবিউল আউয়াল তো মিলাদের হিড়িক পড়ত।

এখন হয়???

লাভ কার ক্ষতি কার আপনারাই ভাবুন
৯০ ভাগ মুসলিম দেশে স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে
পূজা, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বড়দিন সবই হয় যথাযথভাবে
হয়না তো মুসলমানদের কিছু, আর হলেও তা নামকা ওয়াস্তে

এর Long term effect
পরিণাম পাওয়া যাবে ২০৩০+ এর পর যখন আমাদের পরবর্তী প্রজন্মরা
পূজা, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বড়দিন সবই চিনবে
চিনবে না তো নিজ মুসলমানদের কোন অনুষ্ঠান সমূহ

শুরু করলাম বাস্তব ঘটনা , সমাপ্তিও টানছি একটি সত্যি ইতিহাস

প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কিছু দিন হল ওফাত হল। হযরত আবু বকর এখন খলিফা ।
প্রিয়নবীর সময়ে পুরো কুরআন নাযিল ও হয়, এবং এর পান্ডুলিপিগুলো লেখাও হয়। কিন্তু তখন এর সব পান্ডুলিপিগুলো একত্রিত করা হয়নি।
সাহাবায়ে কেরামরা প্রায় সবাই হাফেজ ছিলেন এবং জানতেন কোনটার পর কোন আয়াত কিন্তু তখনও
কুরআনকে একটি পূণাঙ্গ কিতাব আকারে সাজানো হয়নি।

হযরত উমর একদিন খলিফা হযরত আবু বকরকে বললেন পুরো কুরআনের সব পান্ডুলিপি রাষ্ট্রীয় ভাবে একত্রিত করে কুরআনকে একটি পূণাঙ্গ কিতাব এর রূপ দেয়া।

খলিফা হযরত আবু বকর বলেন উমর আমি এমন কাজ করব যা প্রিয়নবী নিজে করেন নি বা করার আদেশ দেন নি।

জবাবে হযরত উমর হযরত আবু বকরের বুকে হাত রেখে বাড়ি দিয়ে বলেন
খলিফা আপনি এই উদ্যোগ নেন। অবশ্যই এই কাজে বরকত আছে।
হযরত আবু বকর বলেন উমরের সেই হাতের স্পর্শ আমার অন্তরকে শীতল করে অনুপ্রাণিত করেছে কুরআনকে একটি পূণাঙ্গ কিতাব হিসেবে নেয়ার কাজে । তারই ফলশুতিতে কুরআন একটি পূণাঙ্গ কিতাব আকারে রূপ পায়।

ভাগ্যিস সে যুগে আব্দুল্লাহ বিন ওহাব নজদী বা আহলে হাদীস, সালাফীরা ছিল না
তা না হলে তারা এই সমস্ত কথা বলে ত্যনা পেচাত

’না না করবেন না শিরক বিদআত’

[NB: গালাগালি না করতে অনুরোধ করা হল]

Wednesday, February 5, 2014

কবি আল্লামা শেখ সাদী(রহঃ)বলেছেন,

কবি আল্লামা শেখ সাদী(রহঃ)বলেছেন,
তোমার যখন বৃদ্ধকালের ছাপ পড়ে গেছে,
তখন আর দেরী না করে তাড়াতাড়ি নিজের জন্য
পরকালে রওয়ানা হওয়ার আসবাবপত্র যোগাড় করা উচিত।
বিলম্ব করলে কাফেলা পরিত্যাক্ত পথিকের মত কপালে হাত
দিয়ে কাঁদতে হবে। শত কাঁদলেও সময় আর ফিরে পাবে না।
যদি তোমার জ্ঞান থাকে, তাহলে জলদি করে কবরের পুঁজি সংগ্রহ
কর, নতুবা কবরে গিয়ে তুমি কিছুই করতে পারবেনা। তোমার কোন
সাধ্য থাকবে না। তোমার দেহ, মাংস সবই মাটি হয়ে যাবে।

Tuesday, February 4, 2014

অসাধারন একটি হাদীসঃ (পড়ার পর শেয়ার করবেন)


আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ তা’য়ালা, ফেরেশতাগণকে আদেশ দিয়ে বলেন, হে আমার ফেরেশতাগণ!
“আমার বান্দা যদি কোন অসৎ কাজ করার ইচ্ছা করে,
তবে উহা পাপ হিসেবে লিখিও না, যতক্ষণ সে উহা বাস্তবায়ন না করে।
যদি উহা বাস্তবায়ন করেই ফেলে তবে মাত্র একটি পাপ লিখে দাও।
আর যদি আমার ভয়ে উহা পরিত্যাগ করে, তহালে উহা একটি সৎকাজ হিসেবে লিখে দাও।
আর যদি কোন সৎকাজের ইচ্ছা করে তবে উহা একটি সৎকাজ হিসেবে লিখে দাও।
আর যদি উহা বাস্তবায়ন করে তাহলে তা দশগুণ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে লিখে দাও।
[সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৯৪৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৮]

Saturday, February 1, 2014

পীর ধরতে হবে

প্রশ্নঃ
পীর ধরতে হবে এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআন শরীফে কোন নির্দেশ আছে কিনা ? , ঊত্তরঃ হ্যাঁ পীর ধরতে হবে, এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন পাকে বহু নির্দেশ আছে । তবে পীর শব্দটি পবিত্র কোরআন পাকে নেই । কারন পীর শব্দটি ফার্সি ভাষা হতে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে । যেমনঃ নামাজ, রোজা, ফিরিস্তা, খোদা, ইত্যাদি শব্দগুলো কোরআন শরীফে-এ নেই । কারন উহা ফার্সি শব্দ , তবে এর প্রতিটি ফার্সি শব্দেরই প্রতিশব্দ কোরআন শরীফ আছে, যেমনঃ নামাজ- সালাত, রোজা- সাওম, ফিরিশ্তা-মালাকুন ইত্যাদি । আবার সালাত আরবি শব্দটি স্থান বিশেষ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয় । অনুরূপভাবে পীর ফার্সি শব্দের প্রতিশব্দ পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শব্দে প্রকাশ করেছেন, যথাঃ 'অলি' বহুবচনে আউলিয়া, মুর্শিদ, ইমাম, বহুবচনে আইম্মা, হাদি, ছিদ্দিকিন, ইত্যাদি । , নিম্নে কিছু আয়াত শরিফের অর্থ পেশ করা হলঃ , ১) হে মুমিনগণ! তোমরা অনুস্মরণ কর, আল্লাহ্ পাক এর, তাঁর রাসুল পাক (দঃ) এর এবং তোমাদের মধ্যে যারা ধর্মীয় নেতা । (সুরাঃ নিসা, আয়াতঃ ৫৯) । , ২) স্মরণ কর! সেই দিনকে যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাঁদের (ইমাম) নেতা সহ আহ্বান করব । (বনি ইসরাইল, আয়াতঃ ৭১ )। , ৩) মুমিন পুরুষ ও মুমিনা মেয়েলোকের ভিতর হতে কতেক কতেকের বন্ধু । (সুরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ ৭১) । , ৪) তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে । (সুরাঃ আল-ইমরান, আয়াতঃ ৭১) । , ৫) অনুস্মরণ কর তাঁদের যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাহে না, এবং যারা সৎ পথ প্রাপ্ত । (সুরাঃ ইমায়িন, আয়াতঃ ২১) । , ৬) যে বিশুদ্ধ চিত্তে আমার অভিমুখি হয়েছে তাঁর পথ অনুস্মরণ কর সুরাঃ লোকমান, আয়াতঃ ১৫। , ৭) জিকির সম্বন্ধে তোমাদের জানা না থাকলে জিনি জানেন তাঁর নিকট হতে জেনে নাও । (সুরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ৭)। , ৮) হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং (ছাদেকিন) সত্যবাদী গণের সঙ্গী হয়ে যাও । (সুরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ ১১৯) । , ৯) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাকের রহমত (মুহসিনিন) আউলিয়া কিরামগনের নিকটবর্তী । (সুরাঃ আরাফ, আয়াতঃ ৫৬) । , ১০) আল্লাহ্ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন, সে সৎপথ প্রাপ্ত হয় এবং তিনি (আল্লাহ্) যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তুমি কখনো তাঁর জন্য কোন পথপ্রদর্শনকারী (অলি- মুরশিদ) পাবে না । (সুরাঃ কাহাফ, আয়াতঃ ১৭) । , ১১) সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহ্র অলিগণের কোন ভয় নেই, এবং তারা কোন বিষয় এ চিন্তিতও নহে । তাঁদের জন্য আছে সুসংবাদ দুনিয়া ও আখেরাতে, আল্লাহ্র কথার কোন পরিবর্তন হয় না, উহাই মহা সাফল্য । (সুরাঃ ইউনুছ, আয়াতঃ ৬২-৬৪) । , ১২) হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ্ পাককে ভয় কর, এবং তাকে পাবার জন্য (নৈকট্য লাভের) অছিলা তালাশ কর । - (সুরাঃ মায়েদা, আয়াতঃ ৩৫) । , হে আল্লাহ আমাদের্কে সত্ত ও সঠিক জানা ও বুজার তৌফিক দান করুন এবং কামেল পীরের মুরিদ হয়ার তৌফিক দান করুন। আমাদের মদ্দে যারা পীর মুর্শিদের মান সম্মান বুজে না তাদের্কে হেদায়েত কর তুমার হেদায়েত জদি না মানে তবে তুমার গায়েবি শক্তি ধারা তুমি তাদের্কে ধংস করে দাও। আমীন ইয়া রাব্বুল আলামীন। , পড়া শেষে শেয়ার করতে ভুল কর্বেন না। , ¤নুর নবীজির গোলাম¤ , ¤বড় পীরের সৈনিক¤