এখন যদি কেউ একথা বলে, ১২ই রবিউল আউয়াল শুধু মিলাদুন্নবীর খুশী উদযাপন না করে, 'ওফাতুন্নবীর' শোকও পালন করা চাই, কেউ যদি মিলাদুন্নবী উদযাপন করাকে শিরক ও বিদআত ইত্যাদিও বলে বেড়ায়, আবার কেউ কেউ যদি মুসলমানদের মিলাদুন্নবী উদযাপনকে ওফাতুন্নবীর শোক দিবস হিসেবেও আখ্যায়িত করার প্রয়াস পায়, তবে ওদের উক্তিগুলো কতটুকু যুক্তিযুক্ত ?
এর জবাব হচ্ছে- প্রথমত আমি প্রমাণ করেছি যে, ১২ই রবিউল আউয়াল 'মিলাদ-দিবসই' ওফাত দিবস নয় । এতদসত্ত্বেও যদি ওই দিনকে 'ওফাত দিবস' বলে কল্পনাও করা হয়, কিংবা যারা এরুপ বলে বেড়ায় তাদের কথা কিছুক্ষণের জন্য মেনেও নেওয়া হয়, তবুও মিলাদ শরীফের খুশি উদযাপন করাই ওইদিনে (তারিখে) জায়েয বা বৈধ থাকবে, আর ওফাতের শোক পালন করা নিষিদ্ধ হবে । কেননা, নিমাত বা মহা অনুগ্রহের উপর খুশী উদযাপন করা শরীয়ত মতে, সর্বদা ও বারংবারই বৈধ, প্রশংসিত ও পছন্দনীয় । যেমন, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম 'মা ইদাহ' (খাদ্যভর্তি খাঞ্ছা) অবতীর্ণ হবার দিনকে আপন পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্য ঈদ (খুশী) সাব্যস্ত করেছেন ।
[সূরা মায়েদা, আয়াত ১১৪]
আর ওফাতের জন্য শোক প্রকাশ ওফাতের তিন দিন পর অকাট্য ও সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ ও নাজায়েয । কিন্তু আফসোস ! যারা মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর খুশী উদযাপনের বিরোধিতা করতে গিয়ে 'ওফাতুন্নবী' সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর শোক পালন করার পক্ষে খোঁড়া যুক্তি দেখায় তারা যে শরীয়তের বিধান সম্পর্কেও অবগত নয় তা নিঃসন্দেহে বলা যায় । আর তাদের একথাও হৃদয়ঙ্গম করা উচিত যে, বিশ্বের কোথাও কোন মুসলমান ওফাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর শোক পালন না করার অন্যতম প্রধান কারণ এটাও ।
এর জবাব হচ্ছে- প্রথমত আমি প্রমাণ করেছি যে, ১২ই রবিউল আউয়াল 'মিলাদ-দিবসই' ওফাত দিবস নয় । এতদসত্ত্বেও যদি ওই দিনকে 'ওফাত দিবস' বলে কল্পনাও করা হয়, কিংবা যারা এরুপ বলে বেড়ায় তাদের কথা কিছুক্ষণের জন্য মেনেও নেওয়া হয়, তবুও মিলাদ শরীফের খুশি উদযাপন করাই ওইদিনে (তারিখে) জায়েয বা বৈধ থাকবে, আর ওফাতের শোক পালন করা নিষিদ্ধ হবে । কেননা, নিমাত বা মহা অনুগ্রহের উপর খুশী উদযাপন করা শরীয়ত মতে, সর্বদা ও বারংবারই বৈধ, প্রশংসিত ও পছন্দনীয় । যেমন, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম 'মা ইদাহ' (খাদ্যভর্তি খাঞ্ছা) অবতীর্ণ হবার দিনকে আপন পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্য ঈদ (খুশী) সাব্যস্ত করেছেন ।
[সূরা মায়েদা, আয়াত ১১৪]
আর ওফাতের জন্য শোক প্রকাশ ওফাতের তিন দিন পর অকাট্য ও সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ ও নাজায়েয । কিন্তু আফসোস ! যারা মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর খুশী উদযাপনের বিরোধিতা করতে গিয়ে 'ওফাতুন্নবী' সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর শোক পালন করার পক্ষে খোঁড়া যুক্তি দেখায় তারা যে শরীয়তের বিধান সম্পর্কেও অবগত নয় তা নিঃসন্দেহে বলা যায় । আর তাদের একথাও হৃদয়ঙ্গম করা উচিত যে, বিশ্বের কোথাও কোন মুসলমান ওফাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর শোক পালন না করার অন্যতম প্রধান কারণ এটাও ।
No comments:
Post a Comment