Monday, August 26, 2013

আওলিয়া কেরামের পথ ছাড়া যেমন সত্য ও মুক্তির কোন উপায় নেই

আওলিয়া কেরামের পথ ছাড়া যেমন সত্য ও মুক্তির কোন উপায় নেই, তেমনি আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথ আজ দুর্লভ হয়ে গেছে। তাঁদের পথের নামে অনেক বিকৃতি মূর্খতা ভণ্ডামী ব্যবসা প্রতারণা চলছে। আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথ খুজে পাওয়া জীবনের অতিজরুরী গুরুত্ত্বপূর্ণ অর্জন, যা আমাদের অবশ্যই পেতে হবে এবং এর বিপরীত বিকৃতি প্রতারণা সম্পর্কেও সজাগ হতে হবে, মুক্ত থাকতে হবে। কারন হীন স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধোকা দিয়ে আওলিয়া কেরামের পবিত্র নামের অনেক অপব্যবহার হচ্ছে।

সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগে আওলিয়া কেরামের পবিত্র নামে তাঁদের তরিকতের নামেও আজ তাঁদের দিকদর্শনের বিপরীতে ভূল পথে পরিচালনা করা হচ্ছে। ভূল পথে অনন্তকাল চলেও কখনও কোন লক্ষ্য অর্জন করা যায় না। ভূয়া পথে থাকার মধ্যে সাময়িক কোন হীন স্বার্থসিদ্ধি হলেও জীবনের কোন প্রকৃত লাভ নেই। যে কোন ভ্রান্ত পথ জীবনের জন্য প্রকৃত পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর, কলংকজনক ও আখেরাতে চরম আফসোস ও দুঃখের কারন হবে। আওলিয়া কেরামের নামে তাঁদের ছদ্মবেশে ভূলপথে পরিচালিত করা আজ আমাদের মিল্লাতের ধ্বংসাত্মক বিপর্যয়ের অন্যতম কারন। যা থেকে আমাদের আজ তাঁদের পথের সঠিক দিকদর্শনে উদ্ধার হতেই হবে।

আওলিয়া কেরামের পবিত্র নাম নেয়া হচ্ছে, তাঁদের নামে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হচ্ছে, কিন্তু তাঁদের শিক্ষা ও পথ আড়াল করা হচ্ছে, বিকৃত বিলুপ্ত করা হচ্ছে। ভেজাল ও মিথ্যাকে প্রশ্রয় ও পথ করে দেয়া হচ্ছে, সত্য ও মুক্তির পবিত্র পথকে বিভিন্ন কৌশলে অবজ্ঞা উৎখাত করা হচ্ছে। আত্মিকভাবে অন্তসারশূন্য ও বস্তুবাদী করে তোলা হচ্ছে ফলে রাজনৈতিকভাবেও কলেমার বিপরীতে অপশক্তির দাস দোসর করে জীবন বিকিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং পরিণতিতে আওলিয়া কেরামের আসল পথ তথা প্রকৃত ইসলাম হারিয়ে গেছে, মিল্লাত পরাজিত হয়ে গেছে।

আওলিয়া কেরাম সত্যের ধারক সত্যের দিকদর্শন। যেখানে সত্য নেই সেখানে আওলিয়া কেরাম নেই। যেখানে মিথ্যা সেখানে আওলিয়া কেরাম নেই। সত্যের বিপরীত পথে থেকে, মিথ্যা ও জুলুমের সহযোগী হয়ে আওলিয়া কেরামের অনুসারী দাবী করা শুধু প্রতারণা নয়, তাঁদের সাধনা ও আদর্শের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করা। তরিকত, মাজার ওরশ যা কিছু আমাদের দ্বীনী রূহানী জীবনের অবিচ্ছেদ্য বিষয় সেসব পবিত্র নামেও চলছে অনেক বিকৃতি ও প্রহসন। অনেক স্থানেই হক বাতেলের কোন প্রশ্ন নেই, সত্যের দিশাও নেই, মিথ্যার বিরূদ্ধেও সচেতনতা নেই, আছে শুধু প্রদর্শনী, ফলে মুক্তিও নেই।

-" ইমাম হায়াত আলাইহে রাহমা "

Monday, August 12, 2013

মহাবীর আলেকজান্ডার

মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজান্ডার তার
সেনাপতিদের ডেকে বলেছিলেন,'আমার
মৃত্যুর
পর
আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে।
আমার প্রথম অভিপ্রায় হচ্ছে,শুধু আমার
চিকিতসকরাই
আমার কফিন বহন করবেন।
আমার ২য় অভিপ্রায় হচ্ছে, আমার কফিন
যে পথ
দিয়ে গোরস্থানে যাবে সেই পথে আমার
অর্জিত
সোনা ও রুপা ছড়িয়ে থাকবে |
আর শেষ অভিপ্রায় হচ্ছে, কফিন বহনের
সময়
আমার
দুইহাত কফিনের বাইরে ঝুলিয়েথাকবে।'
তার সেনাপতি তখন তাঁকে এই বিচিত্র
অভিপ্রায় কেন
করছেন প্রশ্ন করলেন। দীর্ঘ শ্বাস
গ্রহণকরে আলেকজান্ডার বললেন,
'আমি দুনিয়ার
সামনে তিনটি শিক্ষা রেখেযেতে চাই।
*আমার চিকিত্সকদের কফিন বহন
করতেএই
কারনে বলেছি যে যাতে লোকে অনুধাবন
করতে পারে যে চিকিত্সকেরা কোন
মানুষকে সারিয়ে তুলতে পারে না।
তারা ক্ষমতাহীন
আরমৃত্যুর
থাবা থেকে রক্ষা করতে অক্ষম।'
*'গোরস্হানের পথে সোনা-
দানা ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা ব
দানার একটা কণাও আমার
সঙ্গে যাবে না।এগুলো পাওয়ার
জন্যসারাটা জীবন
ব্যয় করেছি কিন্তু নিজের সঙ্গে কিছুই
নিয়ে যেতে পারছি না।মানুষ বুঝুক
এসবেরপেছনে ছোটা সময়ের অপচয়।'
* 'কফিনের বাইরে আমার হাত
ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা জানাতে
খালি হাতেই
পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছি।

Saturday, August 10, 2013

বেলালের নবি প্রেম

"হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর ইন্তেকালে বেলাল (রাঃ) প্রায়... পাগলের মতো হয়ে গেলেন। তিনি ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাচ্ছেন । সাহাবীরা তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন :- "যে দেশে মহানবী (সঃ) নেই,আমি সেখানে থাকবো না"।
এরপর তিনি মদীনা ছেড়ে দামস্কে চলে যান । কিছুদিন পরে বেলাল (রাঃ) সপ্নে দেখলেন যে মহানবী (সঃ)তাকে বলছেন, "হে বেলাল (রাঃ) তুমি আমাকে দেখতে আসো না কেন ''?
এ সপ্ন দেখে তিনি মহানবী (সঃ) এর রওজা মুবারক দেখতে মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা হন । বেলাল (রাঃ) এর আগমনের খবরে মদীনাবাসী আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় । বেলাল (রাঃ) হলেন মহানবী (সঃ) এর নিযুক্ত মুয়াজ্জিন । মহানবী (সঃ) এর ইন্তেকালের পর বেলাল (রাঃ) আর আযান দেননি ।তার কন্ঠে আযান শুনতে সাহাবীরা ব্যাকুল হয়ে আছেন । তারা তাকে আযান দিতে বললে তিনি বলেন যে, তিনি পারবেন না । অনেক জোর করে তাকে বললে তিনি উত্তরে বলেন, "আমাকে আযান দিতে বলো না । কারণ এটা আমিপারবো না । আমি যখন আযান দিই তখন আল্লাহু আকবর' বলার সময় আমি ঠিক থাকি ,'আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলার সময়ও ঠিক থাকি। 'আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' বলার সময় মসজিদের মিম্বারের দিকে তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ) বসে আছেন । কিন্তু যখন মিম্বারে তাকিয়ে তাকে দেখব তখন সহ্য করতে পারবো না।"
কিন্তু তবুও সাহাবীরা জোর করলো । অবশেষে হাসান ও হোসাইন (রাঃ) এসে তাকে জোর করলে তিনি রাজী হন । তার আযান শুনে সকল সাহাবীর চোখে পানি এসে যায় । কিন্তু আযানের মাঝেই বেলাল (রাঃ) বেহুশ হয়ে পরে যান । তাকে সকলেই ধরে নিয়ে যান ।
পরে জ্ঞান ফিরার পর তিনি সকলকে বলেন, "আমি যখন আযান দিচ্ছিলাম তখন 'আল্লাহু আকবর' বলার সময় আমি ঠিক ছিলাম । 'আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলার সময়ওঠিক ছিলাম । কিন্তু 'আশহাদু অন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' বলার সময় মসজিদের মিম্বারের দিকে তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ) আজ সেখান বসে নেই । এ দৃশ্য আমি সহ্য করতে পারলাম না । তাই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলাম।"
সুবাহানাল্লাহ !! সাহাবিরা নবী করীম (সঃ) কে কতই না ভালবাসতেন....
হে আল্লাহ, তুমি আমাদেরকে নবী কে আরো বেশি ভাল তৌফিক দান কর ।।

Thursday, August 1, 2013

আল্লামা অধ্যক্ষ জালালুদ্দীন আল কাদেরী

চট্টগ্রাম:  আল্লামা অধ্যক্ষ জালালুদ্দীন আল কাদেরী। ১৯৭১ সালের ৭ জুন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮০ সাল থেকে এ মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। ১৯৮৬ সালে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব হিসেবে যোগদান করে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। দায়িত্ব পালনকালে খ্যাতি পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। এ পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জামেয়া মাদ্রাসা তিনবার দেশের শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর জালালুদ্দীন আল কাদেরী শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের সদস্য ও শীর্ষ স্থানীয় এ আলেমসহ চট্টগ্রামের ১০ আলেমকে হত্যার পরিকল্পনা করে জামায়াত শিবির। ইসলামের নামে জামায়াতে ইসলামীর সহিংস রাজনীতি, মানুষ হত্যা, দেশের সম্পদ নষ্ট নিয়ে কোরান-হাদিসের আলোকে ইসলামের মূল বাণী কী তা নিয়ে জালালুদ্দীন আল কাদেরী কথা বলেছেন বাংলানিউজের সঙ্গে।

দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী তথাকথিত ‘তাফসিরুল কোরান’ মাহফিলের নামে শুরু থেকেই কোরান হাদিসের অপব্যাখ্যা করায় চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এই জালালুদ্দীন আল কাদেরীসহ চট্টগ্রামের চারজন শীর্ষ আলেম।

তারা সাঈদীকে কোরান-হাদিসের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে ‍অভিযোগ করে আলোচনায় বসার জন্য লিখিতভাবে জানালেও বৈঠকে বসেননি তিনি। বরং উল্টো বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদকারী এসব আলেমদের উপর হামলা করেছে জামায়াত-শিবির।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, “দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী বিভিন্ন মাহফিলে(ধর্মীয় সভা) ইসলামের অপব্যাখ্যা করায় কোরান হাদিস নিয়ে বৈঠকে বসার জন্য ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলাম। আলোচনায় বসার জন্য চট্টগ্রামের শীর্ষ চারজন আলেম স্বাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদনও তার কাছে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত তিনি কোন জবাব দেননি।” 

মাওলানা কাদেরী জানান, ‘তাফসিরুল কোরান” মাহফিল নাম দিয়ে সেখানে কোরান হাদিসের অপব্যাখ্যা করায় ১৯৮১ সালের দিকে (যখন সাঈদী ওয়াজ শুরু করেছেন) এই চ্যালেঞ্জ করেছিলাম আমরা।

চ্যালেঞ্জ করা চারজন আলেমদের মধ্যে সম্প্রতি হত্যার জন্য বাসায় রেকি করতে যাওয়া মুফতি ওবায়দুল হক নঈমীও ছিলেন।

জালালুদ্দীন বলেন, “সাঈদী কোরান হাদিসের ব্যাখ্যার নামে ভুল ব্যাখ্যা করে সমাজে বিশৃঙ্খলা ‍সৃষ্টি করে আসছেন। ধর্মের নামে মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াতেন উত্তেজনামূলক রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে।”

কোরান-হাদিসের আলোকে জামায়াত শিবির নেতারা সুন্নি আলেমদের সঙ্গে আলোচনায় বসার সাহস না থাকায় তাদের হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে হত্যা পরিকল্পনা:
চট্টগ্রামের শীর্ষ দশজন আলেমকে হত্যার মাধ্যমে জামায়াত-শিবির রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চেয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন জালালুদ্দীন।

তিনি বলেন, “হিটলিস্টভুক্ত ১০জন আলেমকে হত্যা করা হলে দেশের মানুষের মধ্যে বড় ধরণের প্রভাব পড়তো। ফলে সরকার পড়তেন বেকায়দায়। আর এ সুবিধা নিতেন পরিকল্পনাকারীরা।”

তিনি বলেন, “আমরা কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই। তবে সব সময় সরকারকে সহযোগিতা করে আসছি। যারা আল্লাহ এবং তার নবীকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয় তাদের বিরোধীতা করি।”

এ ঘটনার পর থেকে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা পাওয়াতে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ধর্মের নামে অধর্ম প্রচারে জামায়াত:
জামায়াতে ইসলাম ধর্মের নামে অধর্ম প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন জালালুদ্দীন আল কাদেরী। তিনি বলেন, ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। তারা যদি ইসলামের কথাই বলে তাহলে মানুষ হত্যার কথা নয়।

তিনি জানান, জামায়াতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদি নবী এবং সাহাবায়ে কেরাম নিয়েও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত সব সময় তার বিরোধীতা করে আসছে।

তিনি বলেন, “যে দলের প্রতিষ্ঠাতা নবীর শানে বেয়াদবী করেছে তার মতাদর্শের দল নবীর মর্যাদার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মানুষ মারছে, হত্যার পরিকল্পনা করছে, বিরোধীদের মতাদর্শের লোকজনকে হত্যা করছে।”

“তারাতো মূলত ধর্মের নামে অধর্মই প্রচার করছে,” যোগ করেন তিনি।

সংখ্যা লঘু রাষ্ট্রের আমানত:

ইসলামী রাষ্ট্রেও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী থাকলে তাদের হত্যা, নির্যাতন বা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কোন বিধান ইসলামে নেই বলে জানান অধ্যক্ষ আল্লামা জালালুদ্দীন আল কাদেরী।

তিনি বলেন, “রাষ্ট্রে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সমান। আর তাই রাষ্ট্রে সংখ্যা লঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। কারণ সংখ্যা লঘু সম্প্রদায় হলো রাষ্ট্রের আমানত।”

তিনি মহানবী (সা.) বিদায় হজ্বের ভাষণের উদৃতি দিয়ে বলেন, “মহানবী (সা.) বিদায় হজ্বের ভাষণে কারো উপর নির্যাতনকে হারাম করেছেন।”

“ভিন্ন মত পোষণ করলেও কারো উপর জুলম-অত্যাচার- নির্যাতন করা যাবে না।”

ইসলামে হত্যার বিধান নেই:
ইসলাম ধর্মে হত্যার কোন বিধান নেই বলে জানিয়ে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদের খতিব জালালুদ্দীন বলেন, “শুধু মানুষ নয় ইসলাম ধর্মে কোন পশু পাখি হত্যারও বিধান নেই।”

যারা ইসলাম ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে, মানুষের জান মালের ক্ষতি করে, দেশের সম্পদ নষ্ট করে তারা ইসলাম বুঝে না। বরং ইসলামের নামে রাজনীতি করে ইসলামকে কলঙ্কিত করছে।

ইসলাম শান্তির ধর্ম আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “আমরা সুফিবাদে বিশ্বাসী। আমরা সেই ইসলামের চর্চা করি যেখানে মারামারি, হানাহানি নেই। যারা এর বিরোধীতা করে তাদের সঙ্গে কোরান হাসিদের আলোকে কথা বলি।”

জামায়াত ইসলাম বিরোধী আকিদা (বিশ্বাস) পোষণ করে বলেই আমরা প্রতিবাদ করেছি। তাই আমাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, বলেন জালালুদ্দিন।

ইসলামে গুজব হারাম:
চাঁদে সাঈদীর ছবি দেখার বিষয়ে তিনি বলেন, “চাঁদ এবং সূর্য হলো আল্লার কুদরতের নিদর্শন। সেখানে কারো ছবি দেখা যাওয়ার ঘটনা নিতান্তই গুজব ছাড়া আর কিছু নয়। আর গুজব ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ণ হারাম।”

তিনি বলেন, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বিভিন্ন ‍গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে। যা ইসলামের বিধানে সম্পূর্ণভাবে হারাম বা অবৈধ।

যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের আইনে যদি কারো অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে রাষ্ট্র আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেখানে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। ইসলামেও তাই বলা হয়েছে।

ছুন্নী আন্দোলন,বাংলাদেশ।

কোরআনে পাকে যেখানে রাসূলের প্রতি স্বয়ং আল্লাহতায়ালা ফেরেশতামন্ডলীসহ সালাতু সালাম পেশ করছেন এবং মুমিনদেরকেও অত্যন্ত তাজিম সহকারে সালাতু সালাম পেশ করার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন (সূরা আহযাব, আয়াত-৫৬), সেখানে যারা সালাতু সালাম, মিলাদ মাহফিল ও কেয়ামের বিরোধিতা করে তারা পথভ্রষ্ট, মিথ্যা ও জাহান্নামী।

-" ইমাম হায়াত আলাইহে রাহমা "