পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার সময় ইয়া নবী, ইয়া রসূল বলে সম্বোধন করার শরয়ী ফায়সালা
এবং বিরোধী পক্ষের খোরা যুক্তির খন্ডন মূলক জবাব ........... পর্ব-৬
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
قال رب فانظرنى الى يوم يبعثون
অর্থ: “শয়তান (মহান আল্লাহ পাক উনার সামনে) বললো, হে আমার মহান রব! আপনি আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন |” (পবিত্র সূরা হিজর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
وقل رب زدنى علما
অর্থ: “বলুন, হে আমার মহান রব! আমার ইল্ম বৃদ্ধি করুন |” (পবিত্র সূরা ত্ব-হা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৪)
وقل رب اعوذ بك من همزت الشيطين
অর্থ: “বলুন, হে আমার মহান রব! আমি আপনার কাছে (আমার উম্মত উনাদের ব্যাপারে) শয়তানের প্ররোচনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি |” (পবিত্র সূরা মু’মিনুন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৯৭)
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
قال رب ان قومى كذبون
অর্থ: “হযরত নূহ আলাইহিস্ সালাম তিনি বললেন, হে আমার মহান রব! আমার সম্প্রদায় তো (অন্যায়ভাবে) আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে |” (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৭)
رب هب لى من الصالحين
অর্থ: “(হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট প্রার্থনা করলেন:) হে আমার মহান রব! আমাকে একজন সৎপুত্র দান করুন |” (পবিত্র সূরা ছফ্ফাত শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০০)
এ রকম সর্বমোট ৬৭খানা পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ربى এর শেষে ياء متكلم বাদ দেয়া হয়েছে | অনুরূপভাবে নিম্নোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফগুলোতেও ياء বাদ দিয়ে নিদর্শন হিসেবে যের রাখা হয়েছে |
যেমন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وما خلقت الجن والانس الا ليعبدون
অর্থ : “আমার ইবাদত-বন্দেগী (মা’রিফত-মুহব্বত অর্জন) করার জন্য আমি জিন ও মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি |” (পবিত্র সূরা যারিয়াত শরীফ : নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
ان ارضى واسعة فاياى فاعبدون
অর্থ: “(মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন) আমার যমীন প্রশস্ত | অতএব, তোমরা আমারই ইবাদত-বন্দেগী করো |” (পবিত্র সূরা আনকাবূত শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ)
পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ উনার ২৫ ও ৯২ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যেও অনুরূপ নিয়মে উল্লেখ আছে |
তেমনিভাবে এর বিপরীতও আমরা দেখতে পাই هى যমীরের সাথে هيه যুক্ত করে উচ্চাঙ্গের ছন্দ মিলানো হয়েছে |
যেমন, পবিত্র সূরা ক্বারিয়াহ শরীফ উনার ১০, ১১ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে,
وما ادراك ماهية نار حامية
অর্থ: “আপনি জানেন তা (হাবিয়া দোযখ) কি? তা হচ্ছে প্রজ্জ্বলিত অগ্নি |”
এখানে هيه আসলে ছিল هى যা যমীর বা সর্বনাম | هى সর্বনামের পরে ه অক্ষর যুক্ত করণের মধ্যে লক্ষ-কোটি কারণ নিহিত রয়েছে | তন্মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বাক্যের সাথে মিল ও সাদৃশ্যতা বুঝানো | তাই هيه (হিয়াহ) শব্দ মুবারক ইরশাদ হয়েছে |
অতএব প্রমাণিত হলো, পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র সালাম শরীফ প্রেরণের সময়
يا نبى، يا رسول، يا حبيب উনাদের ياء متكلم কে বাদ দিয়ে নিদর্শন হিসেবে যের দেয়া হয়েছে | ওয়াক্ফের সময় উক্ত যের উহ্য রেখে ইয়া নবী, ইয়া রসূল ও ইয়া হাবীব পড়া হয়; যা পবিত্র কুরআন শরীফ ও ক্বাওয়ায়িদের ভিত্তিতেই ছহীহ |
এবং বিরোধী পক্ষের খোরা যুক্তির খন্ডন মূলক জবাব ........... পর্ব-৬
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
قال رب فانظرنى الى يوم يبعثون
অর্থ: “শয়তান (মহান আল্লাহ পাক উনার সামনে) বললো, হে আমার মহান রব! আপনি আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন |” (পবিত্র সূরা হিজর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
وقل رب زدنى علما
অর্থ: “বলুন, হে আমার মহান রব! আমার ইল্ম বৃদ্ধি করুন |” (পবিত্র সূরা ত্ব-হা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৪)
وقل رب اعوذ بك من همزت الشيطين
অর্থ: “বলুন, হে আমার মহান রব! আমি আপনার কাছে (আমার উম্মত উনাদের ব্যাপারে) শয়তানের প্ররোচনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি |” (পবিত্র সূরা মু’মিনুন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৯৭)
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
قال رب ان قومى كذبون
অর্থ: “হযরত নূহ আলাইহিস্ সালাম তিনি বললেন, হে আমার মহান রব! আমার সম্প্রদায় তো (অন্যায়ভাবে) আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে |” (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৭)
رب هب لى من الصالحين
অর্থ: “(হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট প্রার্থনা করলেন:) হে আমার মহান রব! আমাকে একজন সৎপুত্র দান করুন |” (পবিত্র সূরা ছফ্ফাত শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০০)
এ রকম সর্বমোট ৬৭খানা পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ربى এর শেষে ياء متكلم বাদ দেয়া হয়েছে | অনুরূপভাবে নিম্নোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফগুলোতেও ياء বাদ দিয়ে নিদর্শন হিসেবে যের রাখা হয়েছে |
যেমন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وما خلقت الجن والانس الا ليعبدون
অর্থ : “আমার ইবাদত-বন্দেগী (মা’রিফত-মুহব্বত অর্জন) করার জন্য আমি জিন ও মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি |” (পবিত্র সূরা যারিয়াত শরীফ : নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
ان ارضى واسعة فاياى فاعبدون
অর্থ: “(মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন) আমার যমীন প্রশস্ত | অতএব, তোমরা আমারই ইবাদত-বন্দেগী করো |” (পবিত্র সূরা আনকাবূত শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ)
পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ উনার ২৫ ও ৯২ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যেও অনুরূপ নিয়মে উল্লেখ আছে |
তেমনিভাবে এর বিপরীতও আমরা দেখতে পাই هى যমীরের সাথে هيه যুক্ত করে উচ্চাঙ্গের ছন্দ মিলানো হয়েছে |
যেমন, পবিত্র সূরা ক্বারিয়াহ শরীফ উনার ১০, ১১ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে,
وما ادراك ماهية نار حامية
অর্থ: “আপনি জানেন তা (হাবিয়া দোযখ) কি? তা হচ্ছে প্রজ্জ্বলিত অগ্নি |”
এখানে هيه আসলে ছিল هى যা যমীর বা সর্বনাম | هى সর্বনামের পরে ه অক্ষর যুক্ত করণের মধ্যে লক্ষ-কোটি কারণ নিহিত রয়েছে | তন্মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বাক্যের সাথে মিল ও সাদৃশ্যতা বুঝানো | তাই هيه (হিয়াহ) শব্দ মুবারক ইরশাদ হয়েছে |
অতএব প্রমাণিত হলো, পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র সালাম শরীফ প্রেরণের সময়
يا نبى، يا رسول، يا حبيب উনাদের ياء متكلم কে বাদ দিয়ে নিদর্শন হিসেবে যের দেয়া হয়েছে | ওয়াক্ফের সময় উক্ত যের উহ্য রেখে ইয়া নবী, ইয়া রসূল ও ইয়া হাবীব পড়া হয়; যা পবিত্র কুরআন শরীফ ও ক্বাওয়ায়িদের ভিত্তিতেই ছহীহ |
No comments:
Post a Comment