বুয়ালি শাহ্ কলন্দর ছিলেন ইমামুল আজম
হযরত আবু হানিফার (রহঃ) বংশধর।
বু আলী শাহ্ কলন্দরের প্রকৃত নাম হল শেখ শরফ
উদ্দিন চিশতী।
বুয়ালি শাহ্ তার উপাধি। পরবর্তীতে
এ উপাধি তার নাম হিসেবে বিশ্বের
দরবারে পরিচিতি লাভ করে।বুয়ালি
শাহ্ আওলিয়া হযরত খাজা কুতুবউদ্দিন
বখতিয়ার কাকির (রহঃ) কাছে মুরিদ হয়ে
মুর্শিদের নির্দেশে সাধনা করতে
জঙ্গলে চলে যান। সেখানে নদীর জলে
১ পায়ে দাড়িয়ে ১২ বছর
আল্লাহ পাকের হরদম জিকির চালিয়ে
যান।নানা প্রতিকূল অবস্থায়ও তিনি
ইবাদত বন্দেগিতে কোন শিথিলতা
দেখান নি। তার এ কঠোর এবাদতে
আল্লাহপাক খুশি হয়ে জিজ্ঞাসা করেন
" হে শরফুদ্দিন তুমি আমার কাছে কি
চাও"। উত্তরে তিনি বললেন " আমাকে
নবী মুহাম্মাদ (স) এর মত সম্মানিত করুন।
আল্লাহপাক বললেন " ইহা কখনও সম্ভব
না, এটা ছাড়া তুমি অন্য কিছু প্রার্থনা
কর"বুয়ালি বললেন " তাহলে আমাকে
হযরত আলির মত সম্মানিত কর"
আল্লাহপাক বললেন "যদিও হযরত আলির
মত ২য় আর কেউ এই দুনিয়াতে আসবে
না,তারপর ও তোমার প্রার্থনার প্রতি
সম্মান হেতু আমি তোমাকে হযরত
আলির রুহানি ফায়েজ দান করলাম।যখনই
কেউ তোমার সান্নিদ্ধে আসবে তখনই
সে তোমার কাছ হইতে হযরত আলি সহবত
লাভ করবে" এজন্য পরবর্তীতে তাহার
নাম হয়ে যায় বুউ(ঘ্রান)+আলি = বুয়ালি
শাহ্। তিনি ধ্যান যোগে কলব
সংশোধনের সাধনায় প্রসিদ্ধ হওয়ায়
তাকে কলন্দরও বলা হয়।
তিনি অনেক উঁচু মাপের কারামত সম্পন্ন
আউলিয়া ছিলেন। বুয়ালি শাহ্ প্রায়ই
আল্লাহর প্রেমে মত্ত হয়ে থাকতেন।এ
জন্য বাইরে কি হচ্ছে না হচ্ছে সে
ব্যাপারে তার কোন খেয়ালই থাকত
না।এমন কি তার দেহের ও প্রতি তার
কোন ভ্রুখেপ ছিল না।তৎকালীন
শরীয়তের আলেম কাজী জিয়াউদ্দিন
সানামি বুয়ালি শাহর মুখের মুচ বর্ধিত হওয়ায়
তা কর্তনে ফতোয়া জারি করলে
বুয়ালি উত্তরে বলেন যে "হে কাজী
সানামি,তোমাদের মুখই কেবল
আল্লাহর জিকির করে,আর আমার
দেহের সর্বাঙ্গ আল্লাহর জিকির করে
থাকে,এই মুচ ও তাহার বাহিরে না"।
বুয়ালি শাহের এত উঁচু মর্তবাওলা কথা
বুঝতে না পেরে কাজি রেগে গিয়ে
বুয়ালি শাহের ৫ টি বড় মুচ জোর করে
কেটে ফেলেন। আল্লাহর অলিদের
সাথে বেয়াদবি করার দরুন সেইদিনই
কাজি জিয়াউদ্দিনের ৫ সন্তান কোন
সুনির্দিষ্ট কারন ছাড়াই মৃত্যু মুখে পতিত
হয়।তাই আল্লাহর অলিদেরকে যদি মন
থেকে সম্মান না করতে পারেন,অন্তত
তাদের সাথে কোন প্রকার বেয়াদবি
করার দুঃসাহস কখনও দেখাতে যাবেন
না।
হযরত আবু হানিফার (রহঃ) বংশধর।
বু আলী শাহ্ কলন্দরের প্রকৃত নাম হল শেখ শরফ
উদ্দিন চিশতী।
বুয়ালি শাহ্ তার উপাধি। পরবর্তীতে
এ উপাধি তার নাম হিসেবে বিশ্বের
দরবারে পরিচিতি লাভ করে।বুয়ালি
শাহ্ আওলিয়া হযরত খাজা কুতুবউদ্দিন
বখতিয়ার কাকির (রহঃ) কাছে মুরিদ হয়ে
মুর্শিদের নির্দেশে সাধনা করতে
জঙ্গলে চলে যান। সেখানে নদীর জলে
১ পায়ে দাড়িয়ে ১২ বছর
আল্লাহ পাকের হরদম জিকির চালিয়ে
যান।নানা প্রতিকূল অবস্থায়ও তিনি
ইবাদত বন্দেগিতে কোন শিথিলতা
দেখান নি। তার এ কঠোর এবাদতে
আল্লাহপাক খুশি হয়ে জিজ্ঞাসা করেন
" হে শরফুদ্দিন তুমি আমার কাছে কি
চাও"। উত্তরে তিনি বললেন " আমাকে
নবী মুহাম্মাদ (স) এর মত সম্মানিত করুন।
আল্লাহপাক বললেন " ইহা কখনও সম্ভব
না, এটা ছাড়া তুমি অন্য কিছু প্রার্থনা
কর"বুয়ালি বললেন " তাহলে আমাকে
হযরত আলির মত সম্মানিত কর"
আল্লাহপাক বললেন "যদিও হযরত আলির
মত ২য় আর কেউ এই দুনিয়াতে আসবে
না,তারপর ও তোমার প্রার্থনার প্রতি
সম্মান হেতু আমি তোমাকে হযরত
আলির রুহানি ফায়েজ দান করলাম।যখনই
কেউ তোমার সান্নিদ্ধে আসবে তখনই
সে তোমার কাছ হইতে হযরত আলি সহবত
লাভ করবে" এজন্য পরবর্তীতে তাহার
নাম হয়ে যায় বুউ(ঘ্রান)+আলি = বুয়ালি
শাহ্। তিনি ধ্যান যোগে কলব
সংশোধনের সাধনায় প্রসিদ্ধ হওয়ায়
তাকে কলন্দরও বলা হয়।
তিনি অনেক উঁচু মাপের কারামত সম্পন্ন
আউলিয়া ছিলেন। বুয়ালি শাহ্ প্রায়ই
আল্লাহর প্রেমে মত্ত হয়ে থাকতেন।এ
জন্য বাইরে কি হচ্ছে না হচ্ছে সে
ব্যাপারে তার কোন খেয়ালই থাকত
না।এমন কি তার দেহের ও প্রতি তার
কোন ভ্রুখেপ ছিল না।তৎকালীন
শরীয়তের আলেম কাজী জিয়াউদ্দিন
সানামি বুয়ালি শাহর মুখের মুচ বর্ধিত হওয়ায়
তা কর্তনে ফতোয়া জারি করলে
বুয়ালি উত্তরে বলেন যে "হে কাজী
সানামি,তোমাদের মুখই কেবল
আল্লাহর জিকির করে,আর আমার
দেহের সর্বাঙ্গ আল্লাহর জিকির করে
থাকে,এই মুচ ও তাহার বাহিরে না"।
বুয়ালি শাহের এত উঁচু মর্তবাওলা কথা
বুঝতে না পেরে কাজি রেগে গিয়ে
বুয়ালি শাহের ৫ টি বড় মুচ জোর করে
কেটে ফেলেন। আল্লাহর অলিদের
সাথে বেয়াদবি করার দরুন সেইদিনই
কাজি জিয়াউদ্দিনের ৫ সন্তান কোন
সুনির্দিষ্ট কারন ছাড়াই মৃত্যু মুখে পতিত
হয়।তাই আল্লাহর অলিদেরকে যদি মন
থেকে সম্মান না করতে পারেন,অন্তত
তাদের সাথে কোন প্রকার বেয়াদবি
করার দুঃসাহস কখনও দেখাতে যাবেন
না।
No comments:
Post a Comment