ইনকামে বরকত পাচ্ছিনা এই অভিযোগ নিয়ে একদিন আমার এক প্রিয় উস্তাযের (মেন্টর) কাছে গেলাম। কোনো কিছু নিয়ে দ্বিধান্বিত-কনফিউজড কিংবা অশান্তিতে থাকলে তার সাথে কথা বললে এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি আমি পাই।
মদিনা
Wednesday, May 21, 2025
ইনকামে বরকত
Thursday, February 6, 2025
আবুল আলা মওদূদীর ভ্রান্ত এবং কুফুরী আক্বীদা সমূহ
আপনি মুসলমান না জামাত?
আমরা কেন জামাতের বিরোধিতা করি??
সেটা কি রাজনৈতিক স্বার্থে নাকি ধর্মীয় স্বার্থে??
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা,
আবুল আলা মওদূদীর ভ্রান্ত এবং কুফুরী আক্বীদা সমূহ রেফারেন্সসহ নিম্নে পেশ করা হলো।
১।মওদূদী বলেছে, সমস্ত নবী গোনাহগার। (তাফহীমাত ২য় খন্ড ৫৭ পৃঃ)
২। মওদূদী বলেছে, নবী ও সাহাবীদের মধ্যে লোভ, লালসা, ঘৃনা-বিদ্ধেষ, কার্পন্য, স্বার্থপরতা ও প্রতিহিংসা ছিল, যার ফলে ওহুদ যুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন। (তাফহীমুল কুরআন ২য় খন্ড পৃঃ ৬০ , ৯৯ নং টীকা।)
৩। কুরআন নাযিল হওয়ার একশত বছর পরে তা পরিবর্তন হয়ে গেছে। (কুরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা পৃঃ ১৪ ও ১৫)
৪।মওদূদী বলেছে, আমাদের নবী তাঁর রেসালতের দায়িত্ব আদায়ে ভূল ত্রুটি করেছেন। (তাফহীমুল ১৯ খন্ড পৃঃ ২৮৬ , ৪নং টীকা , কুরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা পৃঃ ১১৮)
৫। নবী عليه السلام এর মত লম্বা দাড়ি রাখা বা অন্যান্য কর্ম নবী এর মত করা মারাত্মক ধরনের বিদাত ও দ্বীনের বিপজ্জনক বিকৃতি। (রাসায়েল ও মাসায়েল ১ম খন্ড পৃঃ ১৮২ ও ১৮৩ নং)
৬। হাদীসের দ্বারা যদি বেশি কিছু অর্জিত হয় তবে সহীহ হওয়ার ধারনার উপর দৃঢ় বিশ্বাস ইয়াকিন রাখা যায় না। (তরজমানুল কুরআন পৃঃ ২৬৭ খন্ড ২৬ সংখ্যা ৩)
৭। আল্লাহ পাকের বিধান অস্বীকার করে মওদূদী বলেছিলো - "যে ক্ষেত্রে নর-নারীর অবাধ মেলামেশা সেক্ষেত্রে যেনার কারনে (আল্লাহ পাক উনার আদেশ কৃত) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা জুলুম। (তাহফীমাত ২/২৮১)
নোট- অথচ জেনাকারীদের জন্যে রজমের শাস্তি স্বয়ং আল্লাহ পাক নিজেই দিয়েছেন।
৮। ফেরেশতা ঐ জিনিস যাকে গ্রীক, ভারত ইত্যাদি দেশের মুশরিকরা দেব-দেবী হিসাবে স্থির করেছে। (তাজদীদ ও ইহইয়ায়ে দীন ১০ পৃ)
৯।হযরত আদম আলাইহিস সালাম মানবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত ছিলেন। (তাহফীমুল কুরআন উর্দু ,৩/১২৩)
১০। হযরত নূহ আলাইহিস সালাম এর চিন্তা ধারার দিক থেকে দীনের চাহিদা থেকে সরে গিয়েছিলেন। (তাহফীমুল কুরআন ২/৩৪৪, ৩য় সংস্করন ,১৯৬৪ ইং )
১১। নবী হওয়ার পূর্বে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম দ্বারা একটি কবীরা গুনাহ হয়েছিলো। (রাসায়েল ও মাসায়েল ১/৩১)
১২। মহানবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অথাৎ তিনি মানবিক দুর্বলতার বশিভুত হয়ে গুনাহ করেছিলেন। (তরজমানুল কুরআন , ৮৫ সংখ্যা , ২৩০ পৃষ্ঠা , তরজমানুস সুন্নাহ ৩/৩০৫ )
পর্ব-১
চলবে.....
Sunday, July 14, 2024
বিশ্বখ্যাত প্রজ্ঞাবান হযরত লোকমান হাকীম
এক সাহসী রাজা বন্ধু হযরত লোকমান হাকীমের ছিলেন। রাজা যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হযরত লোকমান হাকীমের পরামর্শ অনুসারে সম্পন্ন করতেন। তাছাড়া, ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন সমস্যা আসলে তা থেকে উত্তরণের জন্য হাকীম লোকমানের শরণাপন্ন হয়ে সমাধান খুঁজতেন এবং তাঁর প্রজ্ঞাপূর্ণ দিক-নির্দেশনা নিয়ে আশাতীত উপকৃত হতেন।
রাজা একদা রাজ্যের প্রসিদ্ধ সোনা বনে হরিণ শিকারে গিয়েছিলেন। তিনি এক পর্যায়ে একাকী বনের গভীরে গিয়ে পৌঁছে যান।
বনের একটি বড় গাছের আড়াল থেকে এক নারীর কন্ঠে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসলো। সাহসী রাজা উচ্চস্বরে বললেন, "কে তুমি? মানুষ, নাকি জিন্? সামনে এসো, দেখি তোমার সমস্যার সমাধান আমি করতে পারি কিনা।" উত্তর
আসলো- "আমিও আপনার মতো মানুষ। তবে আমি এক নারী। আমি আপনার সামনে আসতে পারছিনা। কারণ, আমি বিবস্ত্র। আমাকে এক টুকরা কাপড় দিতে পারলে আমি তা পরিধান করে আপনার সামনে আসতে পারি।" রাজা তাঁর মাথার পাগড়িটা খুলে বৃক্ষটির অপর প্রান্তের দিকে ছুঁড়ে মারলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে নারীটি ওই সাদা বস্ত্র পরিধান করে রাজার সামনে আসলো। তিনি বললেন, “তুমি এখানে কিভাবে আসলে? তোমার পরিচয় কি?” নারীটি বললো, "আমিও আপনার মতো মানুষ। এখানে কিভাবে এসেছি তা আমার জানা নেই। তবে সে নিজের নাম বললো 'কোঁয়া কোঁয়া'।
এ অতি সুন্দরী নারীটার অসহায়ত্বের কথা ভেবে রাজা বললেন, "তুমি চাইলে আমার সাথে আমার রাজ্যে আমার মহলে চলে যেতে পারো।” নারীটা বললো, "আমি আপনার সাথে যেতে রাজি। তবে আপনি আমাকে বিয়ে করলেই আমি আপনার সঙ্গে যেতে পারবো। অন্যথায় না।” রাজা কিছুক্ষণ নিশ্চুপ র'য়ে চিন্তা করলেন, আর বললেন, “ঠিক আছে। তুমি আমার সাথে চলো। রাজ দরবারে গিয়ে বিয়ের কাজ সমাধা করবো।” সফর সঙ্গীদের প্রশ্নের জবাবেও তিনি বললেন, এ নারী আমার দ্বিতীয় রাণী হবে। রাজ দরবারে পৌঁছলে প্রথম রাণীকেও তিনি একই জবাব দিলেন এবং নিয়ম মাফিক বিয়েও সম্পন্ন হলো। নতুন রাণীর জন্য রাজা পৃথক দালান তথা বাসস্থানের ব্যবস্থা করলেন। নতুন রাণীকে পেয়ে রাজা খুব খুশী। আনন্দের আতিশয্যে তিনি অন্য সবাইকে, এমনকি ■ তাঁর পরম বন্ধু হাকীম লোকমানকেও ভুলে - গেলেন। এভাবে সময় অতিবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে এরপর রাজ্যে এক নতুন সমস্যা ও বিপর্যয় দেখা দিলো। প্রতি রাতে প্রজাদের গোয়ালের গরু, মহিষ ও ছাগল ইত্যাদি খোয়া যাচ্ছিলো। চতুর্দিক থেকে অভিযোগ আসছিলো। কোন্ অদৃশ্য হাতের কারসাজিতে এমন বিপর্যয় ঘটছে তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছিলো না। এবার এহেন করুণ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে গিয়ে রাজার হাকীম বন্ধু (লোকমান হাকীম)-এর কথা স্মরণ হলো। সুতরাং তিনি লোকমান হাকীমের শরণাপন্ন হলেন এবং যাবতীয় ঘটনা বর্ণনা করলেন।
ইতোপূর্বে রাজা না জানালেও হযরত লোকমান হাকীম সব ঘটনা জানতেন। নতুন রাণীর বংশ পরিচয়সহ তাঁর জানা ছিলো। তিনি রাজাকে বললেন, "আমাকে প্রাসাদে নিয়ে চলুন এবং আপনার নতুন রাণীর হাতে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করুন।” সুতরাং প্রাসাদে আসার পর রাজা রাণীকে বললেন, "ইনি আমার বন্ধু লোকমান হাকীম, তিনি তোমার হাতে এক গ্লাস পানি চাচ্ছেন।” রাণী পানি নিয়ে আসতেই হাকীম লোকমানকে দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। কারণ, এ রাক্ষসী জানতো, এ হাকীমই তার রাক্ষসী মাকে তাঁরই তৈরীকৃত এক ধরনের পাউডার ছিঁটিয়ে হত্যা করেছিলো। তখন সে ছোট ছিলো। তাকে তার মা একটি গাছের গর্তে রেখে খাবারের তালাশে বের হয়েছিলো। বাইরে তার মায়ের আর্তনাদ শুনে বের হয়ে আসলে মরতের মরতে তার মা এক হাকীমের কথা বলে গিয়েছিল। রাণীর এহেন আচরণ দেখে লোকমান হাকীমকে বললেন, "আপনি কি আমার রাণীকে চিনেন? আসল অবস্থা সম্পর্কে বলুন।" হাকীম লোকমান রাণীর সামনে শুধু হাসছিলেন। প্রথমে কিছুই বলেননি। রাণী প্রস্থান করলে হাকীম লোকমান বললেন, "বন্ধু, আপনি এ'কে রাণী বানিয়ে আপনার রাজ্যে ও প্রাসাদে এনে চরম ভুল করেছেন। কারণ, সে কোন মানুষ নয়; বরং এক রাক্ষুসী (জিন)। আপনাকে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় - রেখে প্রাসাদ থেকে বের হয়ে রাজ্যের পশুগুলো আহার করছে। সে ওই জঙ্গলের সব পশু সাবাড় করে লোকালয়ে এসে তার আহার সংগ্রহের জন্য পথ খুঁজছিলো। তখন আপনাকে পেয়ে আপনার হাত ধরে এ রাজ্যে ঢুকেছে। আপনি আমার পরামর্শ ছাড়া যেহেতু এ কাজটা করেছেন, সেহেতু ভুলের মাসুলতো কিছু দিতেই হচ্ছে।"
রাজা এ কথা শুনে দারুণভাবে ভীত হয়ে পড়লেন। আর প্রাসাদে নতুন রাণীর সাথ থাকতে ভয় পাচ্ছিলেন। তিনি হাকীম লোকমানকে বললেন, "আমাকে এবং আমার রাজ্যটাকে এ রাক্ষসীর হাত থেকে বাঁচান।" হাকীম বললেন, "সেটারও ব্যবস্থা হবে; কিন্তু আপনাকে তজ্জন্য কিছু কাজ করতে হবে। তা হচ্ছে- নতুন রাণীকে নিয়ে সমুদ্র ভ্রমণে যেতে হবে। তাও 'বাহরে কুলযম' সমুদ্রে। কথিত আছে যে, ওই সমুদ্রে যেমন তলদেশ নেই, তেমনি সেটার পানির উপরেও ভারী কোন জিনিষ স্থির থাকে না। তাই একটি দ্বিতল বেতের জাহাজ তৈরী করতে হবে।" সুতরাং তাই করা হলো।
নতুন রাণীকে ওই বেতের জাহাজ করে কুলযম সমুদ্রে ভ্রমণের প্রস্তাব দেওয়া হলো এবং বলা হলো যে, ওই ভ্রমণে রাজার বন্ধু লোকমান হাকীমও যাবেন। প্রস্তাব শুনে রাণী রাজী হলো- এ শর্তে যে, তিনি নিচের তলায় থাকবেন, উপরের তলায় উঠতে পারবেন না। কারণ উপরের তলায়. থাকবেন রাজা ও নতুন রাণী। তাছাড়া, রাণীও মনে মনে ভাবলেন যে, সুযোগ বুঝে হাকীম সাহেবকে সমুদ্রে ডুবিয়ে মেরে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। এদিকে আর লোকমান হাকীমও রাক্ষসী রাণীকে চিরদিনের জন্য সমুদ্রে আটকে দেওয়ার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করে নিয়েছিলেন। যথাসময়ে সামুদ্রিক ভ্রমণ আরম্ভ হলো। জাহাজ উ যখন কুলযম সমুদ্রের গভীরের দিকে যাচ্ছিলো, তখন নিচের তলা থেকে হাকীম লোকমান রাণী কোঁয়া কোয়াঁর উদ্দেশে বললেন, "আমি জেনেছি যে, কুলযম সমুদ্রের নাকি তলা নেই। এ সম্পর্কে ভাবী সাহেবা! আপনার অভিমত কি?" রাণী কোঁয়া কোঁয়া বিরক্তির সুরে বললো, "এসব ভিত্তিহীন কথা। তলদেশ না থাকলে এত পানি কিসের উপর রয়েছে?" হাকীম বললেন, "আপনি কি এ কথা প্রমাণ করতে পারবেন যে, এ সমুদ্রের তলদেশ আছে?" রাণী বললেন, "অবশ্যই পারবো। তাও এভাবে যে, আমি নাগিনী (সাপ) হয়ে সমুদ্রে নামবো। আর আমার লেজ থাকবে পানির উপরি ভাগে আপনার হাতে। আমি সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছে আমার লেজে নাড়া দেবো। অথবা আমার মুখে করে সমুদ্রের তলদেশ থেকে মাটি নিয়ে আসবো। এভাবে আমি আমার দাবীর বাস্তবতা প্রতিষ্ঠা করবো।" যেমন কথা তেমন কাজ। রাণী অমনি সাপ হয়ে সমুদ্রে নেমে গেলো। কিছুক্ষণ পর পানির
উপরিভাগে সেটা আপন লেজে নাড়া দিলো। আর বুঝাতে চাইলো যে, সে সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছে গেছে। এ দিকে হাকীম লোকমান তাঁর সাথে রাখা এক শিশি ঔষধ সাপটির লেজের চতুর্পাশে পানিতে ঢেলে দিলেন। অমনি লেজের চতুর্পাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পানি পাথর হয়ে গেলো এবং সাপটি আটকা পড়ে গেলো। এরপর হাকীম সেখানে আরো কিছু ঔষধ পানিতে ফেলে দিলেন। ফলে আরো বিশাল এলাকা পাথর হয়ে গেলো এরপর চিরদিনের জন্য সাপটি, তথা কোঁয়া কোঁয়া রাক্ষসী সমুদ্রে আটকা পড়ে গেলো। এভাবে রাজা ও তাঁর রাজ্য এ রাক্ষসীর হাত থেকে মুক্তি পেলো।
Monday, November 1, 2021
হযরত আলাউদ্দিন আহমদ সাবের কালিয়ার (র) বড় পীরের পর সবচেয়ে জালালি ফায়েজের আউলিয়া।।
হযরত আলাউদ্দিন আহমদ সাবের কালিয়ার (র) বড় পীরের পর সবচেয়ে জালালি ফায়েজের আউলিয়া। বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানি (র) এর আপন নাতি। বড় পীরের পর তিনি হলেন সর্বাধিক জালালি তবীয়তের আউলিয়া। হযরত ইমাম জাফর সাদেক (র) বলেন "আল্লাহ্র অলি-আউলিয়াদের মধ্যে দুইটা অতি ধারালো খোলা তরবারি আছে, একটা হল বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানি (র) আর আরেকজন হল তাহার নাতি আলাউদ্দিন সাবের কালিয়ার (র)। যদি কোন ব্যাক্তি এই দুইজনের সাথে সামান্যতম বেয়াদবিও করে তাহলে আল্লাহর জালালি তেজে সে সাথে সাথে দুই খণ্ড হয়ে যাবে"। সাবের পাকের জালালি এতই বেশি ছিল যে তিনি যদি কাউকে লক্ষ করে একবার উচ্চারণ করতেন যে "লোকটির আচরণ ভালো না" তাহলে সাথে সাথে সেই লোক দুই খণ্ড হয়ে যেত। আর যদি সাবের পাক কখনও রেগে যেতেন তাহলে উক্ত এলাকা জ্বলে পুড়ে ছাড়-খার হয়ে যেত কেউ আর প্রানে বাঁচত না।সাবেরপাকের অসম্ভব জালালির কারনে তাহার মুর্শিদ শেখ ফরিদও তাহার সাথে রীতিমত কথা বলতে ভয় পেতেন এই ভেবে যদি সাবেরপাক কখনও খেপে যান।
জন্মঃ- ১৯ শে রবিউল আউয়াল ৫৯২ হিজরি
পর্দা-গ্রহনঃ-১৩ই রবিউল
পিতাঃ- হযরত আব্দুল রহিম (র)
মাতাঃ- হযরত জামিলা খাতুন (র)
তরিকাঃ- চিশতিয়া
পীর কেবলাঃ-হযরত শেখ ফরিদ (র)
ধর্মঃ- ইসলাম (সুন্নি)
১। জন্মের সময় কারামতঃ- কথিত আছে যে বাবা সাবের আহমেদ যখন জন্ম নেন,তখন তার দায়ী মা তাকে অজু ছাড়া কোলে নিলে দায়ী মার সারা শরীরে সঙ্গে সঙ্গে জালা-পোড়া শুরু হয়ে যায়।
২। ১২ বছর অনাহারঃ-সাবের আহমেদকে তাহার মামা লঙ্গর-খানা পরিচালনার দায়িত্ব দিলে তিনি একটানা ১২ বছর সেই লঙ্গর খানা থেকে কোন খাবার গ্রহন করেন নি। এতে তার দেহ কঙ্কাল-সার হয়ে গেলে তার মামা শেখ ফরিদ জিজ্ঞাস করলেন"তোমাকে আমি পুরো লঙ্গর খানার দায়িত্ব দিলাম,তবুও তোমার শরীরের এই বেহাল অবস্থা কেন??" উত্তরে সাবের আহমেদ বললেন" আপনি আমাকে লংগর খানা দেখা শুনার কেবল দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন,কিন্তু সেখান থেকে খাবার খাওয়ার কোন অনুমতি দেন নি,তাই আমি এত দিন না খেয়ে কাটিয়েছি"। এই উচ্চ পর্যায়ের সততার কথা শুনে শেখ ফরিদ (র) খুব অবাক হয়ে পড়েন।
বাবা খাজা আলাউদ্দিন আহমেদ সাবের কালিয়ার এর কারামত বলে শেষ করা যাবে না,এক কথায় বলতে গেলে বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানীর পর তার স্থান, এতে কোন সন্দেহ নেই।
Tuesday, August 31, 2021
কারবালা
মুসলিম বানিয়েছে। নাস্তিক দমিয়েছে। তবুও কেন বিরোধীতা! লিখেছেন মাহদী গালিব।