Wednesday, September 3, 2014

ভ্রান্ত আকিদার লোকেরা বলেন যে, নবীর পরে সাহাবীদের স্তান অথচ সাহাবীদের মাজার নেই কিন্তু অনেক আউলিয়ার মাজার তৈরি করা হয়েছে। ভ্রান্ত আকিদার আলেমরা ওয়ায মাহফিলে বলেন, মাজার যাবেন না মাজার ভাল না।

ভ্রান্ত আকিদার লোকেরা বলেন যে, নবীর পরে সাহাবীদের স্তান অথচ সাহাবীদের মাজার নেই কিন্তু অনেক আউলিয়ার মাজার তৈরি করা হয়েছে। ভ্রান্ত আকিদার আলেমরা ওয়ায মাহফিলে বলেন, মাজার যাবেন না মাজার ভাল না।


এখন আমি বলছি, যদি কবরে শাহিত বাক্তি হক্কানি প্রসিদ্দ পীর মাশায়েখ, প্রকৃত আলেম ও সুলতানে আদেল ও সৈয়দজাদা হন, তাহলে তাদের কবরের উপর ইমারত নির্মাণ করা বৈধ এবং জায়েয। এতে মাক্রুহ হবেনা। যেমন- হযরত সৈয়াদুনা আমির হামযা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু, খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা, হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা, হযরত ওসমান জিন্নুরাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু, ইমাম হাসান, ইমাম হসাইন, ইমাম জয়নুল আবেদিন, ইমাম বাকের রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুম, ও অন্যান্য সাহাবায়ে কেরামের কবর শরীফের উপর গম্বুজ ও ইমারত ছিল মক্কা ও মদিনা শরীফের পুরাতন ইতিহাসে যার রেকর্ড বিদ্দমান আছে। ওহাবি সৌদি সরকার এক ফরমান বলে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে সেগুলো শহিদ ও নিশ্চিহ্ন করে। সৌদি আরব ব্যতীত প্রায় মুসলিম দেশে ইরাক, ইরান, সিরিয়া, তুরুস্ক, জর্ডান, মিসর ও পাকিস্তানসহ পৃথিবীর সর্বএ  আম্বিয়া ও আউলিয়া কেরামের কবর শরীফের উপর পাকা মাযার ও গম্বুজসমূহ এখনও সংরক্ষিত আছে এবং রাত-দিন সেখানে জিয়ারত ও কুরআন তেলাওয়াত চলছে। জগত বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব রদ্দুল মুখতারে (মিশরে মুদ্রিত) উল্লেখ আছে- জামেউল ফাতাওয়ার বরাতে আহকাম নামক গ্রন্তে উল্লেখ আছে মৃত ব্যক্তি পীর মাশায়েখ, হক্কানি আলেম ওলামা ও সৈয়দজাদা হলে তাদের কবরে উপর ইমারত নির্মাণ করা বৈধ। মাক্রহ নয়।
তফসিরে রুহুল বয়ান ৮৭৯ পৃষ্ঠার উল্লেখ আছে-
পীর মাশায়েখ, ওলামা ও যুগশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গের মাজারে যিয়ারতের উদ্দেশে এবং সেখানে বসে আরাম হাসিলের উদ্দেশে ইমারত নির্মাণ করা সালফে সালেহিন ও পূর্ববর্তী ওলামায়ে কেরাম  বৈধ বলে ফতোয়া দিয়েছেন।

শেখ মুহাক্কিক আব্দুল হক মুহাদ্দেসে দেহলভি রহমাতুল্লাহি আলায়হি নিজ গ্রন্তে জযবুল কুলুব ইলা দিয়ারিল মাহবুব এ উল্লেখ করেছেন-  মাশায়েখ এজামের মাজারের উপর ইমারত নির্মাণ করা সাহাবায়ে কেরাম ও প্রথম যুগের বুজুরগানে দ্বীনের কর্ম ও আমল দ্বারা প্রমাণিত। যেমন- নবী করীম সরওয়ারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম- এর রওজা মোবারকে সর্বপ্রথম হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এবং দ্বিতীয়বার  হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু দেয়াল দ্বারা ইমারত নির্মাণ করেছিলেন। অনেক সাহাবায়ে কেরাম বিভিন্ন বুজুর্গদের মাজারে ইমারত তৈরি করেছিলেন। যেমন- মুন্তাকা সরহে মুয়াত্তা ও বাদায়ে সানায়ে গ্রন্তে উল্লেখ আছে যে---  হযরত ওমর ফারুকে আ'যম রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু তার খেলাফত কালে উম্মুল মুমেনিন হযরত যয়নব বিনতে জাহাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার মাযারে উপর গম্বুজ তৈরি করেছিলেন। উম্মুল মুমেনিন হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা মক্কা শরীফে অবস্থিত তার ভাই সাহাবিয়ে রসূল হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর মাজারে উপর গম্বুজ তৈরি করেছিলেন। তায়েফে অবস্থিত রয়িসুল মুফাসসেরিন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর মাজারে উপর হযরত মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মাজারে উপর গম্বুজ তৈরি করেছিলেন। তদুপুরি বর্তমানে মদিনা শরিফে অবস্থিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর রওজা মোবারকও সবুজ গম্বুজ বিশিষ্ট। উক্ত গম্বুজ বিশিষ্ট মাজারের মদ্দই শায়িত আছেন ইসলামি জগতের ১ম ও ২য় খলিফা হযরত সৈয়াদুনা আবু বকর সিদ্দিক ও হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা অতএব, দিবালোকের নেয় প্রমানিত হল আল্লাহর প্রিয় অলিগণের মাজারে ইমারত নির্মাণ করা শুদু জায়েজ নয় বরং সাহাবায়ে কেরামের সুন্নাতও। এসব তথ্য যারা জানে না, নির্ভরযোগ্য কিতাব পড়ে নাই তারাই প্রকৃত আউলিয়ায়ে কেরামের মাজার শরীফের ঘর ও গম্বুজ নির্মাণ করাকে বিদ'আত ও নাজায়েয বলে ফতোয়াবাজি করে।
www.facebook.com/babu626













No comments:

Post a Comment