Abu Musa প্রোফাইল থেকে সংগ্রহ
গতকাল আমাদের মসজিদে হাফেজ সাহেব যখন ২য় পারা ২য় পৃষ্টায় বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম "ওয়ালা তা'ক্বুলু লিমায়য়ূকতালু ফি ছাবিলিল্লাহি আমওয়াত বাল
আহইয়ায়ূও ওয়ালা কিল্লা তাসয়ূরূন" অর্থ - আল্লাহর রাস্তায় যারা শহীদ হয়
তাদের তোমরা মৃত বলো না, বরং তারা জীবিত এবং আল্লাহ তাদের রিজ্বিক দান করেন
!
এই আয়াটি পড়ার পর আমার মনে হঠাৎ আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) এর কথা
স্বরন আসলো ! নামাজের মধ্য চিন্তা আসলো, বাতেলরা রাসুল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিভাবে মৃত বলে যেখানে আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা শহীদদের
মৃত বলতে নিষেধ করেছেন !
শুধু কি তাই ওয়াহাবীদের নেতা ইসমাঈল দেহলভী
তার তাকভিয়াতুল ঈমান গ্রন্থে বলেন - নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) মরে পঁচে গলে মাটির সাথে মিশে গেছে, নাউযুবিল্লাহ (তাকভিয়াতুল
ঈমান - পৃষ্টা - ৬০) !
অথচ আমার আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) যে
হায়াতুন্নবী এইটার পক্ষে শুধু উক্ত আয়াতে কারীমা নয় বরং অনেক দলিল রয়েছে !
উক্ত আয়াতের আলোকে তাহকিক করে বলা যায় আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা পবিত্র
কোরআনে প্রিয় ব্যক্তিদের যে চার স্থরের কথা
বলেছেন সেগুলো হলো - ১ম স্থরের হলো - নবী/রাসুল, ২য় স্থরের হলো সিদ্দীকিন
অর্থাৎ সাহাবায়ে কিরাম, ৩য় স্থরের হলো শহীদরা, ৪র্থ স্থরের হলো ছোয়ালেহীন
বা আল্লাহর আউলিয়ারা !
দেখুন প্রিয়ভাজনদের কথা বলতে গিয়ে আল্লাহপাক
শহীদদের কথা বলেছেন ৩য় স্থরে ! এবং আল্লাহপাক বলছেন তারা মৃত নয়, তাহলে
আমার আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) কিভাবে মৃত হবে যেখানে শুধু শহীদ নয় সকল নবী
থেকে আরাম্ভ করে পৃথীবির শেষ পর্যন্ত সকল মানুষের আমল এক পাল্লায় দিলে
আমার আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) এর জ্বররা পরিমান আমলের সমান হবে না !
আচ্ছা আরো একটা মাসয়ালা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া প্রয়োজন ! নামাজের মধ্য
আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) এর কথা স্বরন আসায় আমার নামাজ শুদ্ধ কিনা ? [কবুল
কিনা তা আল্লাহ ও রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানেন)]
বুখারী শরীফের হাদিস - রাসুল আকরম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর
ইন্তকালের দিন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) এর ইমামতিতে ফজরের নামাজ চলছিল
এমতাবস্থায় হুজরা পাক থেকে আক্বা (আসসালাতু আসসালাম) পর্দা একটু ফাক করে
সাহাবাদের নামাজ পড়া দেখছিলেন !
সঙ্গে সঙ্গে ঈমাম সহ সকল সাহাবী নামাজ
অবস্থায় রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হুজরার দিকে ফিরে গেল ! আর
আমার রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের ইশারা দিল তোমরা ফিরে
যাও এবং নামাজ সম্পূর্ন করো !
"দেখুন সাহাবাদের রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি ভালোবাসা"
তারা নামাজ অবস্থায় থাকলেও মূলত তাদের মন ছিল রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দিকে !
আর ওয়াহাবীরা তাদের কিতাব সিরাতে মোস্তাকিমে লিখেন - নামাজে নবীর খেয়াল আসা যিনার সমতূল্য ! নাউযুবিল্লাহ
No comments:
Post a Comment