পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার সময় ইয়া নবী, ইয়া রসূল বলে সম্বোধন করার শরয়ী ফায়সালা
এবং বিরোধী পক্ষের খোরা যুক্তির খন্ডন মূলক জবাব ........... পর্ব-৭
কিছু সংখ্যক জাহিল ও গুমরাহ লোক কিল্লতে ইলম ও কিল্লতে ফাহম অর্থাৎ কম জ্ঞান ও কম বুঝের কারণে বলে থাকে যে, “পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার সময় ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা, ইয়া রসূল সালামু আলাইকা, ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা, ছলাওয়াতুল্লাহ আলাইকা’- এভাবে পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানহানী হয় | তাই এভাবে সালাম পেশ করা ঠিক নয় |”
তাদের আপত্তিকর বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে-
(ক) “ نبى-رسول- حبيب এ শব্দগুলো نكرة (নাকিরাহ) বা অপরিচিত তাই এগুলোকে يا (ইয়া) হরফে নিদা দ্বারা ডাকলে معرفة (মা’রিফাহ) বা পরিচিত হয়ে যায় বটে, তবে ডাকার পূর্বে অপরিচিত থেকে যায় | তাই يا نبى ‘ইয়া নবী’ এভাবে সালাম পেশ করা ঠিক নয় | বরং يا ايها النبى ও يا ايها الرسول ইত্যাদি নিয়মে সালাম পেশ করাই সঠিক বা ক্বাওয়ায়িদ সম্মত |”
তাদের উপরোক্ত বক্তব্যের খন্ডনমূলক জবাবের এটি ৬ষ্ঠ পর্ব যা ধারাবাহিকভাবে পেশ করা হচ্ছে |
(ধারাবাহিক)
হযরত আল্লামা আবূ যায়েদ মুহম্মদ ইবনে আবুল খত্তাব আল ক্বারশী সঙ্কলিত “জামহারাতু আশয়ারিল আরব” নামক কিতাবে বিখ্যাত কবি আমর ইবনে সালিম আল খুযায়ী তিনি আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রশংসায় বলেন,
يا رب انى ناشد محمد صلى الله عليه وسلم+ حلف ابينا وابيه الاتلدا
অর্থ: “হে আমার মহান রব! আমি সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে ছন্দাকারে কবিতা পাঠ করছি | যিনি আমার পিতা ও উনার প্রবীণ পিতার সঙ্গী |”
এখানে ربى ছিল, সহজতার জন্য ياء متكلم কে হযফ করে নিদর্শন হিসেবে যের দেয়া হয়েছে | যের বিশিষ্ট يا رب এতে ওয়াক্ফ করলে ইয়া রব্ পড়তে হয় |
তেমনিভাবে يا نبى، يا رسول، يا حبيب উনাদের শেষে যে ياء ছিল তা বাদ দিয়ে নিদর্শন হিসেবে যের দিয়ে পড়া হয় | এখানে ওয়াক্ফ করার কারণে ইয়া নবী, ইয়া রসূল, ইয়া হাবীব পড়া হয় | যেমন, يا رب (ইয়া রব) পড়া হয় |
এবং বিরোধী পক্ষের খোরা যুক্তির খন্ডন মূলক জবাব ........... পর্ব-৭
কিছু সংখ্যক জাহিল ও গুমরাহ লোক কিল্লতে ইলম ও কিল্লতে ফাহম অর্থাৎ কম জ্ঞান ও কম বুঝের কারণে বলে থাকে যে, “পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার সময় ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা, ইয়া রসূল সালামু আলাইকা, ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা, ছলাওয়াতুল্লাহ আলাইকা’- এভাবে পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানহানী হয় | তাই এভাবে সালাম পেশ করা ঠিক নয় |”
তাদের আপত্তিকর বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে-
(ক) “ نبى-رسول- حبيب এ শব্দগুলো نكرة (নাকিরাহ) বা অপরিচিত তাই এগুলোকে يا (ইয়া) হরফে নিদা দ্বারা ডাকলে معرفة (মা’রিফাহ) বা পরিচিত হয়ে যায় বটে, তবে ডাকার পূর্বে অপরিচিত থেকে যায় | তাই يا نبى ‘ইয়া নবী’ এভাবে সালাম পেশ করা ঠিক নয় | বরং يا ايها النبى ও يا ايها الرسول ইত্যাদি নিয়মে সালাম পেশ করাই সঠিক বা ক্বাওয়ায়িদ সম্মত |”
তাদের উপরোক্ত বক্তব্যের খন্ডনমূলক জবাবের এটি ৬ষ্ঠ পর্ব যা ধারাবাহিকভাবে পেশ করা হচ্ছে |
(ধারাবাহিক)
হযরত আল্লামা আবূ যায়েদ মুহম্মদ ইবনে আবুল খত্তাব আল ক্বারশী সঙ্কলিত “জামহারাতু আশয়ারিল আরব” নামক কিতাবে বিখ্যাত কবি আমর ইবনে সালিম আল খুযায়ী তিনি আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রশংসায় বলেন,
يا رب انى ناشد محمد صلى الله عليه وسلم+ حلف ابينا وابيه الاتلدا
অর্থ: “হে আমার মহান রব! আমি সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে ছন্দাকারে কবিতা পাঠ করছি | যিনি আমার পিতা ও উনার প্রবীণ পিতার সঙ্গী |”
এখানে ربى ছিল, সহজতার জন্য ياء متكلم কে হযফ করে নিদর্শন হিসেবে যের দেয়া হয়েছে | যের বিশিষ্ট يا رب এতে ওয়াক্ফ করলে ইয়া রব্ পড়তে হয় |
তেমনিভাবে يا نبى، يا رسول، يا حبيب উনাদের শেষে যে ياء ছিল তা বাদ দিয়ে নিদর্শন হিসেবে যের দিয়ে পড়া হয় | এখানে ওয়াক্ফ করার কারণে ইয়া নবী, ইয়া রসূল, ইয়া হাবীব পড়া হয় | যেমন, يا رب (ইয়া রব) পড়া হয় |
No comments:
Post a Comment