পাল্টা জবাব ওহাবীর মুখে ছুড়ে মারলাম
এইটা এক ওহাবী খারেজীর আইডি
সে পোষ্ট করেছে আর লিখেছে
****** ইসলাম ধর্মে পা ধরে সালাম করা হারাম ! ! ! এটি হিহুদী , নাছারা, বিধর্মীদের কাজ। কিন্তু আফসোসের বিষয় আজ কত গুলো ভন্ডরা এই রিতি পালন করে থাকে।************
এইটা এক ওহাবী খারেজীর আইডি
সে পোষ্ট করেছে আর লিখেছে
****** ইসলাম ধর্মে পা ধরে সালাম করা হারাম ! ! ! এটি হিহুদী , নাছারা, বিধর্মীদের কাজ। কিন্তু আফসোসের বিষয় আজ কত গুলো ভন্ডরা এই রিতি পালন করে থাকে।************
আসুন ওহাবীদের গালে দলিলের থাপ্পর মারি।
দেখ খবিশেরা নিজের চখে দেখ
কদমবুসি বা কদম চুম্বন, পবিত্র কোন বস্তু চুম্বন বা তাজিমের জন্য দাঁড়ানো জায়েজ কি না?
প্রথমে যারা, বেদাত বেদাত, শেরক শেরক করে চিল্লায় তাদেরই কেতাব থেকে প্রমান, অর্থাৎ দেওবন্দিদের কেতাব হইতে। তার পরে হাদিস দিয়ে প্রমান দেব ইনশা আল্লাহ।
মাওঃ রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী ফাতওয়ায়ে রশিদিয়া ১/৫৪ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন -দ্বিননদার ব্যক্তির তাজিমের জন্য দাঁড়ানো দুরস্ত আছে। এইরূপ ব্যক্তির কদম চুম্বনও দুরস্ত হইবে। ইহা হাদিসের দ্বারা সাব্যস্ত আছে।
(২) -মাওঃ থানবী সাহেব আত্তাকাশ শুফ পুস্তকের ৪২৪ পৃষ্ঠায় একটি হাদিস উদ্ধৃত করিয়া প্রমান করিয়াছেন পীরের প্রিয় পাত্রগণের অভ্যাস এই যে, পীরের হস্ত বা পদ বা কপালে চুম্বন দিয়া থাকেন। ইহাতে কোন দোষ নাই, অবশ্য খিয়াল রাখিতে হইবে যে শরীঅতের হুকুমের কোন ব্যতিক্রম না ঘটে। অর্থাৎ কদম চুম্বন করিতে গিয়ে পীরের পা চাঁটা, পায়ের আঙ্গুল চোষা ইত্যাদি নাজায়েজ কার্য হইতে সতর্ক থাকিতে হইবে।
(৩) - মাওলানা আহমাদ সাঈদ দেও বন্দি সাহেবের লিখিত রাসুলুল্লাহ কি মুযেজাত পুস্তকের ১৪১ টৃষ্ঠায় আছেঃ - বাযযারের হাদিস -(সারমর্ম) বরীদা হইতে বর্ণিত, একটি গ্রামে অমুসলমান (আরবী) হুজুর সঃ কে বলিয়া ছিলেন আমি আপনাকে সিজদা করিব, তখন হুজুর সঃ বলিয়া ছিলেন আমি যদি কোন মানুষকে তাজীমের সেজদা আদেস দিতাম তবে বিবিগণকে তাঁহাদের স্বামীদিগকে সিজদা করিতে বলিতাম। মোটকথা হুজুর সঃ উহাকে আদেশ দিলেন না। তখন ঐ ব্যক্তি বলিল তবে আমাকে হস্ত -পদ চুম্বন করিতে আদেশ দেন। তখন হুজুর সঃ আদেশ দিলেন। সে হুজুর সঃ এঁর হস্ত পদ চুম্বন করিল। এই রূপ একটি হাদিস মুহাদ্দেস হাকিম বর্ণনা করিয়া সহীহ বলিয়া ছেন।। এইরূপ ধরনের একটি হাদিস কে ফাতওয়ায়ে শামীর বরাত দিয়ে
* মাওঃ শফী সাহেব জাওয়াহেরুল ফিকাহ কেতাবে ১/১৯৭ পৃষ্ঠায় সহি হাদিস বলিয়া উল্লেখ করিয়া ছেন। , ইমাম নবাবী আল আজগার কিতাবে উক্ত হাদীস হইতে ইহাই প্রমান করিয়াছেন যে, মুহাব্বত বা ভালবাসা সূত্রে বযুর্গদিগের হস্ত -পদ চুম্বন করিতে পারে।
মিশকাত শরীফে الصا فحة و ا لعا نقة অধ্যায়ে দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে বর্ণিত আছে - হজরত যেরা রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, যানি আব্দুল কায়েসের প্রতিনিধিভুক্ত ছিলেন, তিনি বলেন যখন আমরা মদীনা মানোয়ারায় আসলাম তখন আমরা নিজ নিজ বাহন থেকে তাড়া তাড়ি অবতরন করতে লাগলাম। অতঃপর আমরা হুজুর সঃ পবিত্র হাত পায়ে চুমু দিয়ে ছিলাম।,
সময় হাতে আর পেলাম না বলে এত টুকুই লিখলাম প্রয়জন বোধ হলে দ্বিতীয় খণ্ড লিখবো, বানান ভূল থাকলে থাকতে পারে সংশোধনের সময় নেই।
আশা করি যারা শেরেক বেদাত বলে লাফায় তাদের মুখ বন্ধ হল।
কদমবুসীর অর্থ ও দলিল :
কদমবুছীর সংজ্ঞাঃ “কদমবুছী” -এর “কদম”
শব্দটি আরবী যার অর্থ “পা”, আর “বুছী”
শব্দটি ফার্সী যার অর্থ “চুম্বন করা”।
সুতরাং “কদমবুছী” অর্থ হলো “পায়ে চুম্বন করা”।
অর্থাৎ সরাসরি মুখ দিয়ে পায়ে চুম্বন
দেয়াকে “কদমবুছী” বলে। কিন্তু প্রচলিত
অর্থে কদমবুছী বলতে আমাদের দেশে হাত
দিয়ে পা স্পর্শ করে হাতে চুমু খাওয়ার যে প্রচলন
তা মূলতঃ কদমবুছী নয় বরং তা দস্তবুছী।
কদমবুছীর প্রকৃষ্ট উদাহরণ দেখিয়েছেন হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ।
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কদম
মুবারকে সরাসরি চুম্বন করতেন বা বুছা দিতেন তাঁরা,
এমনকি তাঁরা একে অপরকেও
কদমবুছী করেছেন। আর তাই
কদমবুছী হচ্ছে খাছ সুন্নত।
কদমবুছী হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিতঃ
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, “হযরত
ওযায়ে ইবনে যারে, তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন, আমরা আব্দুল কায়েস
গোত্রে থাকা অবস্থায় যখন মদীনা শরীফ-এ
আসতাম তখন তাড়াতাড়ি করে নিজেদের
সওয়ারী হতে নেমে সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাত মুবারক
এবং কদম মুবারকে চুম্বন করতাম।” (আবূ দাউদ
শরীফ, ২য় জিলদ্, পৃষ্ঠা ৭০৯; বযলুল মাজহুদ, ৬ষ্ঠ
জিলদ্, পৃষ্ঠা ৩২৮; ফতহুল বারী, ১১ জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫৭;
মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ, ৭ম জিলদ্, পৃষ্ঠা ৮০;
আশয়াতুল লুময়াত, মুযাহিরে হক্ব)
হযরত সাফওয়ান ইবনে আস্সাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
বলেন, “একবার ইহুদীদের একটি দল
এসে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উভয় হাত মুবারক ও
পা মুবারকে বুছা (চুম্বন) দিলো।” (আবূ দাউদ
শরীফ; নাসাঈ শরীফ; ইবনে মাযাহ শরীফ,
পৃষ্ঠা ২৭০; তিরমিযী শরীফ, ২য় জিলদ্, পৃষ্ঠা ৯৮;
ফতহুল বারী, ১১ জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫৭; তুহফাতুল
আহওয়াযী শরহে তিরমিযী, ৭ম জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫২৫;
মুছান্নিফে ইবনে আবী শায়বা, ৭ম জিলদ্,
পৃষ্ঠা ৫৬২)
হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত আছে, “এক
ব্যক্তি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট এসে বলল,
ইয়া রসূলাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
আমাকে এমন কোন বিষয়ে আদেশ করেন,
যা আমার বিশ্বাসকে আরো বৃদ্ধি করবে। তখন
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, “তুমি ঐ
গাছটিকে ডেকে আনো।” অতঃপর
সে ব্যক্তি গাছটির নিকটে গিয়ে বললো, নিশ্চয়
রসূলাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তোমাকে ডেকেছেন।
সুতরাং গাছটি এসে আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সালাম করলো।
আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে চলে যেতে বললেন,
গাছটি তখন চলে গেল। অতঃপর ঐ
ব্যক্তি অনুমতি সাপেক্ষে আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাথা মুবারক ও
উভয় কদম মুবারক বুছা দিল।” (মুস্তাদিরেকে হাকিম;
ফতহুল বারী, ১১ জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫৭; তুহফাতুল
আহওয়াযী শরহে তিরমিযী, ৭ম জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫২৮;
আল কালামুল মুবীন, পৃষ্ঠা ১৪৬)
হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন, “(গাছের সিজদা দেয়ার ঘটনা সংঘটিত হওয়ার
পর) একদিন আমি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খিদমতে আরজ
করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ্, ইয়া হাবীবাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাক আপনার উভয় হাত মুবারক
এবং পা মুবারকে বুছা দেয়ার অনুমতি দিন। আল্লাহ্ পাক-
এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
অনুমতি দিলেন। অতঃপর তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উভয় হাত মুবারক
এবং পা মুবারকে বুছা দিলেন।” (নাসীমুর রিয়াজ
শরহে কাজী আয়াজ ৩য় জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫০; কিতাবুল
আযকার লিন্ নববী)
হযরত যায়েদ বিন সাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
থেকে বর্ণনা রয়েছে যে, “নিশ্চয়ই তিনি হযরত
আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর হাত
মুবারকে বুছা দিয়েছেন। তিনি এটাও বর্ণনা করেন
যে, নিশ্চয়ই হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর হাত ও
পা মুবারকে বুছা দিয়েছেন।” (ফতহুল বারী, ১১
জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫৭; তুহফাতুল
আহওয়াযী শরহে তিরমিযী, ৭ম জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫২৮)
শুধু তাই নয় বরং হাদীছ শরীফ-এ মাকেও
কদমবুছী করার ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে,
যেমন এ প্রসঙ্গে ফিক্বাহের কিতাবে উল্লেখ
আছে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি তার
মায়ের কদমবুছী করলো সে যেন জান্নাতের
চৌকাঠে চুম্বন করলো।” (মাবসূত লিস্ সারাখ্সী, ১ম
জিলদ্, পৃষ্ঠা ১৪৯)
ইমাম-মুজতাহিদ তথা আউলিয়ায়ে কিরাম
রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর জীবনীতে কদমবুছীঃ
বস্তুত গভীর শ্রদ্ধা, আদব, মুহব্বত
এবং আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে কদমবুছীর
মাধ্যমে। আর তাই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুমগণ আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কদম
মুবারকে সরাসরি চুম্বন দিয়ে তাঁর প্রতি গভীর
শ্রদ্ধা, মুহব্বত, তা’যীম এবং আনুগত্যের চরম
পরাকাষ্ঠা প্রকাশ করেছেন। এই ধারাবাহিকতায় মুরীদও
তাঁদের অনুসরণে একইভাবে স্বীয় মুর্শিদ
ক্বিবলার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, পরম মুহব্বত
এবং আনুগত্য প্রকাশ করে থাকে কদমবুছীর
মাধ্যমে। কেননা হাদীছ শরীফ-এ এসেছে,
“হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, শায়খ
(বা মুর্শিদ বা পীর ছাহেব) তাঁর ক্বওম
তথা মুরীদের কাছে তেমন; নবী (আলাইহিস্
সালাম) তাঁর উম্মতের
মাঝে যেমন।” (দাইলামী শরীফ, মাকতুবাত
শরীফ, আত্ তায্কিরাহ ফি আহাদীসিল মুশ্তাহিরাহ,
মাকাছিদুল হাসানা)
হাদীছ শরীফ-এ আরো এসেছে, “হযরত আনাছ
বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
তোমরা পীর-মাশায়িখকে সম্মান করবে। পীর-
মাশায়িখকে সম্মান করা আল্লাহ্ পাককে সম্মান করারই
নামান্তর। কাজেই যে ব্যক্তি তাঁদের যথাযথ সম্মান
করে না সে আমাদের দলভূক্ত
নয়।” (দাইলামী শরীফ, আত্ তায্কিরাহ
ফি আহাদীসিল মুশ্তাহিরাহ)
পক্ষান্তরে যারা অহংকারী, যাদের
অন্তরে রয়েছে আত্ম-অহংকার তারা কখনও
কদমবুছীর ফযীলত, বরকত লাভ করতে পারে না।
অন্তরে লালিত অহংকারই
তাকে কদমবুছী থেকে বিরত রাখে। অহংকার
ব্যক্তি কখনও
হাক্বীক্বীভাবে কদমবুছী করে না। যদি লোক
লজ্জার ভয়ে কিংবা অবস্থার চাপে করে তা হয় একান্ত
অন্তঃসারশুন্য। খুব কমসংখ্যক লোক
নিজেকে নিকৃষ্ট, হীন ও তুচ্ছ
মনে করতে পারে, “বড় যদি হতে চাও ছোট হও
আগে” এই নীতি বাক্যের উপর আমল
করতে পারে।
---------------------
আসুন ওহাবীদের গালে দলিলের থাপ্পর মারি।
প্রসঙ্গঃ কদমবুসি ও হাতবুসি ১০০% জায়েজ- কুরআন হাদিস থেকে প্রমান এবং ওহাবী আহলে খাব্বিসদের পর্দা ফাস।
কুরআন-হাদিস থেকে দলিল দেওয়ার আগে ওহাবীরা সাধারন মানুষকে যেভাবে বলে ধোকা দেয় তার পর্দা ফাস করা আগে প্রয়োজন মনে করতেছি।
আহলে খাব্বিস ওহাবীরা এই বলে সাধারন মানুষকে ধোকা দেয় যে, মা-বাবা,ওস্তাত এর হাত-পা চুম্বন করলে মাথা নত হয়ে যায় আর সাজদা একমাত্র আল্লাহর কাছেই করতে হয় তাই কদমবুসি-হাতবুসি হারাম, শীরক ইত্যাদি।
যারা এরুপ বলে সেইসব গাধার কাছে আগে প্রশ্ন যে যে ‘সাজদা’ আর ‘মাথা নত করা কি এক জিনিস.?
নিষ্চয় সাজদা একমাত্র আল্লাহর জন্য অন্য কাউকে করলে তা নিঃসন্দেহ শিরক হবে এতে কোন সন্ধেহ নয়।
কিন্তু মাথা নত করলে কি সাজদা হয়।........?
ওহাবীদের মতে যদি এরুপ হয় তাহলে
লক্ষ করুন
- আমরা জুতা পড়ি কিন্তু জুতার ফিতা বাধার সময় আমাদের মাথা নত হয়ে যাচ্ছে তাহলে কি জুতা পড়াও শিরক..?
- রাস্তা হাটতে আপনার হাত থেকে কোন কিছু পড়ে গেল ধরুন কলম এখন কলমকে উঠাতে আপনার মাথা নত হয়ে যাচ্ছে তাহলে এটাও কি শিরক..?
- এভাবে একটা না হাজারটা কারন আমরা দাড়াতে পারি যেখানে আপনি মাথা নত না করলে আপনার চলবেই না।
ওহাবীদের এই ধোকাবাজী এখন দিবালোকের মত পরিস্কার যে এরা সাজদাকে মাথা নত এর সাথে মিলিয়ে মুসলিম মিল্লাতকে ধোকা দিচ্ছে। আসলে মাথা নত করা,কুদমবুসি,হাতবুসি ইসলামে জায়েজ যা আমাদের সাহাবাদের সংস্কৃতি থেকে লক্ষ করা যায়।
এখন যদি হাতবুসি বা কদম বুসি হারাম হয় তাহলে আমি পুরো জ্ঞানে বলছি যে যারাই এরুপ বলে অর্থাত ওহাবীরা তারা এবং তাদের সন্তানরাও হারামী, কারন সুত্র তাদেরই যেমন জানি না ওহাবীরা বাসর রাতে তাদের স্ত্রীকে কোথায় কোথায় চুম্বন দিয়েছে আর সেই চম্বনের ফল তাদের সন্তানরা কি হারামী হবে না। (মাইন্ড করবেন না আমি আপনাদের সুত্রেই কথা বলছি।)
কথা অনেক হল। এবার্ আসুন পবিত্র কদম বুসি,হাতবুসি কুরআন হাদিস থেকে প্রমান করি।
Lokho korun-
পবিত্র বস্তুকে চুমু দেয়া জায়েয। কুরআন করীম ইরশাদ ফরমান-
وَادْ خُلُوالْبَابَ سُجَّدًا وًّقُوُلُوُا حِطَّةٌ
অর্থাৎ ওহে বনী ঈসরাইল বায়তুল মুকাদ্দিসের দরজা দিয়ে নতশিরে প্রবেশ কর। এবং বল আমাদের গুনাহ মাফ করা হোক। এ আয়াত থেকে অবগত হওয়া গেল যে আম্বিয়া কিরামের আরামগাহ বায়তুল মুকাদ্দিসকে সম্মান করানো হলো অথর্ৎ বনী ঈসরাইলকে ওখানে নতশিরে প্রবেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ আয়াত দ্বারা এটাও বোঝা গেল যে পবিত্র স্থান সমূহে তওবা তাড়াতাড়ি কবুল হয়। মিশ্কাত শরীফের اَلْمُصَافَحَةِ وَالْمُعَانَقَةِ অধ্যায়ের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে বর্ণিত আছে-
وَعَنْ ذِرَاعٍ وَّكَانَ فِىْ وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ قَالَ لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِيْنَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَّوَاحِنَا فَنُقَبِّلُ يَدَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَه‘
হযরত যেরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, যিনি আব্দুল কায়সের প্রতিনিধিভুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন- যখন আমরা মদিনা মনোয়ারায় আসলাম তখন আমরা নিজ নিজ বাহন থেকে তাড়াতাড়ি অবতরণ করতে লাগলাম। অতঃপর আমরা হুযুর আলাইহিস সালামের পবিত্র হাত-পা চুমু দিয়েছিলাম।
মিশ্কাত শরীফের اَلْكَبَائِرُ وَعَلَامَاْتِ النِّفَاقِ শীর্ষক অধ্যায়ে হযরত ছিফওয়ান ইবনে আস্সাল, থেকে বর্ণিত আছে فَتَقَبَّلَ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ (অতঃপর হুযুর আলাইহিস সালামের হাত-পায় চুমু দেন।) মিশ্কাত শরীফে مَا يُقَالَ عِنْدَ مَنْ حَضَرَهُ الْمَوْتِ শীর্ষক অধ্যায়ে তিরমিযী ও আবু দাউদ শরীফের বরাত দিয়ে বর্ণিত আছে-
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَبَّلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُثْمَانَ ابْنُ مَطْعُوْنٍ وَهُوَ مَيِّتٌ
অর্থাৎ হুযুর আলাইহিস সালাম হযরত উছমান ইবনে মাতউনকে মৃতবস্থায় চুমু দিয়েছেন। প্রসিদ্ধ শিফা শরীফে উলল্লেখিত আছে-
كَانَ اِبْنُ عُمَرَ يَضَعُ يَدَهْ عَلَى الْمِنْبَرِ الَّذِىْ يَجْلِسُ عَلَيْهِ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِى الْخُطْبَةِ ثُمَّ يَضَعُهَا عَلَى وَجْهِهِ
যে মিম্বরে দাঁড়িয়ে হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুৎবা দিতেন, হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর সেটাতে হাত লাগিয়ে মুখে মাখতেন (চুমু দিতেন) আল্লামা ইবনে হাজরের রচিত শরহে বুখারীর ষষ্ঠ পারায় ১১৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখিত আছে-
اِسْتَنْبَطَ بَعْضُهُمْ مِنْ مَشْرُوْعِيَّةِ تَقْبِيْلِ الْاَرْكَانِ جَوَازَ تَقْبِيْلِ كُلِّ مَنْ يَّسْتَحِقُّ الْعَظْمَةَ مِْن اَدَمِىٍّ وَغَيْرِهِ نُقِلَ عَنِ الاِْمَامْ اَحْمَدَ اَنَّه‘ سُئِلَ عَنْ تَقْبِيْلِ مِنْبَرِ النَّبِىِّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ وَتَقْبِيْلِ قَبْرِهِ فَلَمْ يَرَبِهِ بَاسًا وَّنُقِلَ عَنْ ِابْنِ اَبِى الصِّنْفِ اليَمَانِى اَحَدِ عُلَمَاءِ مَكَّةَ مِنَ الشَّافِعِيَّةِ جَوَازَ تَقْبِيْلِ الْمُصْحَفِ وَاَجْزَاءِ الْحَدِيْثِ وَقُبُوْرِ الصَّالِحِيْنَ مُلْخَصًا
অর্থাৎ কাবা শরীফের স্তম্ভগুলোর চুম্বন থেকে কতেক উলামায়ে কিরাম বুযুর্গাণে দ্বীন ও অন্যান্যদের পবিত্র বস্তুসমূহ চুম্বনের বৈধতা প্রমাণ করেন। ইমাম আহমদ ইব্নে হাম্বল (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে তার কাছে কেউ জিজ্ঞাসা করেছিল- হুযূর আলাইহিস সাললামের মিম্বর বা পবিত্র কবর মুবারকে চুমু দেয়াটা কেমন? তিনি এর উত্তরে বলেছিলেন, কোন ক্ষতি নেই। মক্কা শরীফের শাফেঈ উলামায়ে কিরামের অন্যতম হযরত ইবনে আবিস সিন্ফ ইয়ামানী থেকে বর্ণিত আছে- কুরআন করীম ও হাদীছ শরীফের পাতাসমূহ এবং বুযুর্গানে দ্বীনের কবরসমূহ চুমু দেয়া জায়েয।
প্রখ্যাত ‘তুশেখ’ গ্রন্থে আল্লামা জালাল উদ্দিন সয়ুতী (রহঃ) বলেছেন-
اِسْتَنْبَطَ بَعْضُ الْعَارِفِيْنَ مِنْ تَقُبِيْلِ الْحَجَرِ الْاَسْوَدِ تَقْبِيْلَ قُبُورِ الصَّالِحِيْنَ
হাজর আসওয়াদের চুম্বন থেকে কতেক আরেফীন বুযুর্গানে কিরামের মাযারে চুমু দেয়ার বৈধতা প্রমাণ করেছেন।
উপরোক্ত হাদীছে, মুহাদ্দিছীন ও উলামায়ে কিরামের ইবারত থেকে প্রমাণিত হলো যে বুযুর্গানে দ্বীনের হাত, পা, ওনাদের পোশাক, জুতা, চুল মোট কথা সব কিছু পবিত্র বস্তু; অনুরূপ কাবা শরীফ, কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফের পাতা সমূহের উপর চুম্বন জায়েয ও বরকতময়। এমনকি বুযুর্গানে দ্বীনের চুল, পোশাক ও অন্যান্য পবিত্র বস্তুর সম্মান করা এবং যুদ্ধকালীন ও অন্যান্য মুসিবতের সময় এগুলো থেকে সাহায্য লাভ করা কুরআন করীম থেকে প্রমাণিত আছে। কুরআন করীম ইরশাদ ফরমান-
وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ اِنَّ اَيَةَ مُلْكِهِ اَنْ يَّاْتِيَكُمُ التَّابُوْتُ فِيْهِ سَكِيْنَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌ مِّمَّا تَرَكَ اَلُ مُوْسَى وَاَلُ هَرُوْنَ تَحْمِلُهُ اَلْمَلَئِكَةُ
(বনী ইসরাঈলীদেরকে তাদের নবী বলেছেন, তালুতের বাদশাহীর নিদর্শন হচ্ছে তোমাদের কাছে সেই তাবুত (সিন্দুক) আসবে যেথায় তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে চিত্ত প্রশান্তি এবং হযরত মুসা ও হযরত হারুনের পবিত্র বস্তু সমূহ থাকবে; ফিরিশতাগণ এটা বহন করে আনবে।) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তফসীরে খাযেন, রূহুল বয়ান, মদারেক, জালালাইন ও অন্যান্য তফসীরে লিখা হয়েছে যে তাবুত হচ্ছে সীসা ও কাঠের তৈরী সিন্দুক, যেখানে নবীগণের ফটো (এ সব ফটো কোন মানুষের তৈরী ছিল না বরং কুদরতী ছিল) ওনাদের আবাসসমূহের নকশা, হযরত মুসা (আঃ) এর লাঠি, তাঁর কাপড়, জুতা এবং হযরত হারুন (আঃ) এর লাঠি, টুপি ইত্যাদি ছিল। বনী ইসরাঈলগণ যখন শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতো, তখন বরকতের জন্য ওটাকে সামনে রাখতো এবং যখন খোদার কাছে দুআ করতো, তখন ওটাকে সামনে রেখেই প্রার্থনা করতো। সুতরাং সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে বুযুর্গানে দ্বীনের পবিত্র বস্তু থেকে ফয়েয গ্রহণ এবং ওগুলোকে সম্মান করা নবীগণেরই অনুসৃত পথ। তফসীরে খাযেন, মদারেক, রূহুল বয়ান ও কবীরে বার পারার সূরা ইউসুফের আয়াত فَلَمَّا ذَهَبُوْا بِهِ এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, যখন হযরত ইয়াকুব (আঃ) হযরত ইউসুফ (আঃ) কে তার ভাইদের সাথে পাঠালেন, তখন ওরা গলায় হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর কোর্তাকে তাবিজ বানিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন, যাতে নিরাপদে থাকে। পৃথিবীর সমস্ত পানি আল্ললাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু যমযম কূপের পানির সম্মান এ জন্যেই করা হয় যে এটা হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর পবিত্র পায়ের আঘাতে সৃষ্টি হয়েছে। মকামে ইব্রাহীমের পাথর ইব্রাহীম (আঃ) এর সানি্নধ্যের ফলে এর ইয্যত এতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে যে আল্ললাহ তাআলা ইরশাদ ফরমান- وَاتَّخِذُوْا مِنْ مَّقَامِ اِِبْرَاهِيْمَ مُصَلَّى (তোমরা ইব্রাহীম (আঃ) এর দাঁড়াবার স্থানকে নামাযের স্থানরূপে গ্রহণ কর।) অর্থাৎ সবার মস্তক ওই দিকে নত কর। মক্কা শরীফকে যখন হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে সম্পর্কিত করা হলো, তখন আলল্লাহ তাআলা এর নামের কসম করে ইরশাদ ফরমান-
لاَاُقْسِمُ بِهَذَا الْبَلَدِ وَاَنْتَ حِلٌّ بِهَذَا الْبَلَدِ
(শপথ করছি এ শহরের (মক্কা শরীফের) আর তুমি এ শহরের অধিবাসী) অন্যত্র বলেছেন وَهَذَا الْبَلَدِ الْاَمِيْنِ (এবং এ নিরাপদ শহরের (মক্কা) শপথ)। হযরত আয়ুব (আঃ) প্রসঙ্গে ইরশাদ ফরমান- اُرْكُضْ بِرِجْلِكَ هَذَاْ مُغْتَسَلٌ بَارِدٌ وَتُرَابٌ
(তুমি তোমার পা দ্বারা ভূমিকে আঘাত কর। এ-তো গোসলের সুশীতল পানি আর পানীয়।) অর্থাৎ হযরত আয়ুব (আঃ) এর পায়ের আঘাতে যে পানি বের হলো, সেটা রোগ নিরাময়ের সহায়ক হলো। এতে বোঝা গেল নবীদের পা ধোয়া পানি মর্যাদাবান ও রোগ নিরাময়ের সহায়ক। মিশ্কাত শরীফের শুরুতে কিতাবুল লেবাসে বর্ণিত আছে যে হযরত আস্মা বিনতে আবু বকর (রাঃ) এর কাছে হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আচকান শরীফ ছিল এবং মদীনা শরীফে কারো রোগ হলে, তিনি ওটা ধুয়ে তাকে সেই পানি পান করাতেন। সেই মিশ্কাত শরীফের কিতাবুল আত্-আমার اَلاشْرِبَةْ শীর্ষক অধ্যায়ে উলেল্লখিত আছে যে হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা হযরত কব্শা (রাঃ) এর বাসায় তশরীফ নিয়ে গেলেন এবং ওর মোশকে মুখ মুবারক লাগিয়ে পানিপান করেন। তিনি (কব্শা) মোশকের মুখটা বরকতের জন্য কেটে রেখে দিয়েছিলেন। একই মিশ্কাতের কিতাবুস সালাতের اَلْمَسَاجِدْ অধ্যায়ের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে বর্ণিত আছে যে একদল লোক হুযূর (সাল্ললাল্ললাহু আলাইহি ওয়া সাল্ললামের (হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং আরয করেন- আমাদের দেশে ইহুদীদের একটি উপাসনালয় আছে; আমরা একে ভেঙ্গে মসজিদ করার ইচ্ছে পোষণ করি। তখন হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি থালায় পানি নিয়ে ওখানে কুলি করেন এবং বলেন ওই উপাসনালয়কে ভেঙ্গে ফেল। অতঃপর এ পানি ওখানে ছিটিয়ে দাও। তারপর মসজিদ তৈরী কর। এতে বোঝা গেল হুযূর (সালল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়া সালল্লাম) পবিত্র থুথু কুফরীল অপবিত্রতা দূরীভূত করেন। হযরত খালিদ বিন ওলীদ (রাঃ) স্বীয় টুপীতে হুযূর (সালল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়া সালল্লাম) এর একটি চুল মুবারক রাখতেন এবং যুদ্ধের সময় ওই টুপী নিশ্চয় তার মাথায় থাকতো। মিশ্কাত শরীফে السترةঅধ্যায়ে বর্ণিত আছে, হুযূর (সালল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়া সালল্লাম) ওযু ফরমালেন, তখন হযরত বিলাল (রাঃ) হুযুরের ব্যবহৃত ওযুর পানি নিয়ে নিলেন। লোকেরা হযরত বিলালের দিকে দৌড়ে গেলেন এবং যিনি ওই পানিতে হাত ভিজাতে পারলেন, তিনি সে হাত নিজ মুখে মালিশ করে নিলেন। আর যিনি পেলেন না, তিনি অন্যজনের হাতের আদ্রতা নিজ মুখে বুলিয়ে নিলেন। এ সব হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, বুযুর্গানে দ্বীনের ব্যবহৃত বস্তুসমূহ থেকে বরকত লাভ করা সাহাবা কিরামের সুন্নাত। এবার ফকীহগণের বিভিন্ন উক্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করুন। ফাত্ওয়ায়ে আলমগীরী কিতাবুল কারাহিয়া مُلَاقَاتُ الْمُلُوْكِ শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে-
اِنْ قَبَّلَ يَدَ عَالِمِ اَوْ سُلْطَانٍ عَّادِلٍ بِعِلْمِهِ وَعَدْلِهِ لَا بَاسَ بِهِ
যদি আলিম বা ন্যায়পরায়ণ বাদশাহের হাতে চুমু দেয়া হয় ওদের ইলম ও ন্যায়পরায়ণতার কারণে, তাহলে এতে কোন ক্ষতি নেই। একই গ্রন্থে কিতাবুল কারাহিয়াতে زِيَارَةُ الْقُبُوْرِ অধ্যায়ে উল্লেখিত আছে-
وَلَاْبَاسَ بِتَقُبِيْلِ قَبْرِ وَالِدَيْهِ كَذَا فِى الْغَرَائِبِ
নিজের মা-বাপের কবরে চুমু দেয়ায় কোন ক্ষতি নেই যেমন গরায়েবে বর্ণিত হয়েছে। সেই আলমগীরীর কিতাবুল কারাহিয়াতের مَلَاقَاتِ الْمُلُوْكِ অধ্যায়ে আরও লিপিবদ্ধ আছে-
اِنَّ التَّقْبِيْلَ عَلَى خَمْسَةِ اَوْجَهٍ قُبَلَةُ الرَّحْمَةِ كَقُبْلَةِ الْوَالِدِ وَلَدَهُ وَقُبْلَةُ التَّحِيَّةِ كَقُبْلَةِ الْمُؤْمِنِيْنَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ وَقُبْلَةُ الشَّفَقَةَ كَقُبْلَةِ الْوَلَدِ لِوَالِدَيْهِ وَقُبْلَةُ الْمَوَدَّةِ كَقُبْلَةِ الرَّجُلِ اَخَاهُ وَقُبْلَةُ الشَّهْوَةِ كَقُبْلَةِ الرَّجُلِ اِمْرَأَتَهُ وَزَادَ بَعْضُهُمْ قُبْلَةَ الدِّيَانَةِ وَهِىَ قُبْلَةُ الْحَجْرِ الْاَسْوَدِ
চুম্বন পাঁচ প্রকার-
আশীর্বাদসূচক চুম্বন, যেমন বাবা ছেলেকে চুমু দেয়; সাক্ষাৎকারের চুম্বন, যেমন কতেক মুসলমান কতেক মুসলমানকে চুমু দেয়; স্নেহের চুম্বন, যেমন ছেলে মা-বাবাকে দেয়; বন্ধুত্বের চুম্বন, যেমন এক বন্ধু অপর বন্ধুকে চুমু দেয়; কামভাবের চুম্বন, যেমন স্বামী স্ত্রীকে দেয়। কেউ কেউ ধার্মিকতার চুম্বন অর্থাৎ হাজরে আসওয়াদের চুম্বনকে এর সাথে যোগ করেছেন।
দুররুল মুখতারের পঞ্চম খন্ড কিতাবুল কারাহিয়াতের শেষ অধ্যায় الاستبراء এর মুসাফাহা পরিচ্ছেদে বর্ণিত আছে وَلَا بَاسَ بِتَقْبِيْلِ يَدِا الْعَالِمِ وَالسُّلْطَنِ الْعَادِلِ আলিম ও ন্যায়পরায়ণ বাদশাহের হাতে চুমু দেয়ায় কোন ক্ষতি নেই। এ জায়গায় ফাত্ওয়ায়ে শামীতে হাকিমের একটি হাদীছ উদ্ধৃত করেছে, যার শেষাংশে বর্ণিত আছে-
قَال ثُمَّ اَذِنَ لَه‘ فَقَبَّلَ رَأْسَه‘ وَرِجْلَيْهِ وَقَالَ لَوْ كُانْتُ اَمِرًا اَحَدًا اَنْ تَسْجُدَ لَاحَدٍ لَاَمَرْتُ الْمَرْ أَةَ اَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَقَالَ صَحِيْحُ الْاَسْنَادِ
হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই ব্যক্তিকে অনুমতি দিয়েছেন। তাই সে তাঁর মস্তক ও পা মুবারক চুমু দিলেন। অতঃপর হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ ফরমান যদি আমি কাউকে সিজ্দার হুকুম দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে হুকুম দিতাম স্বামীকে সিজ্দা করতে। দুররুল মুখতারে সেই জায়গায় আলমগীরীর মত পাঁচ প্রকার
দেখ খবিশেরা নিজের চখে দেখ
কদমবুসি বা কদম চুম্বন, পবিত্র কোন বস্তু চুম্বন বা তাজিমের জন্য দাঁড়ানো জায়েজ কি না?
প্রথমে যারা, বেদাত বেদাত, শেরক শেরক করে চিল্লায় তাদেরই কেতাব থেকে প্রমান, অর্থাৎ দেওবন্দিদের কেতাব হইতে। তার পরে হাদিস দিয়ে প্রমান দেব ইনশা আল্লাহ।
মাওঃ রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী ফাতওয়ায়ে রশিদিয়া ১/৫৪ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন -দ্বিননদার ব্যক্তির তাজিমের জন্য দাঁড়ানো দুরস্ত আছে। এইরূপ ব্যক্তির কদম চুম্বনও দুরস্ত হইবে। ইহা হাদিসের দ্বারা সাব্যস্ত আছে।
(২) -মাওঃ থানবী সাহেব আত্তাকাশ শুফ পুস্তকের ৪২৪ পৃষ্ঠায় একটি হাদিস উদ্ধৃত করিয়া প্রমান করিয়াছেন পীরের প্রিয় পাত্রগণের অভ্যাস এই যে, পীরের হস্ত বা পদ বা কপালে চুম্বন দিয়া থাকেন। ইহাতে কোন দোষ নাই, অবশ্য খিয়াল রাখিতে হইবে যে শরীঅতের হুকুমের কোন ব্যতিক্রম না ঘটে। অর্থাৎ কদম চুম্বন করিতে গিয়ে পীরের পা চাঁটা, পায়ের আঙ্গুল চোষা ইত্যাদি নাজায়েজ কার্য হইতে সতর্ক থাকিতে হইবে।
(৩) - মাওলানা আহমাদ সাঈদ দেও বন্দি সাহেবের লিখিত রাসুলুল্লাহ কি মুযেজাত পুস্তকের ১৪১ টৃষ্ঠায় আছেঃ - বাযযারের হাদিস -(সারমর্ম) বরীদা হইতে বর্ণিত, একটি গ্রামে অমুসলমান (আরবী) হুজুর সঃ কে বলিয়া ছিলেন আমি আপনাকে সিজদা করিব, তখন হুজুর সঃ বলিয়া ছিলেন আমি যদি কোন মানুষকে তাজীমের সেজদা আদেস দিতাম তবে বিবিগণকে তাঁহাদের স্বামীদিগকে সিজদা করিতে বলিতাম। মোটকথা হুজুর সঃ উহাকে আদেশ দিলেন না। তখন ঐ ব্যক্তি বলিল তবে আমাকে হস্ত -পদ চুম্বন করিতে আদেশ দেন। তখন হুজুর সঃ আদেশ দিলেন। সে হুজুর সঃ এঁর হস্ত পদ চুম্বন করিল। এই রূপ একটি হাদিস মুহাদ্দেস হাকিম বর্ণনা করিয়া সহীহ বলিয়া ছেন।। এইরূপ ধরনের একটি হাদিস কে ফাতওয়ায়ে শামীর বরাত দিয়ে
* মাওঃ শফী সাহেব জাওয়াহেরুল ফিকাহ কেতাবে ১/১৯৭ পৃষ্ঠায় সহি হাদিস বলিয়া উল্লেখ করিয়া ছেন। , ইমাম নবাবী আল আজগার কিতাবে উক্ত হাদীস হইতে ইহাই প্রমান করিয়াছেন যে, মুহাব্বত বা ভালবাসা সূত্রে বযুর্গদিগের হস্ত -পদ চুম্বন করিতে পারে।
মিশকাত শরীফে الصا فحة و ا لعا نقة অধ্যায়ে দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে বর্ণিত আছে - হজরত যেরা রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, যানি আব্দুল কায়েসের প্রতিনিধিভুক্ত ছিলেন, তিনি বলেন যখন আমরা মদীনা মানোয়ারায় আসলাম তখন আমরা নিজ নিজ বাহন থেকে তাড়া তাড়ি অবতরন করতে লাগলাম। অতঃপর আমরা হুজুর সঃ পবিত্র হাত পায়ে চুমু দিয়ে ছিলাম।,
সময় হাতে আর পেলাম না বলে এত টুকুই লিখলাম প্রয়জন বোধ হলে দ্বিতীয় খণ্ড লিখবো, বানান ভূল থাকলে থাকতে পারে সংশোধনের সময় নেই।
আশা করি যারা শেরেক বেদাত বলে লাফায় তাদের মুখ বন্ধ হল।
কদমবুসীর অর্থ ও দলিল :
কদমবুছীর সংজ্ঞাঃ “কদমবুছী” -এর “কদম”
শব্দটি আরবী যার অর্থ “পা”, আর “বুছী”
শব্দটি ফার্সী যার অর্থ “চুম্বন করা”।
সুতরাং “কদমবুছী” অর্থ হলো “পায়ে চুম্বন করা”।
অর্থাৎ সরাসরি মুখ দিয়ে পায়ে চুম্বন
দেয়াকে “কদমবুছী” বলে। কিন্তু প্রচলিত
অর্থে কদমবুছী বলতে আমাদের দেশে হাত
দিয়ে পা স্পর্শ করে হাতে চুমু খাওয়ার যে প্রচলন
তা মূলতঃ কদমবুছী নয় বরং তা দস্তবুছী।
কদমবুছীর প্রকৃষ্ট উদাহরণ দেখিয়েছেন হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ।
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কদম
মুবারকে সরাসরি চুম্বন করতেন বা বুছা দিতেন তাঁরা,
এমনকি তাঁরা একে অপরকেও
কদমবুছী করেছেন। আর তাই
কদমবুছী হচ্ছে খাছ সুন্নত।
কদমবুছী হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিতঃ
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, “হযরত
ওযায়ে ইবনে যারে, তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন, আমরা আব্দুল কায়েস
গোত্রে থাকা অবস্থায় যখন মদীনা শরীফ-এ
আসতাম তখন তাড়াতাড়ি করে নিজেদের
সওয়ারী হতে নেমে সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাত মুবারক
এবং কদম মুবারকে চুম্বন করতাম।” (আবূ দাউদ
শরীফ, ২য় জিলদ্, পৃষ্ঠা ৭০৯; বযলুল মাজহুদ, ৬ষ্ঠ
জিলদ্, পৃষ্ঠা ৩২৮; ফতহুল বারী, ১১ জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫৭;
মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ, ৭ম জিলদ্, পৃষ্ঠা ৮০;
আশয়াতুল লুময়াত, মুযাহিরে হক্ব)
হযরত সাফওয়ান ইবনে আস্সাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
বলেন, “একবার ইহুদীদের একটি দল
এসে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উভয় হাত মুবারক ও
পা মুবারকে বুছা (চুম্বন) দিলো।” (আবূ দাউদ
শরীফ; নাসাঈ শরীফ; ইবনে মাযাহ শরীফ,
পৃষ্ঠা ২৭০; তিরমিযী শরীফ, ২য় জিলদ্, পৃষ্ঠা ৯৮;
ফতহুল বারী, ১১ জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫৭; তুহফাতুল
আহওয়াযী শরহে তিরমিযী, ৭ম জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫২৫;
মুছান্নিফে ইবনে আবী শায়বা, ৭ম জিলদ্,
পৃষ্ঠা ৫৬২)
হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত আছে, “এক
ব্যক্তি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট এসে বলল,
ইয়া রসূলাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
আমাকে এমন কোন বিষয়ে আদেশ করেন,
যা আমার বিশ্বাসকে আরো বৃদ্ধি করবে। তখন
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, “তুমি ঐ
গাছটিকে ডেকে আনো।” অতঃপর
সে ব্যক্তি গাছটির নিকটে গিয়ে বললো, নিশ্চয়
রসূলাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তোমাকে ডেকেছেন।
সুতরাং গাছটি এসে আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সালাম করলো।
আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে চলে যেতে বললেন,
গাছটি তখন চলে গেল। অতঃপর ঐ
ব্যক্তি অনুমতি সাপেক্ষে আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাথা মুবারক ও
উভয় কদম মুবারক বুছা দিল।” (মুস্তাদিরেকে হাকিম;
ফতহুল বারী, ১১ জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫৭; তুহফাতুল
আহওয়াযী শরহে তিরমিযী, ৭ম জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫২৮;
আল কালামুল মুবীন, পৃষ্ঠা ১৪৬)
হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন, “(গাছের সিজদা দেয়ার ঘটনা সংঘটিত হওয়ার
পর) একদিন আমি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খিদমতে আরজ
করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ্, ইয়া হাবীবাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাক আপনার উভয় হাত মুবারক
এবং পা মুবারকে বুছা দেয়ার অনুমতি দিন। আল্লাহ্ পাক-
এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
অনুমতি দিলেন। অতঃপর তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উভয় হাত মুবারক
এবং পা মুবারকে বুছা দিলেন।” (নাসীমুর রিয়াজ
শরহে কাজী আয়াজ ৩য় জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫০; কিতাবুল
আযকার লিন্ নববী)
হযরত যায়েদ বিন সাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
থেকে বর্ণনা রয়েছে যে, “নিশ্চয়ই তিনি হযরত
আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর হাত
মুবারকে বুছা দিয়েছেন। তিনি এটাও বর্ণনা করেন
যে, নিশ্চয়ই হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর হাত ও
পা মুবারকে বুছা দিয়েছেন।” (ফতহুল বারী, ১১
জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫৭; তুহফাতুল
আহওয়াযী শরহে তিরমিযী, ৭ম জিলদ্, পৃষ্ঠা ৫২৮)
শুধু তাই নয় বরং হাদীছ শরীফ-এ মাকেও
কদমবুছী করার ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে,
যেমন এ প্রসঙ্গে ফিক্বাহের কিতাবে উল্লেখ
আছে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি তার
মায়ের কদমবুছী করলো সে যেন জান্নাতের
চৌকাঠে চুম্বন করলো।” (মাবসূত লিস্ সারাখ্সী, ১ম
জিলদ্, পৃষ্ঠা ১৪৯)
ইমাম-মুজতাহিদ তথা আউলিয়ায়ে কিরাম
রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর জীবনীতে কদমবুছীঃ
বস্তুত গভীর শ্রদ্ধা, আদব, মুহব্বত
এবং আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে কদমবুছীর
মাধ্যমে। আর তাই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুমগণ আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কদম
মুবারকে সরাসরি চুম্বন দিয়ে তাঁর প্রতি গভীর
শ্রদ্ধা, মুহব্বত, তা’যীম এবং আনুগত্যের চরম
পরাকাষ্ঠা প্রকাশ করেছেন। এই ধারাবাহিকতায় মুরীদও
তাঁদের অনুসরণে একইভাবে স্বীয় মুর্শিদ
ক্বিবলার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, পরম মুহব্বত
এবং আনুগত্য প্রকাশ করে থাকে কদমবুছীর
মাধ্যমে। কেননা হাদীছ শরীফ-এ এসেছে,
“হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, শায়খ
(বা মুর্শিদ বা পীর ছাহেব) তাঁর ক্বওম
তথা মুরীদের কাছে তেমন; নবী (আলাইহিস্
সালাম) তাঁর উম্মতের
মাঝে যেমন।” (দাইলামী শরীফ, মাকতুবাত
শরীফ, আত্ তায্কিরাহ ফি আহাদীসিল মুশ্তাহিরাহ,
মাকাছিদুল হাসানা)
হাদীছ শরীফ-এ আরো এসেছে, “হযরত আনাছ
বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
তোমরা পীর-মাশায়িখকে সম্মান করবে। পীর-
মাশায়িখকে সম্মান করা আল্লাহ্ পাককে সম্মান করারই
নামান্তর। কাজেই যে ব্যক্তি তাঁদের যথাযথ সম্মান
করে না সে আমাদের দলভূক্ত
নয়।” (দাইলামী শরীফ, আত্ তায্কিরাহ
ফি আহাদীসিল মুশ্তাহিরাহ)
পক্ষান্তরে যারা অহংকারী, যাদের
অন্তরে রয়েছে আত্ম-অহংকার তারা কখনও
কদমবুছীর ফযীলত, বরকত লাভ করতে পারে না।
অন্তরে লালিত অহংকারই
তাকে কদমবুছী থেকে বিরত রাখে। অহংকার
ব্যক্তি কখনও
হাক্বীক্বীভাবে কদমবুছী করে না। যদি লোক
লজ্জার ভয়ে কিংবা অবস্থার চাপে করে তা হয় একান্ত
অন্তঃসারশুন্য। খুব কমসংখ্যক লোক
নিজেকে নিকৃষ্ট, হীন ও তুচ্ছ
মনে করতে পারে, “বড় যদি হতে চাও ছোট হও
আগে” এই নীতি বাক্যের উপর আমল
করতে পারে।
---------------------
আসুন ওহাবীদের গালে দলিলের থাপ্পর মারি।
প্রসঙ্গঃ কদমবুসি ও হাতবুসি ১০০% জায়েজ- কুরআন হাদিস থেকে প্রমান এবং ওহাবী আহলে খাব্বিসদের পর্দা ফাস।
কুরআন-হাদিস থেকে দলিল দেওয়ার আগে ওহাবীরা সাধারন মানুষকে যেভাবে বলে ধোকা দেয় তার পর্দা ফাস করা আগে প্রয়োজন মনে করতেছি।
আহলে খাব্বিস ওহাবীরা এই বলে সাধারন মানুষকে ধোকা দেয় যে, মা-বাবা,ওস্তাত এর হাত-পা চুম্বন করলে মাথা নত হয়ে যায় আর সাজদা একমাত্র আল্লাহর কাছেই করতে হয় তাই কদমবুসি-হাতবুসি হারাম, শীরক ইত্যাদি।
যারা এরুপ বলে সেইসব গাধার কাছে আগে প্রশ্ন যে যে ‘সাজদা’ আর ‘মাথা নত করা কি এক জিনিস.?
নিষ্চয় সাজদা একমাত্র আল্লাহর জন্য অন্য কাউকে করলে তা নিঃসন্দেহ শিরক হবে এতে কোন সন্ধেহ নয়।
কিন্তু মাথা নত করলে কি সাজদা হয়।........?
ওহাবীদের মতে যদি এরুপ হয় তাহলে
লক্ষ করুন
- আমরা জুতা পড়ি কিন্তু জুতার ফিতা বাধার সময় আমাদের মাথা নত হয়ে যাচ্ছে তাহলে কি জুতা পড়াও শিরক..?
- রাস্তা হাটতে আপনার হাত থেকে কোন কিছু পড়ে গেল ধরুন কলম এখন কলমকে উঠাতে আপনার মাথা নত হয়ে যাচ্ছে তাহলে এটাও কি শিরক..?
- এভাবে একটা না হাজারটা কারন আমরা দাড়াতে পারি যেখানে আপনি মাথা নত না করলে আপনার চলবেই না।
ওহাবীদের এই ধোকাবাজী এখন দিবালোকের মত পরিস্কার যে এরা সাজদাকে মাথা নত এর সাথে মিলিয়ে মুসলিম মিল্লাতকে ধোকা দিচ্ছে। আসলে মাথা নত করা,কুদমবুসি,হাতবুসি ইসলামে জায়েজ যা আমাদের সাহাবাদের সংস্কৃতি থেকে লক্ষ করা যায়।
এখন যদি হাতবুসি বা কদম বুসি হারাম হয় তাহলে আমি পুরো জ্ঞানে বলছি যে যারাই এরুপ বলে অর্থাত ওহাবীরা তারা এবং তাদের সন্তানরাও হারামী, কারন সুত্র তাদেরই যেমন জানি না ওহাবীরা বাসর রাতে তাদের স্ত্রীকে কোথায় কোথায় চুম্বন দিয়েছে আর সেই চম্বনের ফল তাদের সন্তানরা কি হারামী হবে না। (মাইন্ড করবেন না আমি আপনাদের সুত্রেই কথা বলছি।)
কথা অনেক হল। এবার্ আসুন পবিত্র কদম বুসি,হাতবুসি কুরআন হাদিস থেকে প্রমান করি।
Lokho korun-
পবিত্র বস্তুকে চুমু দেয়া জায়েয। কুরআন করীম ইরশাদ ফরমান-
وَادْ خُلُوالْبَابَ سُجَّدًا وًّقُوُلُوُا حِطَّةٌ
অর্থাৎ ওহে বনী ঈসরাইল বায়তুল মুকাদ্দিসের দরজা দিয়ে নতশিরে প্রবেশ কর। এবং বল আমাদের গুনাহ মাফ করা হোক। এ আয়াত থেকে অবগত হওয়া গেল যে আম্বিয়া কিরামের আরামগাহ বায়তুল মুকাদ্দিসকে সম্মান করানো হলো অথর্ৎ বনী ঈসরাইলকে ওখানে নতশিরে প্রবেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ আয়াত দ্বারা এটাও বোঝা গেল যে পবিত্র স্থান সমূহে তওবা তাড়াতাড়ি কবুল হয়। মিশ্কাত শরীফের اَلْمُصَافَحَةِ وَالْمُعَانَقَةِ অধ্যায়ের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে বর্ণিত আছে-
وَعَنْ ذِرَاعٍ وَّكَانَ فِىْ وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ قَالَ لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِيْنَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَّوَاحِنَا فَنُقَبِّلُ يَدَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَه‘
হযরত যেরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, যিনি আব্দুল কায়সের প্রতিনিধিভুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন- যখন আমরা মদিনা মনোয়ারায় আসলাম তখন আমরা নিজ নিজ বাহন থেকে তাড়াতাড়ি অবতরণ করতে লাগলাম। অতঃপর আমরা হুযুর আলাইহিস সালামের পবিত্র হাত-পা চুমু দিয়েছিলাম।
মিশ্কাত শরীফের اَلْكَبَائِرُ وَعَلَامَاْتِ النِّفَاقِ শীর্ষক অধ্যায়ে হযরত ছিফওয়ান ইবনে আস্সাল, থেকে বর্ণিত আছে فَتَقَبَّلَ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ (অতঃপর হুযুর আলাইহিস সালামের হাত-পায় চুমু দেন।) মিশ্কাত শরীফে مَا يُقَالَ عِنْدَ مَنْ حَضَرَهُ الْمَوْتِ শীর্ষক অধ্যায়ে তিরমিযী ও আবু দাউদ শরীফের বরাত দিয়ে বর্ণিত আছে-
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَبَّلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُثْمَانَ ابْنُ مَطْعُوْنٍ وَهُوَ مَيِّتٌ
অর্থাৎ হুযুর আলাইহিস সালাম হযরত উছমান ইবনে মাতউনকে মৃতবস্থায় চুমু দিয়েছেন। প্রসিদ্ধ শিফা শরীফে উলল্লেখিত আছে-
كَانَ اِبْنُ عُمَرَ يَضَعُ يَدَهْ عَلَى الْمِنْبَرِ الَّذِىْ يَجْلِسُ عَلَيْهِ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِى الْخُطْبَةِ ثُمَّ يَضَعُهَا عَلَى وَجْهِهِ
যে মিম্বরে দাঁড়িয়ে হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুৎবা দিতেন, হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর সেটাতে হাত লাগিয়ে মুখে মাখতেন (চুমু দিতেন) আল্লামা ইবনে হাজরের রচিত শরহে বুখারীর ষষ্ঠ পারায় ১১৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখিত আছে-
اِسْتَنْبَطَ بَعْضُهُمْ مِنْ مَشْرُوْعِيَّةِ تَقْبِيْلِ الْاَرْكَانِ جَوَازَ تَقْبِيْلِ كُلِّ مَنْ يَّسْتَحِقُّ الْعَظْمَةَ مِْن اَدَمِىٍّ وَغَيْرِهِ نُقِلَ عَنِ الاِْمَامْ اَحْمَدَ اَنَّه‘ سُئِلَ عَنْ تَقْبِيْلِ مِنْبَرِ النَّبِىِّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ وَتَقْبِيْلِ قَبْرِهِ فَلَمْ يَرَبِهِ بَاسًا وَّنُقِلَ عَنْ ِابْنِ اَبِى الصِّنْفِ اليَمَانِى اَحَدِ عُلَمَاءِ مَكَّةَ مِنَ الشَّافِعِيَّةِ جَوَازَ تَقْبِيْلِ الْمُصْحَفِ وَاَجْزَاءِ الْحَدِيْثِ وَقُبُوْرِ الصَّالِحِيْنَ مُلْخَصًا
অর্থাৎ কাবা শরীফের স্তম্ভগুলোর চুম্বন থেকে কতেক উলামায়ে কিরাম বুযুর্গাণে দ্বীন ও অন্যান্যদের পবিত্র বস্তুসমূহ চুম্বনের বৈধতা প্রমাণ করেন। ইমাম আহমদ ইব্নে হাম্বল (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে তার কাছে কেউ জিজ্ঞাসা করেছিল- হুযূর আলাইহিস সাললামের মিম্বর বা পবিত্র কবর মুবারকে চুমু দেয়াটা কেমন? তিনি এর উত্তরে বলেছিলেন, কোন ক্ষতি নেই। মক্কা শরীফের শাফেঈ উলামায়ে কিরামের অন্যতম হযরত ইবনে আবিস সিন্ফ ইয়ামানী থেকে বর্ণিত আছে- কুরআন করীম ও হাদীছ শরীফের পাতাসমূহ এবং বুযুর্গানে দ্বীনের কবরসমূহ চুমু দেয়া জায়েয।
প্রখ্যাত ‘তুশেখ’ গ্রন্থে আল্লামা জালাল উদ্দিন সয়ুতী (রহঃ) বলেছেন-
اِسْتَنْبَطَ بَعْضُ الْعَارِفِيْنَ مِنْ تَقُبِيْلِ الْحَجَرِ الْاَسْوَدِ تَقْبِيْلَ قُبُورِ الصَّالِحِيْنَ
হাজর আসওয়াদের চুম্বন থেকে কতেক আরেফীন বুযুর্গানে কিরামের মাযারে চুমু দেয়ার বৈধতা প্রমাণ করেছেন।
উপরোক্ত হাদীছে, মুহাদ্দিছীন ও উলামায়ে কিরামের ইবারত থেকে প্রমাণিত হলো যে বুযুর্গানে দ্বীনের হাত, পা, ওনাদের পোশাক, জুতা, চুল মোট কথা সব কিছু পবিত্র বস্তু; অনুরূপ কাবা শরীফ, কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফের পাতা সমূহের উপর চুম্বন জায়েয ও বরকতময়। এমনকি বুযুর্গানে দ্বীনের চুল, পোশাক ও অন্যান্য পবিত্র বস্তুর সম্মান করা এবং যুদ্ধকালীন ও অন্যান্য মুসিবতের সময় এগুলো থেকে সাহায্য লাভ করা কুরআন করীম থেকে প্রমাণিত আছে। কুরআন করীম ইরশাদ ফরমান-
وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ اِنَّ اَيَةَ مُلْكِهِ اَنْ يَّاْتِيَكُمُ التَّابُوْتُ فِيْهِ سَكِيْنَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌ مِّمَّا تَرَكَ اَلُ مُوْسَى وَاَلُ هَرُوْنَ تَحْمِلُهُ اَلْمَلَئِكَةُ
(বনী ইসরাঈলীদেরকে তাদের নবী বলেছেন, তালুতের বাদশাহীর নিদর্শন হচ্ছে তোমাদের কাছে সেই তাবুত (সিন্দুক) আসবে যেথায় তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে চিত্ত প্রশান্তি এবং হযরত মুসা ও হযরত হারুনের পবিত্র বস্তু সমূহ থাকবে; ফিরিশতাগণ এটা বহন করে আনবে।) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তফসীরে খাযেন, রূহুল বয়ান, মদারেক, জালালাইন ও অন্যান্য তফসীরে লিখা হয়েছে যে তাবুত হচ্ছে সীসা ও কাঠের তৈরী সিন্দুক, যেখানে নবীগণের ফটো (এ সব ফটো কোন মানুষের তৈরী ছিল না বরং কুদরতী ছিল) ওনাদের আবাসসমূহের নকশা, হযরত মুসা (আঃ) এর লাঠি, তাঁর কাপড়, জুতা এবং হযরত হারুন (আঃ) এর লাঠি, টুপি ইত্যাদি ছিল। বনী ইসরাঈলগণ যখন শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতো, তখন বরকতের জন্য ওটাকে সামনে রাখতো এবং যখন খোদার কাছে দুআ করতো, তখন ওটাকে সামনে রেখেই প্রার্থনা করতো। সুতরাং সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে বুযুর্গানে দ্বীনের পবিত্র বস্তু থেকে ফয়েয গ্রহণ এবং ওগুলোকে সম্মান করা নবীগণেরই অনুসৃত পথ। তফসীরে খাযেন, মদারেক, রূহুল বয়ান ও কবীরে বার পারার সূরা ইউসুফের আয়াত فَلَمَّا ذَهَبُوْا بِهِ এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, যখন হযরত ইয়াকুব (আঃ) হযরত ইউসুফ (আঃ) কে তার ভাইদের সাথে পাঠালেন, তখন ওরা গলায় হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর কোর্তাকে তাবিজ বানিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন, যাতে নিরাপদে থাকে। পৃথিবীর সমস্ত পানি আল্ললাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু যমযম কূপের পানির সম্মান এ জন্যেই করা হয় যে এটা হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর পবিত্র পায়ের আঘাতে সৃষ্টি হয়েছে। মকামে ইব্রাহীমের পাথর ইব্রাহীম (আঃ) এর সানি্নধ্যের ফলে এর ইয্যত এতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে যে আল্ললাহ তাআলা ইরশাদ ফরমান- وَاتَّخِذُوْا مِنْ مَّقَامِ اِِبْرَاهِيْمَ مُصَلَّى (তোমরা ইব্রাহীম (আঃ) এর দাঁড়াবার স্থানকে নামাযের স্থানরূপে গ্রহণ কর।) অর্থাৎ সবার মস্তক ওই দিকে নত কর। মক্কা শরীফকে যখন হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে সম্পর্কিত করা হলো, তখন আলল্লাহ তাআলা এর নামের কসম করে ইরশাদ ফরমান-
لاَاُقْسِمُ بِهَذَا الْبَلَدِ وَاَنْتَ حِلٌّ بِهَذَا الْبَلَدِ
(শপথ করছি এ শহরের (মক্কা শরীফের) আর তুমি এ শহরের অধিবাসী) অন্যত্র বলেছেন وَهَذَا الْبَلَدِ الْاَمِيْنِ (এবং এ নিরাপদ শহরের (মক্কা) শপথ)। হযরত আয়ুব (আঃ) প্রসঙ্গে ইরশাদ ফরমান- اُرْكُضْ بِرِجْلِكَ هَذَاْ مُغْتَسَلٌ بَارِدٌ وَتُرَابٌ
(তুমি তোমার পা দ্বারা ভূমিকে আঘাত কর। এ-তো গোসলের সুশীতল পানি আর পানীয়।) অর্থাৎ হযরত আয়ুব (আঃ) এর পায়ের আঘাতে যে পানি বের হলো, সেটা রোগ নিরাময়ের সহায়ক হলো। এতে বোঝা গেল নবীদের পা ধোয়া পানি মর্যাদাবান ও রোগ নিরাময়ের সহায়ক। মিশ্কাত শরীফের শুরুতে কিতাবুল লেবাসে বর্ণিত আছে যে হযরত আস্মা বিনতে আবু বকর (রাঃ) এর কাছে হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আচকান শরীফ ছিল এবং মদীনা শরীফে কারো রোগ হলে, তিনি ওটা ধুয়ে তাকে সেই পানি পান করাতেন। সেই মিশ্কাত শরীফের কিতাবুল আত্-আমার اَلاشْرِبَةْ শীর্ষক অধ্যায়ে উলেল্লখিত আছে যে হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা হযরত কব্শা (রাঃ) এর বাসায় তশরীফ নিয়ে গেলেন এবং ওর মোশকে মুখ মুবারক লাগিয়ে পানিপান করেন। তিনি (কব্শা) মোশকের মুখটা বরকতের জন্য কেটে রেখে দিয়েছিলেন। একই মিশ্কাতের কিতাবুস সালাতের اَلْمَسَاجِدْ অধ্যায়ের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে বর্ণিত আছে যে একদল লোক হুযূর (সাল্ললাল্ললাহু আলাইহি ওয়া সাল্ললামের (হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং আরয করেন- আমাদের দেশে ইহুদীদের একটি উপাসনালয় আছে; আমরা একে ভেঙ্গে মসজিদ করার ইচ্ছে পোষণ করি। তখন হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি থালায় পানি নিয়ে ওখানে কুলি করেন এবং বলেন ওই উপাসনালয়কে ভেঙ্গে ফেল। অতঃপর এ পানি ওখানে ছিটিয়ে দাও। তারপর মসজিদ তৈরী কর। এতে বোঝা গেল হুযূর (সালল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়া সালল্লাম) পবিত্র থুথু কুফরীল অপবিত্রতা দূরীভূত করেন। হযরত খালিদ বিন ওলীদ (রাঃ) স্বীয় টুপীতে হুযূর (সালল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়া সালল্লাম) এর একটি চুল মুবারক রাখতেন এবং যুদ্ধের সময় ওই টুপী নিশ্চয় তার মাথায় থাকতো। মিশ্কাত শরীফে السترةঅধ্যায়ে বর্ণিত আছে, হুযূর (সালল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়া সালল্লাম) ওযু ফরমালেন, তখন হযরত বিলাল (রাঃ) হুযুরের ব্যবহৃত ওযুর পানি নিয়ে নিলেন। লোকেরা হযরত বিলালের দিকে দৌড়ে গেলেন এবং যিনি ওই পানিতে হাত ভিজাতে পারলেন, তিনি সে হাত নিজ মুখে মালিশ করে নিলেন। আর যিনি পেলেন না, তিনি অন্যজনের হাতের আদ্রতা নিজ মুখে বুলিয়ে নিলেন। এ সব হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, বুযুর্গানে দ্বীনের ব্যবহৃত বস্তুসমূহ থেকে বরকত লাভ করা সাহাবা কিরামের সুন্নাত। এবার ফকীহগণের বিভিন্ন উক্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করুন। ফাত্ওয়ায়ে আলমগীরী কিতাবুল কারাহিয়া مُلَاقَاتُ الْمُلُوْكِ শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে-
اِنْ قَبَّلَ يَدَ عَالِمِ اَوْ سُلْطَانٍ عَّادِلٍ بِعِلْمِهِ وَعَدْلِهِ لَا بَاسَ بِهِ
যদি আলিম বা ন্যায়পরায়ণ বাদশাহের হাতে চুমু দেয়া হয় ওদের ইলম ও ন্যায়পরায়ণতার কারণে, তাহলে এতে কোন ক্ষতি নেই। একই গ্রন্থে কিতাবুল কারাহিয়াতে زِيَارَةُ الْقُبُوْرِ অধ্যায়ে উল্লেখিত আছে-
وَلَاْبَاسَ بِتَقُبِيْلِ قَبْرِ وَالِدَيْهِ كَذَا فِى الْغَرَائِبِ
নিজের মা-বাপের কবরে চুমু দেয়ায় কোন ক্ষতি নেই যেমন গরায়েবে বর্ণিত হয়েছে। সেই আলমগীরীর কিতাবুল কারাহিয়াতের مَلَاقَاتِ الْمُلُوْكِ অধ্যায়ে আরও লিপিবদ্ধ আছে-
اِنَّ التَّقْبِيْلَ عَلَى خَمْسَةِ اَوْجَهٍ قُبَلَةُ الرَّحْمَةِ كَقُبْلَةِ الْوَالِدِ وَلَدَهُ وَقُبْلَةُ التَّحِيَّةِ كَقُبْلَةِ الْمُؤْمِنِيْنَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ وَقُبْلَةُ الشَّفَقَةَ كَقُبْلَةِ الْوَلَدِ لِوَالِدَيْهِ وَقُبْلَةُ الْمَوَدَّةِ كَقُبْلَةِ الرَّجُلِ اَخَاهُ وَقُبْلَةُ الشَّهْوَةِ كَقُبْلَةِ الرَّجُلِ اِمْرَأَتَهُ وَزَادَ بَعْضُهُمْ قُبْلَةَ الدِّيَانَةِ وَهِىَ قُبْلَةُ الْحَجْرِ الْاَسْوَدِ
চুম্বন পাঁচ প্রকার-
আশীর্বাদসূচক চুম্বন, যেমন বাবা ছেলেকে চুমু দেয়; সাক্ষাৎকারের চুম্বন, যেমন কতেক মুসলমান কতেক মুসলমানকে চুমু দেয়; স্নেহের চুম্বন, যেমন ছেলে মা-বাবাকে দেয়; বন্ধুত্বের চুম্বন, যেমন এক বন্ধু অপর বন্ধুকে চুমু দেয়; কামভাবের চুম্বন, যেমন স্বামী স্ত্রীকে দেয়। কেউ কেউ ধার্মিকতার চুম্বন অর্থাৎ হাজরে আসওয়াদের চুম্বনকে এর সাথে যোগ করেছেন।
দুররুল মুখতারের পঞ্চম খন্ড কিতাবুল কারাহিয়াতের শেষ অধ্যায় الاستبراء এর মুসাফাহা পরিচ্ছেদে বর্ণিত আছে وَلَا بَاسَ بِتَقْبِيْلِ يَدِا الْعَالِمِ وَالسُّلْطَنِ الْعَادِلِ আলিম ও ন্যায়পরায়ণ বাদশাহের হাতে চুমু দেয়ায় কোন ক্ষতি নেই। এ জায়গায় ফাত্ওয়ায়ে শামীতে হাকিমের একটি হাদীছ উদ্ধৃত করেছে, যার শেষাংশে বর্ণিত আছে-
قَال ثُمَّ اَذِنَ لَه‘ فَقَبَّلَ رَأْسَه‘ وَرِجْلَيْهِ وَقَالَ لَوْ كُانْتُ اَمِرًا اَحَدًا اَنْ تَسْجُدَ لَاحَدٍ لَاَمَرْتُ الْمَرْ أَةَ اَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَقَالَ صَحِيْحُ الْاَسْنَادِ
হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই ব্যক্তিকে অনুমতি দিয়েছেন। তাই সে তাঁর মস্তক ও পা মুবারক চুমু দিলেন। অতঃপর হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ ফরমান যদি আমি কাউকে সিজ্দার হুকুম দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে হুকুম দিতাম স্বামীকে সিজ্দা করতে। দুররুল মুখতারে সেই জায়গায় আলমগীরীর মত পাঁচ প্রকার
হালা আলেম ফগা দুরু মর তুই
ReplyDelete