Monday, November 3, 2014

নাম ধারী মুসলিম

নামদারী মুসলমান যারা তারা ইসলাম কে অনেক
ক্ষতি করতে চেয়েছিল। সেজন্য তারা রাসূলে পাক (দঃ) প্রান-
প্রিয় সাহাবায় কেরাম, আওলাদে রাসূল ইমাম হাসান ও
হোসাইন (রাঃ) শহীদ করছেন।
হযরতে ওমর ফারুক (রাঃ) কে শহীদ করেছে কারা। কোন
বিধর্মীরা তাকে শহীদ করে নাই। তাকে শহীদ
করেছে নামদারী মুনাফিক মুসলমানরা।
হযরতে ওসমান (রাঃ) কে শহীদ করেছেন এই নামদারী মুনাফেক
মুসলমানরা।ওসমান (রাঃ) বাড়ীর সামনে এই মুনাফিক
মুসলমানরা ৪০দিন আযান দিয়ে জামাত সহকারে নামায আদায়
করছে।
এরপর এই মুনাফেক মুসলমান অাব্দুর রহমান ইবনে মুলজিম
মাওলায়ে আলী (রাঃ) কে শহীদ করেছেন। এই আব্দুর রহমান
ইবনে মুলজিম এর আমল দেখে সাহাবায় কেরাম লজ্জা পেত,
তার চেহারায় দিয়ে নুর জ্বলকাতো,
সে ঘুমাইলে জিহ্বা জিকির করতো। এই খবিস মুলজিম
বলে আলীর চাইতে বড় কাফের আর কেউ না। (নাউজুবিল্লাহ)।
কাফির মুলজিম আরো বলে রাসূলুল্লাহর চাইতে জিব্রাইলের
মর্যাদা অনেক বেশি।(নাউজুবিল্লাহ)
এবার আসেন হযরতে ইমাম হোসাইন (রাঃ) কে শহীদ করেছেন
যারা তারা হলো এই নামদারী মুনাফেক মুসলমান এজিদ ।
তারা জুম্মার নামায আযান দিয়ে পড়েছেন। এবং হযরত
হোসাইন (রাঃ) কে শহীদ করার পর নিঃস্বপ্রান হযরত
হোসাইন (রাঃ) পাশে রেখে আযান দিয়ে আছরের নামায আদায়
করেন।
ইমাম হোসাইন (রাঃ) দেহ
মোবারকে ঘোড়া চালিয়ে দিয়ে দেহ মোবারকটা ক্ষত বিক্ষত
করে ফেলে। তারপর ও তাদের চোক্ষ
দিয়ে কারো পানি আসলো না।।
এরপর আরো আসেন এই নামদারী মুসলমানরা খোদার ঘর
কাবা শরীফ বায়তুল্লাহ ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিল।
বায়তুল্লাহর কাবা ঘরের পাথর ২২টুকরা হয়ে গেল আগুনের
তাপে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রাঃ) বের হলে তাকে তীর
দিয়ে তাকে শহীদ করা হলো।
তার মা হযরত আয়েশা (রাঃ) বোন কে ডাক
দিয়ে দেখানো হলো তোমার ছেলে কেমন অাছে দেখ।
জুবাইর (রাঃ) এর মা বললেন আমার ছেলে আগের তুলোনায়
এখন ভালো আছে।
ছেলে আমার শহীদ হবে এটাই আমি চেয়েছিলাম।আল্লাহ
তাকে ইমাম হোসাইন (রাঃ) রাস্তাই নিয়ে গেছেন।
তারপর আসেন নামদারী মুসলমানরা পৃথিবীর শ্রেষ্ট মসজিদ
মসজিদে নববীতে সাতদিন পর্যন্ত তারা গাধা,
ঘোড়া বেধে রাখলো। গাধা, ঘোড়া প্রেশাব,
পায়খানা করলো। আযান একামত বন্ধ করে দিল। এইকাজ
কিন্তু বিধর্মীরা করে নাই। এই কাজ করেছেন
নামদারী মুসলমানরা।
যার অন্তরে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
অালাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেম না তারা মুসলমান
হতে পারে না। যার অন্তরে রাসূলে পাক (দঃ) প্রেম আর
আওলাদে রাসূলের প্রেম থাকবে তারা হলো ইমানদার।
খালী নামায, রোজা, হজ্ব করলে জুব্বা,টুপি পড়লে মুসলমান
হওয়া যায় না। মুসলমান প্রথম শর্ত হলো ঈমান গ্রহন
করা। ঈমান না থাকলে নামায, রোজা, হজ্ব ও যাকাত
করলে কোন লাভ হবে না।
ইমান হলো মূল আর আমল হলো শাখা-প্রশাখা।
আসুন আমরা এয়াজিদ নামদারী কাফের মুসলমানদের
থেকে দুরে থাকি। আর ইমাম হোসাইন (রাঃ) পতাকার
নিচে থাকি।
ইমাম হোসাইন (রাঃ) গোলামী হয়ে মরতে পারি। আল্লাহ
পাকের দরবারে এই আরজি করি।

No comments:

Post a Comment