Thursday, March 19, 2015

দেশে বিরাজ করছে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি।



দেশে বিরাজ করছে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। এক অশুব শক্তি যেন এ দেশকে ধ্বংসের দারপান্তে নিয়ে যাওয়ার খেলায় মেতে উঠেছে। রাজনীতির নামে চলছে নিষ্ঠুরতা ও উন্মত্ততা। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশে এই সব কি দেখছি আমরা ? জীবন্ত মানুষকে পুড়ে মারা- ভাবতেই গা শিউরে উঠে। যারা এই সব করে তারা কি মানুষের পর্যায়ে রয়েছে ? ক্ষমতার উদগ্র বাসনায় কতিপয় মানুষ আজ মনুস্যত্ত বিসর্জন দিয়ে দানবে পরিনত হয়েছে। তাদের তৈরি কিছু মানুষরূপী পিচাশ চারদিকে যেন শুরু করেছে ধ্বংসের তাণ্ডব। তাদের হাত থেকে শিশু নারী বৃদ্দ কেউ রেহাই পাচ্ছেনা। মানুষকে পুড়িয়ে মারার পর তারা বর্বর ও পৈশাচিক্তার সাফল্য উল্লাস করছে।
গত ৫ জানুয়ারী থেকে ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোদকে কেন্দ্র করে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় এ যাবত নিহত হয়েছে ৮০ জন। যাদের মধ্য ৫১ জনের নির্মম মৃত্য হয়েছে পেট্রোল বোমা ও কক্টেলের আগুনে। দগ্ধ হয়েছে আরও শত শত লোক। পোড়া মানুষের গন্ধ ও রোগী-স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে হাঁসপাতালগুলুর বার্ন ইউনিট।
কিন্তু অগ্নিদগ্ধ অসহায় মানুষের যন্ত্রণা ও আর্তনাদ স্পর্শ করছেনা দূরবৃতদের পাষাণ হৃদয়। রাতের আঁধারে হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে দুর্বৃত্তরা। আজকের নষ্ট রাজনীতি যেন কিছু মানুষকে ক্রমেই পশু বানিয়ে দিচ্ছে। তাদের না আছে কোন হিতাহিত ঙান, না আছে মনুষ্যত্ব ও মানবতাবোদ। মধ্যযুগীয় কবি বিহারিলাল এর ভাসায় বলতে হয়, ব্যাঘ্রে-সর্পে তত নাহি ডরি, মানুষ জুন্তুরে যত ডরি। বর্তমানেও বোমা হামলাকারী এসব দানবের ভয়ে দেশের মানুষ তটস্থ। একজন কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ী কিংবা শিক্ষার্থী বাসা-বাড়ি থেকে বের হয়ে আবার নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবে কিনা সে আশঙ্খা ও ভীতি বিরাজমান সবার মনে। বর্তমানে অবস্তা এমন এক পর্যায়ে যে, সহিংসতার আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ, দিনমজুর। তাদের ঘরে-বাহিরে বিভীষিকার আগুনে পুড়তে হচ্ছে। কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে থাকলে ক্ষুধার আগুনে পুড়তে হয়। আর ঘর থেকে বের হলে পেট্রোল বোমায় জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মরতে হয়। এভাবে মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা শুদু মানবতাবিরোধী নয়, বরং ইসলামবিরোধী। কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যার অনুমোদন দেয়নি ইসলাম। এ ধরনের জঘ্নন্য কর্মকাণ্ডকে সব ছেয়ে বড় গুনাহ বা কবিরা গুনাহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment