হযরত শায়খ আবু মাস'উদ (র.)
বর্ণনা করেছেন,আহমদ জামী নামক এক
ভন্ড তপস্বী ছিলো। সে সাধনা ও যাদুর
জোরে এক বাঘকে বশীভূত করে নিয়েছিল।
আর ঐ বাঘের পিঠে আরোহণ
করে সে ইচ্ছামত বিচরণ করতো।
লোকেরা তার এই কান্ড দেখে তাকে বুযুর্গ
বলে মনে করতো।
ঐ তপসীর নিয়ম ছিলো - সে যেখানে ও যার
কাছে যেতো, তার নিকট বাঘের খোরাক
স্বরূপ একটি গরু চেয়ে নিতো।একদিন
সে গাউসে পাকের দরবারের
অদূরে একটি গাছের নিচে বসে তার খাদিমের
মাধ্যমে হুজুর গাউসে পাকের
দরবারে পাঠালো,'যেন বাঘের খোরাক
হিসাবে একটি গরু পাঠিয়ে দেন।
গাউসে পাক বললেন,"তুমি যাও,আমি একটু
পর গরু পাঠিয়ে দিচ্ছি।"তপসীকে তার খাদিম
গিয়ে খবরটি জানালো।তপসীও
খুশীতে আটখানা।তার
ধারণা ছিলো যে,গাউসে পাকের দরবার
থেকে তার জন্য হাদিয়া আসলে তার
খ্যাতি আরো বেড়ে যাবে।তার
ভন্ডামী বুযুর্গী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়ে যাবে।
সুতরাং, সে ঐ হাদিয়ার জন্য
অপেক্ষা করছিলো।
এ দিকে হুজুর গউসে পাক একটি মোটা-
তাজা গরুসসহ তাঁর খাদিমকে পাঠালেন।
হুজুরের পাশে ছিলো দরবারের উচ্ছিষ্ট
খেয়ে পোষা কুকুরটি।কুকুরটিও লেজ
উঁচিয়ে খাদিমের পেছনে পেছনে যেতে লাগলো।
মোটাতাজা গরু দেখে বাঘের
মুখে পানি আসতে লাগলো।হুম্কার
ছেড়ে যখনি বাঘ
গরুটিকে হামলা করতে উদ্যত হলো,তখনই ঐ
কুকুরটি বাঘের উপর
ঝাপিয়ে পড়লো এবং বাঘের
কন্ঠনালী ছিঁড়ে ফেললো।বাঘটি গরুর উপর
হামলা করার পূর্বেই গাউসে পাকের কুকুরের
আঘাতে মারা পড়লো।কুকুরটি বাঘটির দেহ
ছিন্ন ভিন্ন করে সেটাকে সাবাড় করেছিল
বলেও বর্ণনাদিতে রয়েছে।
বর্ণনা করেছেন,আহমদ জামী নামক এক
ভন্ড তপস্বী ছিলো। সে সাধনা ও যাদুর
জোরে এক বাঘকে বশীভূত করে নিয়েছিল।
আর ঐ বাঘের পিঠে আরোহণ
করে সে ইচ্ছামত বিচরণ করতো।
লোকেরা তার এই কান্ড দেখে তাকে বুযুর্গ
বলে মনে করতো।
ঐ তপসীর নিয়ম ছিলো - সে যেখানে ও যার
কাছে যেতো, তার নিকট বাঘের খোরাক
স্বরূপ একটি গরু চেয়ে নিতো।একদিন
সে গাউসে পাকের দরবারের
অদূরে একটি গাছের নিচে বসে তার খাদিমের
মাধ্যমে হুজুর গাউসে পাকের
দরবারে পাঠালো,'যেন বাঘের খোরাক
হিসাবে একটি গরু পাঠিয়ে দেন।
গাউসে পাক বললেন,"তুমি যাও,আমি একটু
পর গরু পাঠিয়ে দিচ্ছি।"তপসীকে তার খাদিম
গিয়ে খবরটি জানালো।তপসীও
খুশীতে আটখানা।তার
ধারণা ছিলো যে,গাউসে পাকের দরবার
থেকে তার জন্য হাদিয়া আসলে তার
খ্যাতি আরো বেড়ে যাবে।তার
ভন্ডামী বুযুর্গী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়ে যাবে।
সুতরাং, সে ঐ হাদিয়ার জন্য
অপেক্ষা করছিলো।
এ দিকে হুজুর গউসে পাক একটি মোটা-
তাজা গরুসসহ তাঁর খাদিমকে পাঠালেন।
হুজুরের পাশে ছিলো দরবারের উচ্ছিষ্ট
খেয়ে পোষা কুকুরটি।কুকুরটিও লেজ
উঁচিয়ে খাদিমের পেছনে পেছনে যেতে লাগলো।
মোটাতাজা গরু দেখে বাঘের
মুখে পানি আসতে লাগলো।হুম্কার
ছেড়ে যখনি বাঘ
গরুটিকে হামলা করতে উদ্যত হলো,তখনই ঐ
কুকুরটি বাঘের উপর
ঝাপিয়ে পড়লো এবং বাঘের
কন্ঠনালী ছিঁড়ে ফেললো।বাঘটি গরুর উপর
হামলা করার পূর্বেই গাউসে পাকের কুকুরের
আঘাতে মারা পড়লো।কুকুরটি বাঘটির দেহ
ছিন্ন ভিন্ন করে সেটাকে সাবাড় করেছিল
বলেও বর্ণনাদিতে রয়েছে।
**সংগ্রহে:-কাযী মুহাম্মদ তোহা হাশেমী।
No comments:
Post a Comment