Friday, September 19, 2014

আজকের এই জুমার দিনে শাহাদাত বরণ করেন “হযরত উসমান জুননুরাইন (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)’’ তার শাহাদাতের ঘটনা......


হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) বর্ণনা করেন যে,
যখন আমীরুল মু’মিনীন হযরত উসমান গনী (রাদিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহু)’এর বাসগৃহ তাঁর দুশমনেরা ঘেরাও করলো,

তখন আমি তাঁকে সালাম আরজ করার জন্যে হাজির হলাম,
তিনি আমাকে দেখে বললেন, ভাই ভাল করেছো যে এসেছ,

আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’এর সাক্ষাৎ লাভ করেছি, তিনি এরশাদ করেছেন,“উসমান তোমাকে এরা ঘেরাও
করে রেখেছে।"
আমি আরজ করলাম,জি হ্যাঁ। এরপর তিনি আমাকে একটু
পানি দিলেন যা আমি পান করলাম। সেই সুশীতল পানির অনুভূতি আমি এখনও আমার বক্ষে উপলব্ধি করছি।

এরপর হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ
করলেন,“যদি তুমি চাও দুশমনদের মোকাবেলায়
তোমাকে সাহায্য করা যেতে আর যদি চাও আমার নিকট
এসে ইফতার করবে। তখন আমি আরজ করলাম,"আপনার
খিদমতে হাযির হতে চাই।"

আর সেদিনই হযরত উসমান ইবনে আফফান (রাদিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহূ) কে শহীদ করা হয়। এ ঘটনা সংঘটিত হয় ৩৫
হিজরিতে।

অন্য একটি বর্ণনা রয়েছে যে, এ স্বপ্ন দেখার পর হযরত উসমান
(রাঃ) জাগ্রত হয়ে তাঁর সম্মানিত স্ত্রীকে বললেন,“আমার
শাহাদাতের সময় এসে গেছে, এখনিই বিদ্রোহী দল
আমাকে শহীদ করে ফেলবে।"
তখন অত্যন্ত ব্যথিত কণ্ঠে তাঁর স্ত্রী বললেন, “আমীরুল
মু’মিনীন এমন হতে পারেনা!"

হযরত উসমান গনী (রাঃ) সেই পায়জামাটি পরিধান করলেন
যা ইতিপূর্বে পরিধান করেননি। এরপর বিশটি গোলাম আজাদ
করেন এবং কোরআন শরীফ তেলাওয়াতে মশগুল হন। এরই
মধ্যে বিদ্রোহীরা দেয়াল টপকিয়ে বাসভবনের
অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। কোরআনে কারীম তাঁর সম্মুখে উন্মুক্ত
ছিল, তারা তাঁকে শহীদ করলো, তাঁর রক্তে পবিত্র কোরআন রঞ্জিত হল।
যে আয়াতখানি উপরে রক্ত জমেছিল তা হলোঃ
“অতএব, তাদের জন্যে তোমাদের পক্ষ থেকে আল্লাহ্ পাকই
যথেষ্ট,তিনি সর্বস্রোতা, সর্বজ্ঞাত।”

জু’মার দিন আসরের নামাজের সময় তিনি শাহাদাত বরণ করেন,
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।

(শরহুস সুদূর- ইমাম জালালুদ্দিন
সুয়ুতি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি,ফতহুশ শাম)


No comments:

Post a Comment