Monday, January 20, 2014

❑ ভন্ডপীর দেওয়ানবাগীর মুখোশ উন্মোচন। একটু কষ্ট করে পড়ুন এবং পড়া শেষ হলে ছবিটি সবার সাথে শেয়ার করে এই ভণ্ডের মুখোশ সবার মাঝে খুলে দিন।




  • নাম মাহবুব এ খোদা,
    সর্বস্তরে দেওয়ানবাগী নামে পরিচিত।

    জন্ম ২৭ শে অগ্রহায়ন ১৩৫৬
    বাংলা মোতাবেক ১৪ ই ডিসেম্বর
    ১৯৪৯ ইংরেজী। জন্মস্থান
    ব্রাক্ষনবাড়ীয় জেলার আশুগঞ্জ
    থানাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে।

    পিতা সৈয়দ আব্দুর রশিদ সরদার।
    মাতা জোবেদা খাতুন । ছয় ভাই দুই
    বোন। ভাইদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ।

    এক নজরে দেওয়ানবাগীর
    লিখা এবং বলা কিছু আকিদা ও
    উক্তি এবং একই সাথে আকিদা ও
    উক্তিগুলোর রেফারেন্সও দেয়া হল।

    বিঃদ্রঃ- দয়া করে প্রতিটা আকিদা ও
    উক্তি পড়ার পর "নাউজুবিল্লাহ"
    বলতে ভুলবেন না।

    ▣ “আমার অসংখ্য মুরিদান স্বপ্ন ও
    কাশফের মাধ্যমে আল্লাহর দীদার লাভ
    করেছে। আমার স্ত্রী হামিদা বেগম ও
    আমার কন্যা তাহমিনা এ খোদা স্বপ্নের
    মাধ্যমে আল্লাহকে দাড়ী গোফ বিহীন
    যুবকের ন্যায় দেখতে পায়।” –
    (সুত্রঃ আল্লাহ কোন পথেঃ২৩)

    ▣ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন
    “শুধু আমি নই, আমার স্ত্রী কন্যা সহ
    লক্ষ্য লক্ষ্য মুরিদানও
    আল্লাহকে দেখেছেন” –
    সুত্রঃ (সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ)

    ▣ “দেওয়ানবাগে আল্লাহ ও সমস্ত
    নবী রাসূল, ফেরেস্তারা মিছিল
    করে এবং আল্লাহ নিজে শ্লোগান দেন।”
    –সুত্রঃ (সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ,
    মার্চ ১৯৯৯ ইং)

    ▣ “আমি এক ভিন্নধর্মের
    লোককে ওজীফা ও আমল বাতলে দিলাম।
    ক’দিন পর ঐ
    বিধর্মী স্বপ্নযোগে মদিনায় গেল।
    নবিজীর হাতে হাত মিলালো। নিজের
    সর্বাঙ্গে জিকির অনুভব করতে লাগলো।
    তারপর থেকে ওই বিধর্মী প্রত্যেক
    কাজেই অন্তরে আল্লাহর নির্দেশ
    পেয়ে থাকে।” –সুত্রঃ (মানতের
    নির্দেশিকাঃ২৩, সূফী ফাউন্ডেশন,
    ১৪৭ আরামবাগ, ঢাকা)

    ▣ “কোন লোক যখন নফসীর
    মাকামে গিয়ে পৌঁছে, তখন তাঁর আর কোন
    ইবাদাত লাগেনা।” –
    সুত্রঃ (দেওয়ানবাগী রচিত, আল্লাহ
    কোন পথে,পৃঃ ৯০)

    ▣ “জিব্রাইল বলতে আর কেও
    নন,স্বয়ং আল্লাহ-ই জিব্রাইল।” –
    সুত্রঃ (মাসিক আত্মার বাণী, ৫ম বর্ষ,
    ১ম সঙ্খ্যাঃ২১)

    ▣ “সূর্যোদয় পর্যন্ত সাহরী খাওয়ার
    সময়। সুভে সাদেক অর্থ প্রভাতকাল।
    হুজুরেরা ঘুমানোর জন্য
    তারাতারি আযান দিয়ে দেয়।
    আপনি কিন্তু খাওয়া বন্ধ করবেন না।
    আযান দিয়েছে নামাজের জন্য। খাবার
    বন্ধের জন্য আযান দেয়া হয়না।” –
    সুত্রঃ (মাসিক আত্মার বাণী,
    সংখ্যাঃ নভেম্বরঃ ৯৯, পৃঃ ৯)

    ▣ “মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যুপর্যন্ত
    হায়াতে জিন্দেগী কে পুলসিরা বলা হয়।”
    –সুত্রঃ (দেওয়ানবাগী রচিত, আল্লাহ
    কোন পথে, তৃতীয় সংস্করনঃ ৬০)

    ▣ “আল্লাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার
    ফলে আত্মা এক বিচ্ছেদ যাতনা ভোগ
    করতে থাকে। প্রভূর পরিচয় নিজের
    মাঝে না পাওয়া অবস্থায় মৃত্যু
    হলে সে বেঈমান হয়ে কবরে যাবে।
    তখন তাঁর আত্মা এমন এক অবস্থায়
    আটকে পড়ে যে, পুনরায় আল্লাহর
    সাথে মিলনের পথ খুঁজে পায়না। আর
    তা আত্তার জন্য কঠিন যন্ত্রনাদায়ক।
    আত্মার এরূপ চিরস্থায়ী যন্ত্রনাদায়ক
    অবস্থাকেই জাহান্নাম বা দোযোখ
    বলা হয়।” –
    সুত্রঃ (দেওয়ানবাগী রচিত, আল্লাহ
    কোন পথেঃ ৪৪)

    ▣ দেওয়ানবাগী নিজেকে ইমাম
    মাহদী দাবী করেন। অতঃপর
    দরুদে মাহদী রচনা করে্ন ।
    দরুদে মাহদীঃ “আল্লাহুম্মা ছাল্লী আ’লা সাইয়্
    ওয়ালা আ’লা ইমাম
    মাহদী রাহমাতাল্লিল আলামীন
    ওয়ালিহী ওয়াছাল্লীম।” ময়লার
    স্তূপে অর্ধমৃত ও বিবস্ত্র অবস্থায় রাসুল
    (সাঃ) কে দেখেছি।

    ▣ দেওয়ানবাগী ১৯৮৯
    সালে নাকি একটি ব্যতিক্র মধর্
    দেখে ফেলেন। এ স্বপ্ন
    সম্পর্কে তিনি বলেন, “
    আমি দেখি ঢাকা ও ফরিদপুরের
    মধ্যবর্তী স্থান জুড়ে এক বিশাল বাগান
    ফুলে- ফলে সুশোভিত। ওই
    বাগানে আমি একা একা হেটে বা হঠাত
    বাগানের একস্থানে একটি ময়লার স্তূপ
    আমার চোখে পড়ে। আমি দেখতে পাই ওই
    ময়লার স্তূপে রাসুল (সাঃ) এর
    প্রানহীন দেহ মোবারক পড়ে আছে। তাঁর
    মাথা মোবারক দক্ষিন দিকে আর
    পা মোবারক উত্তর দিকে প্রসারিত।
    বাম পা মোবারক হাটুতে ভাজ
    হয়ে খারা অবস্থায় রয়েছে।
    আমি তাকে উদ্ধার করার জন্য পেরেশান
    হয়ে গেলাম। আমি এগিয়ে গিয়ে তাঁর
    বাম পায়ের হাটুতে আমার ডান হাত
    দ্বারা স্পর্শ করলাম। সাথে সাথেই
    তাঁর দেহ মোবারকে প্রাণ ফিরে এল।
    তিনি চোখ মেলে আমার
    দিকে তাকালেন। মূহুর্তের মধ্যেই
    রাসূল (সাঃ) সুন্দর পোশাকে সুসজ্জিত
    হয়ে গেলেন।
    তিনি উঠে বসে হাসি মুখে আমার
    দিকে তাকিয়ে বললেন,
    হে ধর্মপূনর্জীবন দানকারী! ইতমধ্যেই
    আমার ধর্ম আরও পাঁচবার পূনর্জীবন লাভ
    করেছে। একথা বলে রাসূল
    (সাঃ)উঠে দাঁড়িয়ে হেটে হেটে সাথে চলে এলেন।
    এরপর আমার ঘুম ভেঙে গেল। ” –
    সুত্রঃ (দেওয়ানবাগীর স্বরচিত গ্রন্থ
    “রাসূল স. সত্যিই কি গরীব ছিলেন?”
    ১১-১২ প্রকাশকালঃ জুন ১৯৯৯।)

    ▣ "দেওয়ানবাগী এবং তার মুরীদদের
    মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ্, সমস্ত নবী,
    রাসূল (সা), ফেরেস্তা,
    দেওয়ানবাগী ওতার মুর্শিদ
    চন্দ্রপাড়ার মৃত আবুল ফজলসহ সমস্ত
    ওলি আওলিয়া, এক বিশাল
    ময়দানে সমবেত
    হয়ে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়ানবাগীকে মোহাম্মাদী প্রচারক
    নির্বাচিত করা হয়। অতঃপর আল্লাহ
    সবাইকে নিয়ে একমিছিল বের করে।
    মোহাম্মাদী ইসলামের
    চারটি পতাকা চারজনের_যথাক্রমে আল্লাহ,
    রাসূল (সা), দেওয়ানবাগী এবং তার
    পীরের হাতে ছিল। আল্লাহ,
    দেওয়ানবাগী ও তার পীর প্রথম
    সারিতে ছিলেন। বাকিরা সবাই
    পিছনের সারিতে। আল্লাহ নিজেই
    স্লোগান দিয়েছিলেন_
    ''মোহাম্মাদী ইসলামের আলো_
    ঘরে ঘরে জ্বালো।"(সূত্রঃ সাপ্তাহি দেওয়ানবাগী পত্রিকা-
    ১২/০৩/৯৯ )

    এই সব আপনাদের বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম , কোরআন হাদীস বিত্তিক বিবেচনা করবেন ▣

No comments:

Post a Comment